সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদঃ এন্টি ওয়ার মার্চ, তারপর ট্যাক্স ক্রেডিট কর্তনের প্রতিবাদে মার্চ, এরপরে সিরিয়ার রিফিউজি ওয়েলকাম মার্চ, স্টুডেন্ট মার্চ- এরপরই আবার আজ সন্ধ্যা থেকে লন্ডনের ট্রাফালগার স্কোয়ার থেকে হাজার হাজার লোকের রাস্তায় মার্চ করেন। ফলে সেন্ট্রাল লন্ডন কেন্দ্রিক জনজীবন অচল হয়ে পরে, সারিবদ্ধভাবে বাস, গাড়ি সব থমকে দাঁড়িয়ে থাকে ঘন্টার পর ঘন্টা। মার্চের লোকদের সাথে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ ছড়িয়ে পরলে গোটা সেন্ট্রাল লন্ডনের ট্রাফালগার স্কোয়ার থেকে হোয়াইট হল এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পুলিশ গোটা এলাকা নিরাপত্তার চাদরে কর্ডন করে রাখার ফলে যানঝট গোটা লন্ডনে ছড়িয়ে পরে।
সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেট্রোপলিটন পুলিশের অনুমতি ছিলো শান্তি পূর্ণ মার্চের। মাস্ক পরা হাজার হাজার লোক প্রতিবাদী শ্লোগান আর ওয়ান সলিউশন- রিভ্যুলুশন, হোস স্ট্রিট-আওয়ার্স – এমন শ্লোগানের প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে রাস্তা মার্চ করতে দেখা যায়। হাজারো পুলিশও তাদের বেস্টনি করে রাখে।
কিন্তু কোথা থেকে একদল মাস্ক পরা মার্চের নামধারী লোকজন পানি, বোতল, বিস্ফোরক ইত্যাদি ছুড়ে মারেন। উচ্ছৃংখল আচরন শুরু করেন। তারা এসময় পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে ভাঙচুর করতে দেখা যায়।
সহিংসতার মাত্রা বৃদ্ধি পেলে আরো ফোর্স এসে যোগ দেয়। এতে সহিংসতার মাত্রা আরো বৃদ্ধি পায়। পুলিশ তখন পাবলিক অফেন্স অর্ডারের আওতায় ডজন খানেক লোকজনকে গ্রেপ্তার করে। তিন জন পুলিশ তখন জখম হন। তাদেরকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়।
স্কাই নিউজ রিপোর্ট করেছে, গাড়িতে, রাস্তায় আগুন দেয়া শুরু হয় ৯টার কিছু পরে এবং সেখান থেকে পুলিশ ৩০ জনের মতো আটক করে ।
এ মার্চের ক্যাম্পেইনে ফেস বুকে পেজ খোলা হয়েছিলো- যেখানে পুলিশকে বন্ধু ভাবা ঠিক হবেনা বলা হয়েছিলো, তারা ইন্টেলিজেন্স কালেক্ট করে বন্ধুর আড়ালে- এমন বক্তব্য ছিলো। ফেসবুকের এই পেজে দেখা গেছে প্রায় ২০,০০০ এই মার্চে অংশ গ্রহণের আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন।
মাস্ক পরিহিত লোকজন বলছিলেন, আমরা অনেকদিন থেকে সিগন্যাল দেয়ার চেস্টা করছিলাম- কিন্তু ওরা এবং মিডিয়া আমাদের ঠিক মতো নেয়নি। সব কিছুতেই এখন অসঙ্গতি চরমভাবে।
গত বছর একই মার্চের প্রেক্ষিতে ১০ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিলো।
মার্চের কিছু ছবি-
নারী/নিউজ/লন্ডনে মার্চ/নভেম্বর/২০১৫