সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদঃ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন খুব সম্ভবতঃ পার্লামেন্টে ফোর্সপূর্বক ডিবেটের মাধ্যমে নো- কনফিডেন্স ভোটাভুটির সম্মুখিন হতে যাচ্ছেন। কেননা ইতোমধ্যে অর্থাৎ গত জুলাই মাসে ডেভিড ক্যামেরনের বিরুদ্ধে এই নো- কনফিডেন্স ভোটের ব্যাপারে যে পিটিশন লঞ্চ করা হয়েছিলো- আজকে এই মুহুর্ত(৬ নভেম্বর ২০১৫ রাত ১০ঃ৫০)পর্যন্ত ১১৭,৯০৩ জন সাইন করেছেন এর পক্ষে।
পিটিশনে যা বলা আছে সংক্ষেপে-
গত পাচ বছর ধরে টোরিদের নেতৃত্বে ব্রিটেনের গরীব জনগন আরো গরীব এবং তাদের নাভিশ্বাস হয়েছে। ব্রিটেনের গরীব জনগন টোরিদের আগামী পাচ বছর ক্ষমতায় রাখার মতো অবস্থায় নেই। তাদের সাম্প্রতিক ওয়েল ফেয়ার রিফর্ম বিল জনগনকে আরো গরীবী জীবনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
যে নীতি ক্যামেরন করেছেন-
ক্যামেরন যখন ২০১০ সালে ক্ষমতায় আসেন, তখন এই ই-পিটিশনের প্রচলন করেন। সাধারণতঃ ব্রিটেনে কোন বিষয়ে এই ধরনের পিটিশনে ১০০,০০০ লোকের স্বাক্ষর হলে ব্রিটিশ সরকার সে বিষয়ে পার্লামেন্টে আলোচনা ও বিতর্কের জন্য উত্থাপিত হয়। ডেভিড ক্যামেরনের বিরুদ্ধে পিটিশন ১০০,০০০ ছাড়িয়ে গেছে। সেটা যে আরো ছাড়িয়ে যাবে সন্দেহ নাই। যে রীতির প্রচলন ক্যামেরন করেছিলেন, সেই রীতি ধারাই তিনি ঘায়েল হতে চলেছেন।
ক্যালি টিবনস পিটিশন-
এক রাত্রিতেই ক্যালি টিবনস তার পিটিশন আপডেট করেছেন। তবে এখনো পার্লামেন্টে এই পিটিশন নিয়ে আলোচনার জন্য কোন ডেট সেট হয়নি। পার্লামেন্ট লাইব্রেরিতেও এ সংক্রান্ত কোন রেজিস্ট্রি এখনো হয়নি।
জেরেমি হ্যান্ট পিটিশন প্রত্যাখ্যান-
ডেভ ক্যাম কর্তৃক হেলথ সেক্রেটারি জেরেমি হ্যান্ট এর বিরুদ্ধে আনীত পিটিশন যা ২২০,০০০ স্বাক্ষর সংগৃহীত হয়েছিলো- সেটাও একচ্ছত্র ক্ষমতা বলে পার্লামেন্ট প্রত্যাখ্যান করেছিলো কিছু দিন আগে। সেই হিসেবে রেওয়াজ একটা চালু হয়ে গিয়েছে, এই পিটিশনও প্রত্যাখ্যান হতে পারে।
salim932@googlemail.com
06th November 2015, london
(কপিরাইট ২০১৫@সেলিম আহমেদ-নারী-ম্যাগাজিন)