স্কুল ছাত্রকে আইএস প্রশ্নে জিজ্ঞাসাবাদঃ মা বলছেন মামলা করবেন-গার্ডিয়ান

স্কুল ছাত্রকে আইএস প্রশ্নে জিজ্ঞাসাবাদঃ মা বলছেন মামলা করবেন-গার্ডিয়ান

149

এবার পরিবেশ বিষয়ক পাঠ্যক্রমের জের ধরে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের এক স্কুলে মুসলিম শিক্ষার্থীকে আইএস বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান। আর এ নিয়ে আইনী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে ১৪ বছর বয়সী সেই কিশোরের পরিবার। তাদের অভিযোগ, ঐ জিজ্ঞাসাবাদের কারণে তাদের সন্তান খুবই ভীত হয়ে পরেছে বলে ছেলেটির মায়ের দাবী।

গার্ডিয়ান অবগত হয়েছে যে , এই ঘটনায় স্কুল এবং শিক্ষকদের উপর সন্ত্রাস বিষয়ে সরকারের চাপ স্পষ্ট হয়। ব্রিটিশ সরকার আইএস প্রপাগান্ডা নিয়ে কতটা চিন্তিত তারও একটি প্রতিফলন ছিলো এই ঘটনাটি।

কোর্ট ডকুম্যান্টস অনুযায়ী ২০১৫ সালের মে মাসে সেন্ট্রাল ফাউন্ডেশন স্কুল এর ফ্রেঞ্চ ক্লাসে এই ঘটনা ঘটে। পরিবেশ বিষয়ক এই ক্লাসে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের আলোচনার বিষয়বস্তু ছিলো কারা এই পৃথিবী বসবাসের অনুপোযোগী করে ‍তুলছে।

তখন সেই কিশোরটি ‘ইকো-টেরোরিস্ট’ শব্দটি উচ্চারণ করে যারা অবাধে গাছ কেটে পরিবশে দূষণ ঘটাচ্ছে।
এর কিছুদিন পরেই তাকে ক্লাস থেকে ডেকে আনা হয় এবং ইনক্লুশন সেন্টার নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় সেই কিশোরের পেছনে একজন ও সামনে দুজন অপরিচিত মানুষ বসেছিলেন বলে জানায় সেই কিশোর।

গার্ডিয়ান এর অনুসন্ধানে জানা যায় তারা চাইল্ড প্রটেকশন অফিসার ছিলেন। সেখানে আসার কারণই ছিলো সন্ত্রাসবাদ দিয়ে যে কথা উঠেছে তার সত্যতা যাচাই করা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই কিশোর গার্ডিয়ানকে জানায়, ‘আমি জানতাম না যে কি চলছিলো। তারা আমাকে জানায় যে নিরাপত্তা বিষয়ক কোনো ঘটনা। কিন্তু আপনাকে যদি ক্লাস থেকে ডেকে এনে আইএস নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে তবে ভয় পাওয়াটাই স্বাভাবিক। আমিও বেশ ভয় পেয়ে যাই।’

সে জানায়, তাকে বারবার জিজ্ঞাসা করা হচ্ছিলো যে লেকোটেরোরিজমে (L’ecoterrorisme”,) শব্দটির সঙ্গে সে কিভাবে পরিচিত এবং সে আইএস সমর্থন করে কিনা।

সে এবং তার পরিবার জানায় যে তাক জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো যে সে আইএস এর সঙ্গে জড়িত কিনা। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো যে সে আইএস সম্পর্কে কিছু শুনেছে কিনা। আদালতে দায়ের করা অভিযোগপত্রে কিশোরের মা উল্লেখ করেন, স্কুল থেকে সে খুবই বিধ্বস্ত অবস্থায় বাড়ি ফেরে।

স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয় যে তারা সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে সরকারের নীতিমালা অনুযায়ীই কাজ করছিলো। তারা নিরাপত্তার খাতিরে নিয়মিতই এমন জিজ্ঞাসাবাদ করে থাকে।

তারা বাবা-মা’র অভিযোগ তাদের সন্তান বৈষম্যের শিকার এবং এ নিয়ে বিচারিক রায় চায় তারা। আর সরকারের এই নীতিকেও তারা বৈষম্যমূলক বলে উল্লেখ করে। সম্প্রতি স্কুলগুলোকে এমন পদক্ষেপ নিতে সরকার থেকে চাপও রয়েছে বলে জানা যায়।

স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং ইলিঙ্গটন  কাউন্সিল এবিষয় নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তবে সেন্ট্রাল ফাউন্ডেশন বয়েজ স্কুল এর একজন মুখপাত্র জানান, ‘আমাদের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। স্কুল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত যে তারা যথোপযুক্ত ব্যবস্থাই নিয়েছে। আমরা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য এমন কাজ করতেই পারি। আর বিশেষ কোনো শিক্ষার্থীকে নিয়ে আমরা আলোচনা করতে পারিনা।’

তবে স্কুলের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা খুবই বন্ধুত্বপরায়ণ এবং সহমর্মী বলে জা্নান সেই কিশোর। তার শেতাঙ্গ বন্ধুরাও মনে করে যে সে বৈষম্যের শিকার।

তবে শেষপর্যন্ত কোনোরকম পদক্ষেপ নেয়া হয়নি এবং সেই কিশোর নিয়মিতই স্কুল করছে। সে গত দুই বছরে তিনবার স্টুডেন্ট অফ দ্য উইক নির্বাচিত হয়েছে। ঘটনাটির পর থেকে সে ফ্রেঞ্চ ছেড়ে দিয়েছে এবং সফটওয়্যার প্রকৌশলী হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে চান।

গত সপ্তাহে সন্ত্রাসবাদ বিষয়ক সরকার নিযুক্ত কর্মকর্তা ডেভিড আন্ডারসন  বলেন, প্রিভেন্ট পলিসি নামের এই নীতির কারণে মুসলিম সম্প্রদায় বেশ ক্ষুব্ধ। তিনি বলেন, এই নীতির আওতায় নিঃসন্দেহে ভালো কাজ করা হয়। তবে এটি অন্য যেকোন সম্প্রদায়ের যে মুসলিমদের উপর বেশি প্রয়োগ করা হয়।

আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে সেই কিশোর জানায়, সকালে ফ্রেঞ্চ ক্লাসে এই আলোচনা শুরু হয় যেখানে সে বলে, ‘আমি সম্প্রতি ইকো-ওয়ারির(পরিবেশ-যোদ্ধা) নিয়ে পড়াশোনা করেছি আমার বিতর্ক প্রতিযোগিতার জন্য।’
কিন্তু এই কথা বলার সাথে সাখে শিক্ষক তার দিকে অন্যভাবে তাকায় বলে জানায় সে। এরপর সে ব্যাপারটি ব্যাখ্যা করে। সে বুঝিয়ে বলে যে আসলে ইকো ওয়ারির এবং ইকো-টেরোরিজম বিষয়গুলো কি।

এর সপ্তাহখানেক পরে আরেকটি ফ্রেঞ্চ ক্লাস থেকে তাকে ইনক্লুশন সেন্টারে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। জবানবন্দীতে সে বলে, ডেস্ক এর সামনে বসা এক নারী তাকে বলেন যে তিনি শিশু নিরাপত্তা কমকর্তা এবং নিরাপত্তা বিষয়ক একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘তোমার ফ্রেঞ্চ শিক্ষক এবং আমার মনে হয় তুমি ক্লাসে টেরোরিজম শব্দটি ব্যবহার করেছ।
কিশোরটি জানায়, ‘আমার ক্লাসের কথা মনে ছিলো এবং আমি আবারে তাদের ইকো-টেরোরিজম ও ইকো-ওয়ারিয়র কথাটির ব্যাখ্যা দেই। তখন আমার সামনে বসা ব্যক্তি আমার পেছনের লোকটির দিকে তাকিয়ে বলে যে আমি বলেছিলাম সে গাছ ভালোবাসে।

সেই নারী হাত দিয়ে কোলাকুলি করার মতো ইশারা করেন এবং কিশোরের দিকে তাকিয়ে বলেন যে সে কখনো গাছ জড়িয়ে ধরেছে কিনা। এরপর নারীটি তাকে জিজ্ঞাসা করে যে আইএস এর সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক আছে কিনা।

কিশোরটি জানায়, তিনি আইএস শব্দটি ব্যবহার করার সঙ্গে সঙ্গে আমি ভয় পেয়ে যাই। আমি আইএস এর ব্যাপারে জানি এবং সংবাদমাধ্যমে তাদের নিয়ে অনেক প্রতিবেদন দেখেছি। আমি জানতাম তারা মানুষের শিরোশ্ছেদ করে। কিন্তু আমি বুঝতে পারছিলাম না তিনি আমাকে তাদের বিষয়ে কেনো জিজ্ঞাসা করছেন এবং এটা আমার ফ্রেঞ্চ ক্লাসের সঙ্গে কিভাবে সম্পর্কিত। আমি তাদের জানাই এবিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।’

কিশোরের মা জানায়, ‘সে মুসলিম ছিলো বলেই তাকে দোষী ভাবা হয়েছে। আমরা বাবা-মা হিসেবে সঠিক কাজই করে যাচ্ছি কিন্তু আমাদের সন্তানকে অভিযুক্ত করা হলো। সে এমন কিছুই করেনি যে তাকে এভাবে ক্লাস থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হবে এবং অপরাধীর মতো জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’

তিনি বলেন, প্রিভেন্ট আইন পরিস্থিতি আরো খারাপ করছে। তবে কিশোরের পরিবারের আইনী অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায় যে এই মামলা খারিজ হয়ে যাওয়া উচিত। মামলার নথিতে তাদের বক্তব্য ছিলো, ‘সে সময়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা বিবেচনা করে এ্ই সিদ্ধান্ত প্রশ্নাতিতভাবে সঠিক ছিলো।’

অপ্রয়োজনীয়ভাবে ‘টেরোরিজম’ শব্দটির ব্যবহারের কারণে সবাইকে নিরাপত্তার ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিতেই তাকে মাত্র ১০ মিনিট জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিলো বলেও জানায় তারা।

আর এই পদক্ষেপকে কোনোভাবেই সমালোচনা করা ঠিক নয় বলেও জানায় কর্তৃপক্ষ। কারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই স্কুল কর্তৃপক্ষ এ ব্যবস্থা নিয়েছে।

গার্ডিয়ান রিপোর্ট নীচে দেয়া হলো-

School questioned Muslim pupil about Isis after discussion on eco-activism

Parents of 14-year-old at north London’s Central Foundation school take legal action after he was left ‘scared and nervous’ by experience

The incident gives an insight into how schools and teachers are dealing with the pressures of the government’s new anti-extremism initiatives
The incident at Central Foundation school gives an insight into how schools and teachers are dealing with the pressures of the government’s new anti-extremism initiatives Photograph: Alamy Stock Photo

The parents of the 14-year-old are taking legal action after the boy said he was left “scared and nervous” by his experience with school officials in north London, and was left reluctant to join in class discussions for fear of being suspected of extremism.

The incident gives an insight into how schools and teachers are dealing with the pressures of the government’s new anti-extremism initiatives amid mounting concern about British youngsters being lured by Isis propaganda.

According to court documents, the boy was in a French class at the Central Foundation school in May 2015 and took part in a discussion, conducted mostly in French, about the environment. The teacher and pupils were said to have discussed those who use violence to protect the planet.

The teenager mentioned that some people use the term “ecoterrorist” to describe those who take action such as spiking trees with nails to prevent chainsaws from chopping them down.

A few days later he was pulled out of class and taken to an “inclusion centre” elsewhere in the school. During this meeting the schoolboy said one adult sat behind him, and another in front of him, whom he had not seen before. That person was a child protection officer, the Guardian has learned, who had been called in to establish if concerns about terrorism were legitimate.

The boy who wishes not to be named, told the Guardian: “I didn’t know what was going on. They said there had been safety concerns raised. If you are taken out of French class and asked about Isis, it is quite scary. My heart skipped a beat.”

He said he was baffled how mentioning the phrases “L’ecoterrorisme”, which he had learned from an earlier session of the school debating society, led to him being asked whether he supported Isis.

The boy and his parents say he was asked if he was “affiliated” with Isis. The school said he was asked if he had heard of the terrorist group, according to legal papers filed by his mother. The boy’s mother said her son came home from school “visibly distressed”.

The school said it was protecting the “welfare of the child in line with statutory and non-statutory guidance including the ’prevent duty’”, the government initiative that aims to stop people turning to extremism and terrorist violence, according to the legal documents.

His parents are seeking a judicial review, arguing the child was discriminated against and was singled him out because of his Muslim heritage. They also described the prevent policy as unfair. Recently, new laws placed a “positive duty” on schools to implement it.

The school and Islington council, which controls it, declined to answer questions about the incident. However, a spokesperson for Central Foundation Boys’ school said: “The safeguarding and the wellbeing of our young people is our primary concern.

“The school is confident that its safeguarding policies and the work of the professionals in the operation of these policies are proportionate, justified and place the wellbeing of the child to the fore. We do not comment on confidential matters relating to individual young people.”

The teenager said school friends have been supportive, especially white ones, viewing it as an injustice suffered because he is Muslim.

In the end no action was taken and the teenager has been attending the school, which is highly rated. He has been student of the week three times in last two years and said teachers were usually nice and took time to get to know the students. He has since dropped French, and ultimately wants to be a software engineer.

Last week David Anderson, the government-appointed independent reviewer of terrorism, said ”prevent” caused widespread anger among Muslim communities. “While good work is undoubtedly done under prevent, it is also the focus of considerably more resentment among Muslims than either the criminally-focused prohibitions,” he said.

In a sworn statement as part of the legal action, the teenager said he was in a morning French class when the discussion occurred. He said: “I had recently learned about eco-warriors and the demonstrations that they organise in the context of an extracurricular debating club in which I take part called Debate Mate.

“When I said this, I thought that [the teacher] looked concerned. I therefore explained what eco-warriors are, and that sometimes people who call themselves eco-warriors take action such as spiking trees with nails to prevent chainsaws from chopping them down, as the metal nails blunt the blades of the saw. I then said that some people refer to this as ‘eco­ terrorism’.”

Around one week later the teenager was in another French class when he was taken out to an “inclusion centre”. Describing what happened there, he said in his statement: “The lady behind the desk told me that she was a child protection officer. She then said to me that there had been “a safety concern raised”. I did not understand why she was talking about a safety concern and what this had to do with me. She went on to say: ‘Your French teacher … I think, mentioned you used the word terrorism.’

“I remembered the lesson and explained that I had mentioned the phrase eco-terrorism in relation to eco-warriors and protecting the environment. I explained again what they were, and that they put nails in trees to blunt the blade of a chainsaw which is why people sometimes call them terrorists. The member of staff behind the desk looked at the member of staff behind me and said: ‘Told you, he is a tree-hugger.’

“She made a hugging gesture with her arms and, looking at me, asked me if I ‘went around hugging trees’ like one of her relatives. She then asked me: ’Do you have any affiliation with Isis?’

“When she said the word Isis I immediately felt alarmed and extremely scared. I knew what Isis was as I have seen reports about them in the media. I knew that they behead and kill people. I could not think why she was asking me this or how it followed on from my French lesson … and replied no.

“The member of staff sitting behind me, who had brought me to the inclusion centre, then asked me: ‘Do the chainsaws explode?’. Before I could answer the member of staff sitting behind the desk asked: ’Do you understand why there could be a misunderstanding?’”

The boy’s mother said: “He was presumed guilty because he was Muslim. As parents we are doing the right thing but still our son is accused. There was nothing in what he said that warranted him being taken out of class and treated as a criminal.”

She said she thought prevent was causing damage and stifling discussions that could stop extremism. “If the three girls from Bethnal Green who went to Syria, if they had said in class: ‘My dream is to marry a jihadi’, their peer group would probably have slapped them down,” she said

In a response to the legal action, Central Foundation school said it should be dismissed. According to legal documents related to the case it added: “It is unarguable that at the relevant time (May 2015) the school was required as part of its safeguarding responsibilities to be aware of the dangers of radicalisation.

“The approach of alerting the designated child protection officer by email regarding inappropriate references to terrorism and for [her] to have short 10-minute conversation with the claimant was a reasonable and proportionate response.”

The school added: “This safeguarding step can not be criticised, as the school had due regard to its overarching duty to safeguard pupils and the need to prevent them being drawn into terrorism.”

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *