ব্রিটেনের ২ঃ১ জন মনে করেন বুরকিনি ব্যান করা হউক

ব্রিটেনের ২ঃ১ জন মনে করেন বুরকিনি ব্যান করা হউক

সৈয়দ  শাহ সেলিম আহমেদ-

 

ফ্রান্স এবং সুইজারল্যান্ডের কিছু এলাকায় মুসলমানদের বুরকিনি নিষিদ্ধের পর এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা এখন তুঙ্গে। খোদ জাতি সংঘ প্যারিসের বুরকিনি বন্ধের প্রতিবাদ করেছে। অবশেষে ফ্রান্সের আদালত বুরকিনি উপর বিষেধাজ্ঞাও বাতিল করে দিয়েছেন। তারপরেও থামছেনা বুরকিনি প্রসঙ্গ। ফ্রান্সের আদালত যেদিন বুরকিনির উপর এই নিষেধাজ্ঞা বাতিল করে দিলেন, সেদিনও ফ্রান্সের পুলিশ সমুদ্র তীরে মুসলিম নারীদের শরীর থেকে বুরকিনি খুলে নিয়েছে অথবা সমুদ্র সৈকত থেকে তাদের সরিয়ে দিয়েছে।

 

burqa

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সম্প্রতি ব্রিটেনের ইউগভ বুরকিনি নিয়ে ব্রিটিশ জনগন কী ভাবছেন- এমন জনমত পরিচালনা করে। ইউগভের জনমত জরিপে দেখা গেছে ৫৭ পার্সেন্ট ব্রিটিশ জনগন বুরকিনি ব্যানের পক্ষে মতামত দিয়েছেন। পক্ষান্তরে ২৫ পার্সেন্ট  জনগন নিষিদ্ধের বিপক্ষে। ইউগভের রিপোর্টে বলা হয়েছে বুরকিনি নিষিদ্ধের পক্ষে  ২ঃ১ ।

 

১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ইউগভ এমন জরিপ পরিচালনা করে। বয়সের গ্রুপ অনুসারে এর মতামতও ব্যতিক্রমধর্মী হয়েছে বলে ইউগভ বলেছে। আর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বেশী সংখ্যক নিষিদ্ধের পক্ষে মতামত দিয়েছেন।

 

ইউকিপের লিডারশিপ প্রার্থী লিসা ডাফি ইসলামিক নেকাব নিষিদ্ধের জন্য আহবান জানিয়েছেন। ২০১০ সালে নাইজেল ফারাজ এমনই এক আহবান করেছিলেন, যদিও এর পরে ইউকিপ আর উচ্চ- বাচ্চ খুব একটা করেনি।

 

এর মধ্যেও কিছু কিছু মিশ্র প্রতিক্রিয়াও দেখিয়েছেন অনেকেই জরিপে। ৪৬  পার্সেন্ট বুরকিনি নিষিদ্ধের পক্ষে প্রতিক্রিয়া দিলেও ৩০ পার্সেন্ট এর পক্ষে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন।

islamic-dress-getty.jpg

ইউরোপের কতিপয় দেশ ইসলামিক ধর্মীয় বিশ্বাস সম্বলিত সিম্বল নিষিদ্ধের পক্ষে। ২০০৯ সালে সুইস মসজিদের মিনারের ব্যাপারে গণভোটে নিষিদ্ধ করেছিলো।

 

উল্লেখ্য ২০১০ সালে ফ্রান্স বুরকা ও মুখমন্ডল ঢেকে থাকে ফুল বুরকা নিষিদ্ধ করেছিলো । ফ্রান্স পৃথকভাবে হেডস্কার্ফ পাবলিক স্কুল ও সেক্যুলার স্থানে পরিধান  নিষিদ্ধ  করে। ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ম্যানুয়েল ভ্যালস এই ব্যান আরো বৃদ্ধি করে বিশ্বিবিদ্যালয়েও ব্যান করতে চান বলে জানিয়েছেন।বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, রাশাও একই পথে।

salim932@googlemail.com

01 Sept 2016, London, London