সিটি নির্বাচনের অভাবনীয় বিপর্যয়ে আওয়ামীলীগের শিবিরে হতাশার বন্যা বয়ে যায়, যদিও আচরণে এবং প্রকাশ্যে কেউই তা মুখ খুলতে অপারগ। কিন্তু ভেতরে ভেতরে আওয়ামী শিবিরে জনগণের দেয়া লাল সিগন্যালে হতাশা বাড়তেই থাকে। বিশেষ করে সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কামরানের মতো জনপ্রিয় হেভি ওয়েট প্রার্থীর ভরাডুবিতে সেই হতাশার পারদের মাত্রা একেবারে তলানিতে নিয়ে যায়।
আওয়ামীলীগের এই হতাশা ও দুঃসময়ে এক বুক আশা, উদ্দীপনা আর চাঙ্গা ভাব নিয়ে আসে আওয়ামীলীগ নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ব্রিটেন সফর- এর সংবাদ।এই চাঙ্গা ভাবে নতুন আনন্দ, উৎসবের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় লন্ডনে বসবাস রত মুজিব কন্যা শেখ রেহানার মেয়ে ও শেখ হাসিনার ভাগ্নি কাউন্সিলর টিউলিপ সিদ্দিকীর বিয়ের আনুষ্ঠানিক আয়োজনের সংবাদ ও দাওয়াতে।
আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সাথে আলোচনা করে জানা গেছে, আওয়ামীলীগের মধ্যে সৌভাগ্যবান দশ জন এখন পর্যন্ত টিউলিপের বিয়ের দাওয়াত পেয়েছেন।অনেকেই বিভিন্ন ভাবে লবিং করছেন দাওয়াত কার্ড পাওয়ার জন্য। কেননা বিয়েতে আওয়ামীলীগ নেত্রী উপস্থিত থাকবেন এটা প্রায় নিশ্চিত।নেত্রীর কাছাকাছি যাওয়ার জন্য এই সুযোগ তাই কেউই হাতছাড়া করতে চাচ্ছেননা। শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ ইষ্ট এন্ডে বেড়ে উঠা লেবার দলের একজন একনিষ্ঠ সমর্থক। তিনি নিজেও একজন কাউন্সিলর। স্থানীয় লেবার দলের কাছে টিউলিপ বেশ জনপ্রিয় এক নাম।উচ্চ শিক্ষিত টিউলিপ এর সংযোগ রয়েছে ফেইস বুক, লিঙ্কএডইন সহ টুইটারের মতো জনপ্রিয় নেটওয়ার্কেও নিয়মিত।পূর্ব লন্ডনের ক্যামডেন এলাকায় প্রচুর বাঙালির বসবাস। সে এলাকায় লেবার দলীয় এই নতুন প্রজন্মের চৌকস কাউন্সিলর বাঙালি ও সাদা সকলের কাছে সমানভাবে জনপ্রিয়।টাওয়ার হ্যামলেটস-বেথনালগ্রীণ-বো এলাকার জনপ্রিয় বাঙালি লেবার দলীয় এমপির পর বলা যায়, বাঙালি এই উঠতি তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিত্বকারী এই লেবার দলীয় টিউলিপ আগামীতে আরো অনেক দূর যে এগিয়ে যাবেন, তাতে সন্দেহ নাই।টাওয়ার হ্যামলেটসে বাঙালি ছেলে-মেয়ে আর রোশনারা, টিউলিপ, আব্দাল আলী, লুতফুর রহমান, অহীদদের মতো তরুণ নতুন প্রজন্মের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক এই সব ব্রিটিশ বাংলাদেশীদের মেইন ষ্ট্রীট রাজনীতিতে সক্রিয়তার দাপটে অবস্থানের কারণে কিছু দিন আগে জনপ্রিয় ইংরেজি দৈনিক ইভনিং স্ট্যান্ডার্ড মন্তব্য করেছিলো, অদূর ভবিষ্যতে ব্রিটেন হয়তো সাদাদের পরে কালো এক প্রধানমন্ত্রী পেয়েও যেতে পারে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নাতনী টিউলিপ-এর নিজস্ব ওয়েব পোর্টাল এ তার সম্পর্কে বিস্তারিত রয়েছে। এখানে যে কেউ যেমন ক্লিক করে টিউলিপ এবং তার কাজ সম্পর্কে বিস্তর ধারণা পেতে পারেন, একইসাথে লেবার দলীয় এই কাউন্সিলরের সাথে ইমেইল,টেক্সট,ইত্যাদির মাধ্যমে যোগাযোগও করতে পারেন।
ওয়েবসাইটটি হলোঃ www.tulipsiddiq.com
আওয়ামীলীগ এবং বাংলাদেশ দূতাবাস কঠোরভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন লন্ডন সফরের বিস্তারিত খবর গোপন রেখেছে। বিশেষ করে মিডিয়াতে এ ব্যাপারে সকল সংবাদ একেবারেই সরবরাহ করা হচ্ছেনা। এমনকি শেখ হাসিনার লন্ডন গমন, নির্গমন, হোটেলে অবস্থান, টিউলিপের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সব কিছুতেই এক ধরনের গোপনীয়তা যত্নের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ শেখ হাসিনার লন্ডন সফর সম্পর্কে মিডিয়াকে কোন ব্রীফ এখন পর্যন্ত করেননি বা লক্ষ্য করা যায়নি। লন্ডনের বিডি নিউজ এর সাথে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সফর সম্পর্কে এখনও তেমন কিছু জানি না । তরে এটা উনার ব্যক্তিগত সফর বলে মনে হয়।
সফরকে কেন্দ্র করে যুক্তরাজ্য বিএনপির প্রতিবাদ কর্মসূচি বিষয়ে সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা কি কর্মসূচী দেবে তাদের কোন শক্তি নাই, কিছু বলার নেই। তবে আওয়ামীলীগ কোন পাল্টা কর্মসূচি দিবে না । কিন্তু আওয়ামীলীগের বিভিন্ন কর্মসূচী থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে বিএনপির প্রতিবাদ কর্মসূচী সম্পর্কে বিডি নিউজকে যুক্তরাজ্য বিএনপির সেক্রেটারি কয়সর এম আহমদের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী দেশকে অস্থিতিশীল রাজ্যে পরিণত করেছে। তাকে যুক্তরাজ্যে প্রতিহত করা হবে এবং তার এই সফরের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে বিভিন্ন কঠোর কর্মসূচী দেয়া হবে। তবে কি ধরনের কর্মসূচি দেয়া হবে তা এখন প্রকাশ করা হবে না। লন্ডনের বিডি নিউজ যুক্তরাজ্য বিএনপি‘র বেশ কয়েকজন তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীর সাথে কথা বলে জেনেছে শেখ হাসিনাকে হিথ্রো বিমানবন্দরে কালো পতাকা প্রদর্শনসহ বিক্ষোভ কর্মসূচীই হবে মূল। ইতিমধ্যে জোনাল নেতাদের এই বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে।
আওয়ামীলীগের নীচের বা জোনাল পর্যায়ের কোন নেতা এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে শেখ হাসিনার লন্ডন আগমণের কোন কর্মসূচীর ব্যাপারে অবহিত নন, যতটানা অবহিত বিএনপি, হেফাজত, খেলাফত, জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা।
দূতাবাসের কেউই এ ব্যাপারে এখনো মুখ খুলেননি। তবে প্রধানমন্ত্রী লন্ডন আসছেন, এটা সঠিক, এই পর্যন্ত তথ্য দূতাবাস ও আওয়ামীলীগ এবং একই সাথে লন্ডনের বাংলা মিডিয়ায় রয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, শেখ হাসিনার লন্ডন সফরের প্রাক্কালে লন্ডন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলামী, খেলাফত মজলিস, খেলাফত আন্দোলন, সাঈদী মুক্তি পরিষদ, সেইভ বাংলাদেশ, বাঁশের কেল্লা যুক্তরাজ্য, প্রবাসী সংগ্রাম পরিষদ ইউকে, আলেম-উলামাদের সকল সংগঠন এক হয়ে হিথ্রো সহ হোটেলের সম্মুখে, টিউলিপের বিয়ের সেন্টারের বাইরে, এমনকি শেখ হাসিনার যাত্রা পথে ব্যাপক বিক্ষোভ, কালো পতাকা সহ নানান কর্মসূচীর কথা আঁচ করতে পেরেই দূতাবাস এবং স্থানীয় আওয়ামীলীগ অসম্ভব গোপনীয়তা প্রদর্শন করছে। ইতিমধ্যে সংবাদ মাধ্যমে ও স্থানীয় কমিউনিটিতে ব্যাপক গুঞ্জন রয়েছে, শেখ হাসিনার লন্ডন সফরের সময় হেফাজত, জামায়াত, বিএনপি, ১৮ দল ব্যাপক বিক্ষোভ সমাবেশ করবে। লন্ডন সহ কমিউনিটি ও বাংলা মিডিয়ায় এই গুঞ্জন ডাল-পালা বিস্তারে ভূমিকা রাখছে- ইতিমধ্যে লন্ডন সহ ডাউনিং ষ্ট্রীটে ১৮ দল ও তাদের মিত্রদের ব্যাপক উপস্থিতির মাধ্যমে শো-ডাউন, বিক্ষোভ, স্মারকলিপি পেশের নানান কর্মসূচী। হেফাজতের ঢাকা অবরোধের নস্যাতে সরকারের ভূমিকার পর থেকে ১৮ দল, প্রবাসী আলেম-উলামা ও কমিউনিটির স্থানীয় নেতাদের নিয়ে সমগ্র ব্রিটেনের সব কটা শহরে ব্যাপক সভা-সমাবেশ সম্পন্ন করেছে, সব কটা শহরেই এখন তাদের নাস্তিক-মুরতাদ বিরোধী সংগঠন গঠিত হয়েছে। এদিকে সাঈদীর মামলার রায়ের আগে থেকে সেইভ বাংলাদেশের ব্যানারে ব্রিটেনের ছোট-বড় সকল সিটিতেই সমাবেশ ও কমিটি গঠিত হয়েছে। এইসব কমিটির ব্যানারে এখন লন্ডন সহ সারা ব্রিটেনে হর হামেশাই সরকার বিরোধী নানা সমাবেশ, প্রচারণা ও রং-বেরঙের লিফলেট ব্যাপকভাবে বিলি করা হচ্ছে। এরকম একটি লিফলেট কিছুদিন আগে ইসলাম ও মহানবী(সা:) সম্মান রক্ষা ও নাস্তিকতা বিরোধী চার রঙের বিভিন্ন ছবির ক্যাপশন ও বাংলাদেশের বিভিন্ন পত্রিকার কাটিং সহ দাবী-দাওয়া সম্বলিত লিফলেট বিলি করা হয়েছে।ধারণা করা হচ্ছে, এই বারের শেখ হাসিনার লন্ডন সফরের সময় এই সব সংগঠন ১৮ দলের সাথে মিলে ব্যাপক বিক্ষোভ করবে।নিউক্যাসল, বার্মিংহাম, লীডস,লাফবারা, রচডেল, লন্ডন, ব্রাডফোর্ড, লিংকনশায়ার, গ্লাসগো প্রভৃতি শহরে ইতিমধ্যে সিগন্যাল পৌঁছে গেছে এরকম সংবাদের আভাস পাওয়া গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানিয়েছেন কালো পতাকা, পচা ডিম, এমনকি ইরাকের সেই সাংবাদিকের বুশের উপর পাদুকা নিক্ষেপ করার মতো ওয়েস্টমিনিস্টারের স্টাইলে গণতান্ত্রিক কর্মসূচীর ন্যায় প্রতিবাদের মতো কর্মসূচী নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা চলছে।তবে তারা সংবাদ মাধ্যমে আগে থেকে জানিয়ে কোন কর্মসূচীর ব্যাপারে মুখ না খোলার জন্য নির্দেশনা রয়েছে।
অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে, শেখ হাসিনার আসন্ন ব্রিটেন সফরের সময় আওয়ামীলীগ ও বিএনপি মুখোমুখি অবস্থানে চলে যাবে। এতে সংঘাত আশংকার কথা কমিউনিটিতে তলে তলে আলোচিত হচ্ছে।
এদিকে টিউলিপের স্বামী পরিচয় সংক্রান্ত সংসদে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের উত্তাপের ঢেউ ব্রিটেনের টেমসের এই পারেও এসে লেগেছে। প্রতিদিন এখন সর্বত্রই এই আলোচনা নিয়ে ঝড় বইছে সোশ্যাল নেটওয়ার্ক আর যে কোন আলোচনা সভাতেই। বিশেষত: বিরোধী জোট এই বক্তব্যের ঝের ধরে রাজনৈতিক ফায়দা নিয়ে প্রবাসী জনগণকে আওয়ামীলীগের বিরোধী বলয় তৈরি করতে অভিনব খেলা শুরু করেছে। এখনকার আলোচনার যেকোন বক্তব্যের শুরুতেই বিরোধী জোট এখন যুৎ সইভাবে প্রধানমন্ত্রীর সংসদে দেয়া বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে সুন্নি মুসলমানের বৈশিষ্ট্য ও আহলে হাদিসের ঐ বক্তব্যের রেশ বেশ ভালোভাবেই ব্রিটেনের বাংলাদেশী রাজনীতিতে ও কমিউনিটিতে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে।বলা যায়, প্রধানমন্ত্রী নিজেই সেই বক্তব্য খণ্ডন করতে গিয়ে বিরোধী জোট আর হেফাজতীদের হাতে মোক্ষম এই অস্র তুলে দিয়েছেন, যার পূর্ণ সদ্ব্যবহার ষোল আনাই তারা করছেন। আর এর ফলে প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবার সম্পর্কে বিরূপ এক ধারণা ও নেগেটিভ চিন্তা কমিউনিটিতে ঝেঁকে বসতেছে।বিরোধী জোট এবং ইসলামপন্থী সকলেই এখন একবাক্যে জোরেশোরে বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের মধ্যেই অনৈসলামিক রীতি-রেওয়াজ, যেমন তার ছেলের ব্যাপারে সত্য, একইভাবে আপন ভাগ্নির ব্যাপারেও সত্য।ব্রিটেনে এখন বাঙালি কমিউনিটির হট টপিকস প্রধানমন্ত্রীর ভাগ্নি একজন ক্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীকে বিয়ে করেছেন, যা মুসলমানের রীতি-নীতির সাথে মানায়না বলে জোর আলোচনা এখন সর্বত্র। আওয়ামীলীগ ঘরানার বাইরে কেউই বিষয়টি সহজ ভাবে নিতে পারেননি। প্রধানমন্ত্রী তনয় সজীব ওয়াজেদ জয় এর পরে ভাগ্নি টিউলিপেরও একই বিদেশী এবং খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীর পানি গ্রহণ অনেকের কাছে এই বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে। ক্যামডেন এলাকার লেবারের এক সদস্য নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানালেন ক্রিস নিজেও লেবার দলের সমর্থক, বিশ্বাসে ক্যাথলিক ( তবে কপ্টিক, ব্যাপটিস্ট কিনা তিনি নিশ্চিত নন), তবে বিজ্ঞানের উপর উচ্চতর ডিগ্রীধারী, টিউলিপ যখন মাস্টার্স করছিলেন, তখন দুজনের পরিচয় বলে তিনি জানালেন, যদিও তার সেই দাবি যাচাই করা সম্ভব হয়নি। আরেক বাঙালি লেবার দলীয় সদস্য জানালেন, টিউলিপকে এন্ডোর্স করেছেন ক্লাউড এমইপি, সেই সূত্রে ক্রিসের সাথে পরিচয়, সেখান থেকে দীর্ঘ সম্পর্কের পর বিয়ে। এ দাবির তথ্যের সপক্ষেও যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
বিএনপি ঘরানা এবং হেফাজত, খেলাফতের লন্ডনের নামকরা আলেম-উলামারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী আপন ভাগ্নীর বর নিয়ে আহলে হাদিসের এক অংশ উদ্ধৃত করে সংসদে অসত্য বক্তব্য দিয়েছেন। নারী-পুরুষের খ্রীষ্টান বা বিধর্মী বিয়ে সংক্রান্ত আহলে হাদিসের ঐ অংশ বিশেষ অবস্থা, স্থান, কাল, পাত্রভেদে প্রযোজ্যের অংশ বিশেষের সাথে আরো কিছু আবশ্যিক বিষয় ঐ হাদিসের ব্যাখ্যায় রয়েছে, যা আজকের বিদ্যমান ইসলামিক পরিবেশে একজন মুসলমান নারীকে খ্রীষ্টান বিয়ের অনুমতি দেয় কিনা তা পড়ে দেখার জন্য বলেছেন।
এনিয়ে লন্ডনে এখন ব্যাপক আলোচনা সরগরম। তার উপর প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন সফর। সব মিলিয়ে লন্ডন নগরী ও বাঙালি কমিউনিটি এবং বিরোধী রাজনৈতিক জোটের মধ্যে ব্যাপক সাড়া যেমন জাগিয়েছে, একই সাথে আওয়ামীলীগেও এখন চাঙ্গা ভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। লন্ডনে হেফাজত, খেলাফত, জামায়াতে ইসলামী ও তাদের মিত্রদের ব্যাপক ঘাটি রয়েছে। অত্যন্ত গোপণীয়তার সাথে শেখ হাসিনার আসন্ন লন্ডন সফরকে কেন্দ্র করে শহস্রাধিক প্ল্যাকার্ড হাসিনা খুনী, ইসলামের দুশমন, নাস্তিকতার লালনকারি, সাঈদীর মুক্তি, হেফাজতের আলেম-উলামাদের হত্যাকারি এমন সব ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড প্রদর্শনের জন্য তৈরি হয়ে আছে।
22nd June 2013.
I am continuously searching online for posts that can aid me.
Thanks!