চার বছর পর তেহরানে ব্রিটেন দূতাবাস খুললো(ভিডিও)
সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ-লন্ডন থেকে
*হাসান রূহানী নির্বাচিত হয়ে সম্পর্কন্নোয়নের পদক্ষেপ নিয়েছেন*
*ইরান ও ব্রিটেনের এচিভম্যান্টের জন্য কোন লিমিট বা সীমাবদ্ধতা নেই, যদিও এখনো অনেক মত পার্থক্য রয়েছে*
আজ ইরানের রাজধানী তেহরানে ব্রিটেন তার দূতাবাস খুলেছে। চার বছর পর ব্রিটেন ইরানে দূতাবাস খুলে আনুষ্ঠানিকভাবে ইরানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক চালু করলো। খুব শীগ্রই তেহরান লন্ডনে তাদের দূতাবাস খুলবে বলে জানা গেছে।
২০১১ সালে ইরানের বিরুদ্ধে সেংশনের অভিযোগে এক প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে ব্রিটিশ দূতাবাসে আক্রমণের প্রেক্ষিতে ব্রিটেন তেহরানে দূতাবাস বন্ধ করে দিয়েছিলো।
২০০৩ সালের পর ফিলিপ হ্যামন্ডই প্রথম ব্রিটিশ ফরেন সেক্রেটারি যিনি তেহরান সফর করলেন। কয়েক সপ্তাহ আগে ব্রিটেন সহ ছয়জাতির সাথে ইরানের নিউক্লিয়ার ডিলের পর পরই ইরানের সাথে ব্রিটেনের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হলো।
আজ ব্রিটিশ ফরেন সেক্রেটারি ফিলিপ হ্যামন্ড নিজে তেহরানে উপস্থিত হয়ে দূতাবাসে ব্রিটেনের ইউনিয়ন জ্যাক পতাকা উড়িয়ে আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন।
আজকের এই সিরিমনি অনুষ্ঠানে ফিলিপ হ্যামন্ড বলেন, ইরানের প্রেসিডেন্ট পদে হাসান রৌহানি নির্বাচিত হওয়ার পর ধীরে ধীরে সম্পর্ক উন্নয়নের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
(সেই বিক্ষোভ ও ভাংচুরের ছবি)
তিনি বলেন, গত মাসে ঐতিহাসিক নিউক্লিয়ার ডিল হলো এক মাইলস্টোন পদক্ষেপ- যদিও আমাদের মধ্যে অনেক মতপার্থক্য রয়েছে, কিন্তু আমরা উভয়ের মধ্যে ডায়ালগ চালু করেছি। দূতাবাস খোলার মাধ্যমে আমরা একে অন্যের সাথে আলোচনায় বসবো- মতপার্থক্য আরো আলোচনার মাধ্যমে কমিয়ে নিয়ে আসতে সহায়তা করবে।
আমাদের মধ্যে সবচাইতে বড় অভাব হচ্ছে ট্রাস্ট- আমরা দূতাবাস অপেনের মাধ্যমে একে অন্যের সাথে আলাপ-আলোচনা করে আমাদেরকে সেই ট্রাস্ট বৃদ্ধি করতে হবে, যদিও আমরা অনেক কিছুর সাথেই একমত নই।আগে দেখি আমরা কতোদূর যেতে পারি..
ফিলিপ হ্যামন্ড বলেন, ব্রিটেন এবং ইরান এচিভ করার জন্য কোন নির্দিষ্ট সীমাবদ্ধতা নেই, যদিও মতপার্থক্য বিদ্যমান।
ফিলিপ হ্যামন্ডের সাথে একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলও রয়েছেন, তারা ইরানের সাথে সম্ভাব্য ব্যবসায় সংক্রান্ত ইস্যু নিয়ে আলাপ-আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে।
23rd August 2015, London.