টাওয়ার হ্যামলেটস বারার বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত মেয়র লুতফুর রহমানের বিরুদ্ধে ইলেক্টোরাল ফ্রড এর ব্যাপারে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছে, তারা কোন সাফিসিয়েন্ট এভিডেন্স পায়নি- ক্রিমিন্যাল চার্জ করার জন্য। এই ঘোষণাটি স্কল্টল্যান্ড ইয়ার্ডের পক্ষ থেকে এমন এক সময় এলো, যখন ১২ মাস পূর্বে হাইকোর্ট তাদের বিচারিক রায়ে ইলেক্টোরাল ফ্রডের ব্যাপারে দোষী সাব্যস্থ করে সাবেক মেয়রকে তার অফিস থেকে বের করে দেন, নির্বাচন থেকেও দূরে রাখেন।
গত এপ্রিলে হাইকোর্টের শুনানীর পরে ২০০ পৃষ্ঠার ডোসিয়ার প্রকাশিত হয়েছিলো। এই ডোসিয়ার ভালোভাবে পরীক্ষা- নিরীক্ষা করেছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। তারা বলেছে, কোন প্রসিকিউশন করার মতো প্রমাণ এই ডোসিয়ারে তারা পায়নি।
স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড পরিস্কারভাবে এক বিবৃতি দিয়েছে, যাতে বলেছে, ক্রাউন প্রসিকিউশনের সাথে এই ডোসিয়ার নিয়ে পূর্ণ কনসাল্টেশন করে তারা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, এখানে ক্রিমিন্যাল অফেন্সের ব্যাপারে প্রমাণ পর্যাপ্ত নয়।
মেট্রোপলিটন পুলিশ বলেছে, স্পেশাল ডিটেকটিচ অফিসার এই রিপোর্ট স্টাডি করেছেন এবং নতুন পাচটি অভিযোগ সনাক্ত করেছেন কিন্তু কোনটিতেই ক্রিমিন্যাল চার্জ করার মতো নয়।এতে তারা যোগ করেছেন, হাইকোর্টের শুনানী ছিলো সিভিল প্রসেস আর ক্রিমিন্যাল প্রসিকিউশন সম্পূর্ণ আলাদা এক প্রসেস।
হাইকোর্টের শুনানীর আগে মেট্রপলিটন পুলিশ তদন্ত করতে মাঠে নামে, যাতে তারা দুজনকে সতর্ক নোটিশ আর একজনকে ইলেক্টোরাল ফ্রড অফেন্স চার্জ করে।
ইভনিং ষ্ট্যান্ডার্ডের প্রকাশিত আজকের সংবাদ প্রকাশের পর পরই বিভিন্ন কর্ণার থেকে প্রচন্ড আলোচিত ও সমালোচিত হয়।
স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড এবং টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল ষ্ট্যান্ডার্ডকে জানিয়েছে, ইলেক্টোরাল ফ্রড এলিগেশনকে তারা খুবই সিরিয়াসলি নিয়ে থাকেন।
In a statement, Scotland Yard said: “After full consultation with the Crown Prosecution Service a decision has been made that there is insufficient evidence that criminal offences had been committed.”Evening Standard.