ব্রিটেনের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যাংক সান্টান্ডার ব্যাংক মাত্র একমিনিটেরও কম সময়ের ব্যবধানে বিশ্বের বৃহত্তম অর্গেনাইজড ক্রাইম সাইবার এটাক থেকে মিলিয়ন পাউন্ড চুরির হাত থেকে রক্ষা পেয়ে যায়। জানা যায়, ১২ সদস্যের এক শক্তিশালী সাইবার গ্যাং ব্রিটেনের সারে এলাকার রোথারহাইট শপিং এলাকার সব কটা ব্রাঞ্চের সান্টান্ডার ব্যাংকের একটি মাত্র কম্পিউটারের কী-বোর্ডের ভিডিও মাউস লিংকের সাহায্যে ব্যাংকের সব কটা কম্পিউটারের ডেস্ক টপের ইনফরমেশন কপি করে মুহূর্তেই ডাউনলোড করে মিলিয়ন পাউন্ড চুরির এক অবিশ্বাস্য পরিকল্পনা আঁটে। ১২ সদস্যের ঐ গ্রুপ ঠিক যখনি ব্যাংকের ডাটা ডাউনলোড করে নেয়ার উপক্রম, একটি মাত্র ক্লিকে সব ডাটা ট্রান্সফার করতে যাচ্ছিলো, ঠিক তখনি স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের সেন্ট্রাল ই-ক্রাইম ইউনিট ও ব্যাংকের সিকিউরিটি ই-ইউনিট মিলে তা নস্যাত করে দেয়। স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড সূত্রে জানা যায়, মুহূর্ত মাত্র সময়ের ব্যবধানে সাইবার গ্যাং তাদের চুরির পরিকল্পনা সফল করতে যাচ্ছিলো।
স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড এক্টিভ ডিভাইস সহ ১২ সদস্যের ঐ সাইবার গ্যাঙ্গকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।এদের ১১ জনের বয়স ২৩ থেকে ৫০ এর মধ্যে, যাদেরকে পুলিশ হান্সলো থেকে গ্রেপ্তার করে, আর সর্বশেষ ১ জন, যে কম্পিউটারের ঐ ভিডিও ডিভাইস স্থাপন করেছিলো বলে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে গ্রেপ্তার করেছে ভিক্টোরিয়া থেকে, বয়স আনুমানিক ৩৪ এর কাছাকাছি। এদের অধিকাংশই ইস্টার্ন ইউরোপিয়ান ও আফ্রিকান নাগরিক, তবে একজন ব্রিটিশও রয়েছে তাদের সাথে।
স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের বিশেষ টিম অবশ্য ওয়েস্ট মিনিস্টার , হান্সলো, হিলিংডন, বেন্ট, রিচমন্ড এবং স্লাউ-এর এলাকাতে ঠিকানাগুলোতে ব্যাপক তল্লাশী চালিয়েছে।
পুলিশ বলছে, সাইবার এই গ্যাং হান্সলোতে অফিস স্থাপন করে সান্টান্ডার ব্যাংকের কম্পিউটারে ডিভাইস স্থাপন করে রিমোট কন্ট্রোল ইকুইপম্যান্টের মাধ্যমে ব্যাংকের মিলিয়ন পাউন্ড চুরি করতে যাচ্ছিলো, যা তারা ব্যর্থ করে দেয়।
পুলিশ বর্তমানে ব্যাংকের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে, আর কি পরিমাণ রিস্ক রয়েছে বা ব্যাংক মানি কি পরিমাণ ঝুঁকিতে রয়েছে ? ধারণা করা হচ্ছে গ্যাং এরই মধ্যে মোটা অংকের পাউন্ড সরিয়ে ফেলেছে।
ডিটেকটিভ ইন্সপেক্টর মার্ক রেমন্ড বলেন, এটা একটা অত্যন্ত সফিস্টিকেটেড অর্গেনাইজড ক্রাইম, যাতে ব্যাংকের বিরাট বড় ধরনের অংক খোয়া যাওয়ার মতো অবস্থায় আছে, আমরা বর্তমানে এই চুরি রোধে এবং ব্যাংকের মানি নিরাপদ রাখতে ব্যাংকের সাথে কাজ করছি।
|
Created : 16 September 2013 Monday, 02:33 pm & Last Modified: 16 September 2013 Monday, 02:33 pm