সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ, দ্য লন্ডন টাইমস রিপোর্ট। লন্ডন পুলিশের কিশোর-তরুণী নারীদের অনুসন্ধানের নামে শরীরের অন্তর্বাস খুলে শরীর তল্লাশির গুরুতএ স্পর্শকাতর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের কতিপয় সদস্যদের ওপর।
জানা যায়, ১৫ বছর বয়সী এক অটিস্টিক কিশোরীকে পুলিশের সদস্যরা তল্লাশির নামে মেয়েটির শরীরের কাপড় খুলে ধারালো তীক্ষ্ণ জিনিস দ্বারা অন্তর্বাসের নিম্নাঙ্গের কাপড় খোলার গুরুতর অভিযোগ এখন পুলিশ স্বউদ্যোগে পুলিশ ওয়াচডগের কাছে ইনভেস্টিগেশনের জন্য রেফার করেছে।
বুধবার বিবিসি টেলিভিশনের লাইভ রিপোর্টে এমন তথ্য প্রচারিত হয়েছে, যেখানে ঐ মেয়েটির মা বিবিসিকে জানিয়েছেন, ঐ কাপড খুলে শরীর তল্লাশির ফলে তার সেই মেয়েটি পরে মানসিকভাবে এতোই বিপর্যস্ত হয়ে পরেছিল, পরবর্তীতে সে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিল।
বিবিসি জানায় ১৫ বছর বয়সী অলিভিয়াকে পুলিশ যখন দেহ তল্লাশি করে তখন সে হাতকড়া পরা অবস্থায় ছিল। সেই অবস্থায় পুলিশ তার অন্তর্বাস কেটে তল্লাশি করে।
বিবিসি আরও জানায় একই ধরনের ঘটনা ছিলো শিশু কিউ নামের ১৫ বছর বয়সী কালো এক ছাত্রীর সাথেও। মাদক তল্লাশির নামে ২০২০ সালে শিশু-কিউ এর দেহের কাপড খুলে তল্লাশি চালিয়েছিল পুলিশ।
অলিভিয়ার মা জানান, তার মেয়েকে পুলিশ গ্রেপ্তারের পর কোভিডে সেলফ আইসোলেশনে থাকায় তিনি পুলিশকে ফোন করেছিলেন এবং এটাও জানিয়েছিলেন তার মেয়ে অটিস্টিক এবং সে নিজে থেকেই নিজের ক্ষতি করার সিম্পটম রয়েছে।
অলিভিয়ার মা আরো জানান, তার মেয়ে পুলিশের হাতে একটা ব্লেড তুলে দিয়েছিল, থানা হেফাজতে ২০ ঘন্টা থাকার পর তার মেয়েকে বলা হয়েছিল এখন সে গোসল করতে পারে।
অলিভিয়ার মা আরও জানান, যে সময় তার মেয়েকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে তখন ছয়জন পুলিশ ছিল এবং পুলিশ পুরুষ সহকর্মীদের উপস্থিতিতে তাকে স্ট্রিপ সার্চ করেছিল।
মেয়েটির পরিবার এখন পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে সিভিল কেইস আদালতে লড়ছেন। তাদের আইনজীবী গেইল হ্যাডফিল্ড গ্রেইঞ্জার বলেন, নাবালক-নাবালিকাদের দেহ তল্লাশির ক্ষেত্রে কিছু আইনি নিয়ম কানুন মেনে করতে হয়, যেমন তার অভিভাবককে জানাতে হয় এবং সমলিঙ্গের সহকর্মীদের সামনে করতে হয়, বিপরীত লিঙ্গের কর্মীদের সামনে নয়। মেট ডেপুটি সহকারি কমিশনার লরেন্স টেইলর বলেন, তল্লাশিটি কতটুকু উপযুক্ত ছিল এবং কিভাবে করা হয়েছিল সেটা এখন তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
২৮ মে লন্ডন।