সরকারের কাট নীতির কারনে ফুঁসছে পুলিশও। যেভাবে পুলিশের সদস্য সংখ্যা হ্রাস করা হচ্ছে, সেভাবে অর্থ সংকটও দেখা দিয়েছে। সরকার জরুরী ভিত্তিতে ফান্ডের ব্যবস্থা না করলে একমাত্র বিকল্প মোটর ওয়েতে স্পীড লিমিটের উপর কড়াকড়ি আরোপের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে সংকট মোকাবেলার পরিকল্পনা করছে পুলিশ।এ ছাড়া বিকল্প কোন পথ তাদের কাছে খোলা নাই। এসব কথা খোদ পুলিশের কর্তা ব্যক্তি গণমাধ্যমে খোলাসা করেহেন।
বেডফোর্ড শায়ার পুলিশ এন্ড ক্রাইম কমিশনার অলি মার্টিন আজ হোম এফেয়ার্স সিলেক্ট কমিটির সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসব কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ২৫ জন পুলিশ অফিসার হারানোর চাইতে এম ওয়ান-এ স্পিড লিমিটের উপর কড়াকড়ি আরোপ করে ফাইন সংগ্রহের মাধ্যমে ১ মিলিয়ন পাউন্ড কালেক্ট করা যাবে। তিনি বলেছেন আর্থিকভাবে চরম সংকটে এই বিভাগ।
তিনি বলেছেন, অর্থ সংস্থান না করলে তিনি বাধ্য হবে ক্যামেরা অন করতে জংশন ১৩ ও ১৪তে- যা মোটর ওয়ে লিংক হয়ে সরাসরি লন্ডন টু ইয়র্কশায়ার গিয়েছে। একে ঘিরে আছে সাউথ ইয়র্কশায়ার, ডারভীশায়ার, নটিংহামশায়ার। এখানে ক্যামেরা লিমিট ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে ভিন্ন মাত্রায় রয়েছে যা কমিয়ে ৭০মাইল স্পিড লিমিট করা নিরাপত্তা ইস্যুতে।
মোটরগাড়ি চালকেরা স্পিড লিমিট ভঙ্গ করলে ১০০ পাউন্ড ফাইন আর লাইসেন্সে পয়েন্ট সহ লিমিট আওয়ারনেস কোর্স যা খরচ ৯০ পাউন্ড পর্যন্ত হয়ে থাকে।
এই সব মেজরিটি রেভিনিউ সেন্ট্রাল গভর্ণম্যান্টে চলে যায়, তবে কিছুমাত্র অংশ লোকাল ফোর্সে যায়।
অলি মার্টিন জানান, ১০০,০০০ জনগনের বিপরীতে তাদের মাত্র ১৬৯ জন পুলিশ অফিসার আছেন।অথচ চুরি, রাহাজানি, ডাকাতি, মোটর চুরি এই সব অপরাধ মাত্রাতিরিক্ত ছাড়াও টেরর ও অর্গেনাইজড টেরর আক্রমনের এখন ঝুকি বেশী- যা তাদের সংখ্যা কাটের ফলে সার্ভিসে মারাত্মক ব্যাঘাতের সাথে আছে আর্থিক সংকট।
তবে ভলান্টারি লবি গ্রুপ এবং গ্রুপ ফর ব্রিটিশ ড্রাইভার্স এসোসিয়েশন পুলিশের এই ফি আরোপের মাধ্যমে অর্থাৎ মোটর ওয়েতে স্পিড লিমিটের ফাইন আরোপের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের সমালোচনা করেছেন।তারা বলেছেন, ক্যামেরা বা স্পিড ক্যামেরা রাস্তার নিরাপত্তা, যান চলাচলের নির্বিঘ্ন ও নিরাপত্তার জন্য, অর্থ আদায়ের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের জন্য নয়।
নারী/নিউজ/মোটরওয়ে/সেলিম আহমেদ/ডেইলিস্টার/হোম অফিস সিলেক্ট কমিটি/মার্টিন/নভেম্বর/২০১৫