সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ
শেখ মুজিব বলতেন,চাটার দল সব খেয়ে ফেলে,জিয়াউর রহমান আরো একদাপ এগিয়ে এসে বলেছিলেন,আমি রাজনীতিকে রাজনীতিবিদদের জন্য কঠিণ করে দেবো,আর সব কাজের কাজী জেনারেল এরশাদ অতি যত্নের সাথে হাস্যরস মিশিয়ে বলতেন,এদেশে সবই সম্ভব।সত্যি কি বিচিত্র এই দেশ,যে যার মতো করে করে খেলে যাচ্ছে,কেউ কারো তোড়াই কেয়ার করে, কাউকেই তার কোন কাজের জবাবদিহি করতে হচ্ছেনা।যা ইচ্ছা খুশী করা যায়,যখন তখন করা যায়,আবার নতুন নতুন ফন্দি-ফিকির করে নতুন- নতুন মাল-মশলা মিশিয়ে গল্প তৈরি করা যায়,গল্পের ডাল-পালা বিস্তারে এবং রং মিশানোর জন্য এক শ্রেণীর লোক লাগিয়ে দেওয়া যায়,তারা আবার সেই গল্পের রেশ টেনে ধরে সমাজে নানান রং মিশিয়ে প্রচার-প্রপাগান্ডায় সিদ্বহস্থ,এরই দোলাচলে চলছে আমার সোনার বাংলা,আর আমি এই আমি যে খানে ছিলাম সেখান থেকে শনৈই,শনৈই করে,তড়-তড় করে উপরে উঠে যাচ্ছি,আবার সামান্যতম বাতাসের হেলুনিতে হুট করে সব কিচ্ছু মচকে ফাটা বাশ হয়ে পড়ে যাচ্ছি,তাতে কি আবারতো মাচা-মই বেয়ে উঠবো,একটু কসরত করলেই হলো এই যা আর কি।আকাশে স্যূটিং তারা বা নক্ষত্রের ছোটাছুটি খেলা কিংবা নক্ষত্রের পতনের মতোই এই ডেমোক্রেসীওয়ালারাই এই আলো,এই ঝলকানি,এই উত্তান,এই পতন,এই বেলেল্লাপনা,এই বেহায়াপনা করতে ওস্তাদ উনারা,এটা যে উনাদের সকাল-বিকেলের চা-নাস্তার মতো,এ যেন খাবারের টেবিলের নিত্য-নতুন মেন্যু পরিবর্তনের মতোই।কোন নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুনের ধার করেনা,কারণ এই ডেমোক্রেসীর রাজ্যের একচ্ছত্র অধিপতিতো উনারা।জনগন এখানে নিরব দর্শক,মাঝে-মধ্যে যদিও ফুলে-ফুসে উঠে,কিন্ত ঐ সাবানের ফেনার মতোই,পরক্ষনে আবার তা পানিতে মিশে যায়,কারণ দুই দলের এবং সকল দলের ঐ নেতা-নেত্রীরা এতো একচ্ছত্র ক্ষমতা ভোগ করে যে,তাদের জন্য দলের কর্মী,সমর্থক জান-বাজী রখতেও প্রশ্তুত।পৃথিবীতে এরকম গণতান্ত্রিক দেশের নেতা-নেত্রী কয়জন আছেন,যে তার জন্য জনগণ জীবন অকাতরে বিলিয়ে দিয়ে থাকে,তা শুধু সাধারণ জনগণ নয়,তা শিক্ষিত,আধা-শিক্ষিত,পেশাজীবি,ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার,প্রকৌশলী,বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র,ছাত্রী,মৌলভী,শ্রমিক,এক কথায় সব,আপামর জনগোষ্টী।তো সেই নেতা-সেই নেত্রী ক্ষমতায় গিয়ে যা ইচ্ছা খুশী করবেনাতো কি গভর্ণম্যান্ট অব দ্য পিপলস,বাই দ্য পিপলস-থিওরীআওড়াবে,এমন বোকাতো আর সে নয়।কারণ এই আমরাইতো তাকে দিয়েছি একচ্ছত্র ক্ষমতা,তোমার যা ইচ্ছা খুশী তাই করো,যাকে খুশী তাকে ধর,কাটো,মারো,কেউ তোমাকে কিচ্ছু বলবেনা,বরং বলবে,ধরনী ধন্য তোমার মতো এমন মহান নেতা-নেত্রী পেয়ে,তাইতো তুমিপ্রতিষ্টা করেছ,গভর্ণম্যান্ট অব দ্য দল,বাই দ্য দল,ফর দ্য দল, আব্রাহাম লিংকন ও যা পারেনি,প্রিয় নেতা-নেত্রী তুমি তাই করেছ,ধন্য তোমাকে,ধন্য তোমার এই জনগণ।একবার জর্জ বুশ এবং টনি ব্লেয়ার ইরাক আক্রমণ করে সিনেট এবং পার্লামেন্টে যখন লেজে-গোবরে অবস্থা,তখন কার্টুনিষ্ট তাচ্ছিল্য করে বলেছিলো,ভাগ্যিস যদি বাংলাদেশের নেতা হতাম,তাহলে আজকে এতো জবাবদিহর মধ্যে পড়তে হতোনা,লাল টেলিফোন ঘুরালেই হতো, পুলিশ, গোয়েন্দা,সাংবাদিকদের এক অংশ,প্রশাসন,দল সব আমাদের কথায় জানবাজি রেখে দিতো,কোন বিচার,বিবেচনাবোধ কাজ করতোনা,পরজনমে বিধাতা যদি জিগ্যেস করেন,আর কোন খায়েস আছে কিনা,তবে অবশ্যই বাংলাদেশের নেতা হতে চাইবো।কিন্তু এই একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারিরা অতিমাত্রায় বাড়াবাড়ি যখন করে,তখন মারাত্মক ভুল করে বসে,যার খেসারত দিতে হয় অসহায় পরিবার ও নিরন্ন জনতাকেই,তার পরেও প্রিয় নেতা-নেত্রী জিন্দাবাদ………হায়রে আমার সোনার বাংলা,রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবিত থাকলে তিনিও লজ্জা পেতেন এই বলে যে,……রেখে গেছ মানুষ করনি…।
সাগর-রুণি হত্যাকান্ডঃ
মাত্র কিছুদিন আগে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুণি নৃশংসভাবে নিজ বাসভবনে খুন হলো,অথচ আমাদের আইন-শৃংখলা বাহিনী,প্রশাসন এখন পর্যন্ত এর কোন কোল-কিনারা করতে পারলোনা।উপরন্ত নানান ডাক-ঢোল পিঠিয়ে এই ক্লু,সেই ক্লু,একে বারে ধার প্রান্তে,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ৪৮ ঘন্টা বেধে দেওয়া সময়,কতোনা লম্ফ-জম্ফ,সবই নিস্ফল আশ্বাস আর ধোকাবাজির এই রাজনীতির ওস্তাদের কসরত।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যখন বলেন ৪৮ ঘন্টা,তখন জেনে-শুনে নিজ দায়িত্তে,পুরো দায়িত্ত্বজ্ঞান সম্পন্ন হয়েই বলেছিলেন,খুনীদের আইনের আওতায় আনা হবে।গোয়েন্দা তৎপরতা অনেক নাটকীয়তার পর পুলিশ যখন আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে,তখন কতোইনা গোপণীয়তা অবলম্বন করে,যাতে যে কারোই মনে হয়েছিলো,আসল খুনীদের সনাক্ত করা হয়েছে,যাতে পালিয়ে যেতে না পারে,হয়তো এতো গোপণীয়তা আশ্রয়,কিন্তু হায়,কি দেখলাম আমরা,পুলিশ কোন কোল-কিনারা করতে পারেনাই।লজ্জা হয়,এই সব উদ্ভট ভেলকিভাজির জন্য,কি করে জনগণের ট্যাক্সের টাকায় নিজেদের উদরপিন্ডি করে,অথচ সাগর-রুণির হত্যার কোন কোল-কিনারা করতে পারেনা? আসলে করতে চায়না,কারণ পুলিশ ও তাবেদার প্রশাসন জানে,কে বা কারা ঐ জঘন্য কাজটি করেছে।একব্যাক্তির সন্তুষ্টির জন্য,শুধু মাত্র ঐ অতি ক্ষমতাধর একজনকে সন্তুষ্ট রাখার জন্য,নিজের বিবেক-বুদ্দ্বি সব বন্দ্বক রেখে আহলাদে আটখান।স…থেকে…ন ঔ আধ্যক্ষরের ব্যাক্তিকে সুকৌশলে দেশের বাইরে পাঠিয়ে কি করে আমাদের সাধের ঐ ক্ষমতাধর নেত্রী নিজের সরকারের গুনগাণে লিপ্ত হন,সামান্যতম লজ্জা-শরম থাকলেও কোন মনুষ্য আদম সন্তান এমন উল্লম্ফন আচরন করতে পারে কি?
মেঘ মালার সকরুণ আর্তনাদ ঐ দানব প্রশাসনের কর্ণকোহরে প্রবেশ করেনা,কারণ সেখানে শিষার গরম পাত লাগানো,ইথারে ইথারে আর্তনাদ করে ফিরে মেঘের সকরুন মিনতি,বাতাসে কান্নার রোলে ভারি হতে থাকে,একসময় সব যেমন হওয়ার কথা,তেমনই স্বাভাবিক হয়ে যায়,প্রিয় মুখগুলো ভুলতে বসে,তার সহকর্মীর নির্মম পরিণতির কথা,আসলে ভুলতে হয়,নয়তো তাকেও একই পরিণতি ভোগ করতে হতে পারে,লাল টেলিফোনে ম্যাসেজ চলে আসে আতি দ্রুত,কি করবে বেচারা,পরিবার-পরিজনের প্রিয় মুখগুলো ভেসে উঠে চোখের সামনে,একসময় সে পিছুহঠে,মাঝে-মাঝে দগ্ব হয়,যন্ত্রণায় ছট-ফট করে,কিন্তু বিচারের বাণী নিরবে কাঁধতে থাকে,কারণ এটাযে বাংলাদেশ,এখানে ক্ষমতাধর নেতা-নেত্রীই সব,নয়তো মাস্তান-পেশী শক্তি প্রদর্শনে ওস্তাদ,সারা জীবন দ্বিতীয়,তৃতীয় শ্রেণী প্রাপ্ত,নীতি-নৈতিকতাহীন ব্যাক্তি কি করে বিচারের আসনে অধিষ্টিত হয়?
মেঘের করুণ মুখখানি ধিক্ষার দিয়ে জানান দেয় প্রতিনিয়ত,কিন্তু যাদের মননে,মগজে,মস্তিস্কে,হ্রদয়ে আঘাত করার কথা,তারাতো ব্যাস্ত জনমতকে কি করে বিভক্ত করে সাগর-রুণির প্রকৃত খুনিকে আড়াল করে নিজের ফায়দা লোটা যায়।আরে আহাম্মক,বেকুফ,মেঘের জন্য না হোক,নিজের জন্য হলেও অন্তত পরকালে নিজের কর্মকান্ডের জবাবদিহি থেকে মুক্ত থাকার জন্য আইনের শাসন প্রতিষ্টা করে দায়মুক্ত হওয়া কি বুদ্বিমানের কাজ নয়?
দিনে দিনে দানা বাধিতেছে বন্ধু তোমার কৃতকর্মের জবাব দিতে হবে,আজ হোক কাল হোক।আজ তুমি বড় ধরা-ছোয়ার বাইরে,অনেক ক্ষমতা,অনেক বুদ্বি,অনেক ছল-চাতুরি করে হুন্ডা-মোন্ডার দন্ড চালিয়ে যাচ্ছ,কিন্তু মনে রেখ প্রিয় বন্ধু এরা কেউ একদিন তোমার পাশে থাকবেনা,তোমার কৃতকর্মের জবাব তোমাকেই দিতে হবে।
সাগর-রুণির নির্মম খুনের বিচার যে দেশ এবং তার প্রশাসন করতে পারেনা,আমাদের অনবরত,অজশ্র,অযুত ধিক্কার তাদের জন্য।
কূটনীতিক খালাফের হত্যাকান্ডঃ
সাগর-রুণির হত্যাকান্ডের দাগ শোকাতে না শোকাতেই খোদ রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে সৌদি কূটনীতিক খালাফ এর রক্তমাখা নিথর দেহ রাস্তায় পরে থাকতে দেখা যায়।ধারণা করা হয়েছিলো সরকার আর যাই হোক বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখতে এবং সৌদি, আম্মান, দোহা,কাতার,বাহরাইন প্রভৃতি দেশে আমাদের হাজার হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থানের দিকে লক্ষ্য রেখে,অন্তত কূটনীতিক খালাফ হত্যাকান্ডকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আসল খুনীকে বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করাবে।কিন্তু এ ক্ষেত্রেও কি দেখলাম,সরকার এবং তার খেদমতে নিয়োজিত প্রশাসন বড় অদক্ষতারই পরিচয় দেয় নাই,বরং হত্যাকান্ডের মোটিভটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার নোংড়া খেলায় অত্যন্ত সুকৌশলে চালিয়ে যায়,ফলশ্রুতিতে খালাফ হত্যাকান্ড যে তিমিরে ছিলো,সেই তিমিরেই রয়ে যায়।সামান্য দলবাজি, টাকা ও পেশীশক্তির কাছে সরকার যেন বিক্রী খেয়ে বসে আছে।নতুবা,আর যাই হোক বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্মের পর থেকে বিদেশী কোন কূটনীতিক হত্যার মতো এমন বর্বর দৃষ্টতা কখনো কোন কালে ছিলোনা।সরকার কি এই হত্যাকান্ডের পেছনের ব্যাক্তিদেরকে আইনের আওতায় আনতে পারেনা?খালি টাকা আর টাকা বানিয়ে কি হবে,এতো টাকা নিয়ে কোথায় যাবে,পুরো দেশেরতো মালিক হতে পারবেনা,তাহলে টাকা আর পেশীশক্তির কাছে কেন মাথা নত করা?আজ যে অন্যায় কে প্রশ্রয় দিয়ে মাথায় নিয়ে রাখতেছ,কাল সেই অন্যায় তোমার মাথায় কাঠাল ভেঙ্গে খাবে,কারণ মাস্তান, সন্ত্রাসী, চাদাবাজ, ধোকাবাজ, ফরিয়াবাজ, মজুদদার, চোরাকারবারি,সুদখোর,যেই হোক,তার কোন দল নেই,তার কোন পরিচয় নেই,তার কোন দেশ নেই,সে কারো বন্ধু হতে পারেনা।তাকে হেফাজতের জন্য রাষ্ট্র তোমাকে এই পদ দেয় নাই।
সোহেল তাজ, সুরঞ্জিত বাবু দফতরবিহিন মন্ত্রীঃ
তাজ উদ্দীন তনয় সোহেলতাজ নিজের ব্যাক্তিত্বের সাথে আপোষ করেনি,নিজে থেকে মন্ত্রীত্ব ছেড়ে দিয়ে ইউ,এস চলে যায়।অথচ সরকার বলে সে জানেনা,তার পদত্যাগ গৃহিত হয় নাই,রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়নাই,কি অদ্ভুদ ব্যাখ্যা।আমি সরকারে,আমি ক্ষমতায়,সুতরাং আমার যা ইচ্ছা,আমি তাই করবো,করেন কে মানা করেছে,কিন্তু পাগলামিরও একটা সীমারেখা থাকা দরকার।সোহেলতাজ মন্ত্রী থাকতে চায়নাই,তাই সে পদত্যাগ করেছে,তার মন্ত্রীত্তের শপথের ইস্তফা সে নিজেই দিয়েছে,রাষ্ট্রের উচিৎ তার সেই ইচ্ছার মূল্য দেওয়া,কিন্তু না তোমাকে আমি মন্ত্রী বানিয়েছি,তুমি চাইলে কি না চাইলে,তাতে কি তোমাকে মন্ত্রী থাকতে হবে,শপথ-টপথ এই সব কিছুনা,আমার কথাই শেষ কথা,এই যখন অবস্থা তখন বাছাধন সোহেলতাজ তুমি আর মাথা ঘামিয়ে কি হবে,তোমার ভাগ্য রেখাতো লিখে ফেলছে তোমার রাষ্ট্রের অধিপতি,তোমাকেতো চুপ থাকতে হবে।নতুবা বলা যায়না কখন কি হয়ে যায়।দেখনি কিছুদিন আগে বেলজিয়ামের রাষ্ট্রদূতকে কি ভাবে রাষ্ট্র হজম করেছে।তোমার মন্ত্রীত্তের সংবিধানের ব্যাখ্যা সবই হবে এক ব্যাক্তির ইচ্ছা-অনিচ্ছায়।
এই যখন হ-জ-ব-র-ল অবস্থা,তখন বাঘা বাম ঘেষা রাজনীতিক,দক্ষ পার্লামেণ্টারিয়ান,বাবু সুরঞ্জিত দাদা কে কি ভাবে রাষ্ট্র ঘিলে খেয়ে আবার ভমি করে ফেলে দিয়ে তা আবার পরিস্কারের নানান ফন্দি-ফিকির করে চলেছে।তাও আবার সোহেল তাজের মতোই দফতরবিহিন,এ ক্ষেত্রে সুরঞ্জিত বাবু আগেই ছলাচ্ছলে ঠিকই বলেছিলেন,ঢাল নেই,তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার,কিন্তু কি যে ঢাল,তলোয়ার তাতো করিতকর্মা রাষ্ট্র বড় আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।তোমাকে খাইছি,তোমাকে বাচিয়েছি,তোমাকে আবার দাফন করে দেওয়ার সব ব্যাবস্থা সুন্দর ভাবে করে দিয়েছি,মাঝখানে মিডিয়ার খোরাক ও দিয়ে দিলাম,চলতে থাকুক,আমিতো বহাল তবিয়তে আছি,আর জনমতকে কি করে বিভক্ত করে আমার নোংড়া খেলা, খেলা যায়,তার ছক একে দিয়ে মাঠে ছেড়ে দিয়েছি,পেন্ডুলামের ঘুরির মতো তা ঘুর-পাক খাবে,খেতেই থাকবে,পথতো খুজে পাবেনা,কারণ নাটাইতো আমার হাতে।
ইলিয়াস অপহরণঃনতুন সমীকরণঃ
ঘুম,খুন, অপহরণ, দলবাজী, মাস্তানবাজী, টেন্ডারবাজী,সবইতো হলো,কিন্তু শ্বাস রূদ্দ্বকর নাটকের পর নাটক মঞ্চস্থ করতে পারঙ্গম্পতা না দেখালেই কি চলে।আন্দোলন যেমন ঠেকানো যাবে,সুরঞ্জিত ইস্যূ তেমনি গিলে ফেলা যাবে,বিদ্যুত সমস্যা,রাস্তা-ঘাটের বেহাল অবস্থা,আইনশৃংখলার বেহাল অবস্থা,একই সাথে আর্থিক মন্দা অবস্থা থেকে পুরো জনমতকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে দল এবং দলের বাইরের সকলের মনে এক ভীতিকর অবস্থা বিরাজ করে নিজ দন্ড-মুন্ড একচ্ছত্র ভাবে চালিয়ে যেতে চাই এমন ইস্যূ,যে খানে রয়েছে অনেক সেনসিটিভ বিষয়,অথচ নিজেদের ভিতরেও কোন্দলের মাতম তোলে চলমান বৈতরনী পার হওয়ার এই যে হিংশ্র খেলা,তা তো জাতির জন্য এক ভয়ংকর অশনি শংকেত হিসেবে উপস্থিত হয়েছে।ঘটনা যে ভাবেই,যাই ঘটুক না কেন,তার উপর অতি নাটকীয় অবস্থার জন্ম দিয়ে ইলিয়াসের উদ্দ্বারের নামে গোটা পরিবার,দল,সমাজ,সংসার,এবং জাতির মনন,মগজ ধোলাইয়ের এই নোংড়া আদিম খেলার কি কোন মানে হয়।পূবাইল নাটকতো আরো অনেক নাটকের ইঙ্গিত বহন করে,মনোবিজ্ঞানী,অপরাধবিষয়ক বিশেষজ্ঞ,রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে বিশেষজ্ঞ যারা তারাতো এটাকে আরো অনেক নেগেটিভ ঘটনার জন্মের আগের আলামত হিসেবেই দেখছেন।এটা কোন আশা-ভরসার কিংবা সুখবরের আলামত নয়,নেগোসিয়েশন এর দেন-দরবারের কোন আলামত নয়,বরং ধোকা দিয়ে পুরো বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার সকল প্রি-প্লান সম্পন্ন করার ড্রেস রিহার্সাল রাষ্ট্র ভালো করেই দিয়ে দিলো,সবার চোখ ফাকি দিয়ে,প্রকাশ্যে আলামত,নজির স্থাপনের ভিন্ন এক নতুন কৌশল উদ্ভাবনের ওস্তাদি কার্যক্রম দেখে হতবাক না হয়ে পারিনি।
পূবাইলে ইলিয়াস উদ্দ্বারে ইলিয়াস পত্নীকে সাথে নেওয়ার মানে কি? নাটকের রঙ্গমঞ্চে কতো নাটক যে চিত্রায়িত হচ্ছে,কতো কুশীলব যে খেলে চলেছে,এই রঙ্গমঞ্চ, এই খেলা একদিন ভাঙ্গবেই,আর যখন ভাঙ্গবে তখন যে কি ভয়াবহ অবস্থার তৈরি হবে,সেটা সামাল দেওয়ার ক্ষমতা কি এই রাষ্ট্র রাখে?
কারণ এই রাষ্ট্রতো পারেনি মিনার মাহমুদের মতো প্রথিত যশা সাংবাদিককে রক্ষা করতে।আফসোস বিচিন্তার রুপকার মিনার মাহমুদ যখন রাষ্ট্রের ধারে ধারে ঘুরে বেরিয়েছে, বেচে থাকার এক-আধটু স্বপ্ন নিয়ে,তখন এই রাষ্ট্র এবং তার অধিপতিরা মিনারমাহমুদকে এতোটুকু সাহায্য,সহযোগীতা করেনি,আজ যখন সে সকল ধরা ছোয়ার বাইরে চলে গেছে,সব চাওয়া-পাওয়ার উর্ধে চলে গেছে,তখন মিনার মাহমুদের জন্য কলমের কালি যেন শেষ হতে চায়না।হায়রে মানবতা,হায়রে বন্ধুত্ত্ব।
সন্ত্রাস,খুন,চাদাবাজি,ধোকাবাজি কে প্রশ্রয় নয়,বরং রাষ্ট্র এবং তার অধিপতিরা হবে এর বিরুদ্ধে কঠোর।কিন্তু আফসোস আমাদের রাষ্ট্রীয় ব্যাবস্থা এবং তার ঘাড়ে যারা বসে পড়ে তারা হয় এর উল্টো,তারা বরং সন্ত্রাস,চাদাবাজ,খুন-খারাবিকে পৃষ্টপোষকতা দিয়ে তরু-তাজা করে তোলে,ফলশ্রুতিতে সন্ত্রাস,চাদাবাজ,খুনী,আরো আস্কারা পেয়ে বসে,সমাজে বাড়তে থাকে অশান্তি,আতংক,আর এর সর্বশেষ সংস্করন গুম, অপহরণ-রাষ্ট্র কিছুতেই এর দায় দায়িত্ত এড়াতে পারেনা।
ব্যারিষ্টার রফিকুল ইসলাম এক্ষেত্রে যথার্থই বলেছেন, আমরা গণতন্ত্রের দিকে একদাপ এগুলো পিছিয়ে পড়ি আরো দুই দাপ,এই ভাবেতো একটা দেশ চলতে পারেনা।তিনি আরো বলেছেন,সুরঞ্জিত ইস্যূকে ধামা-চাপা দিতেই ইলিয়াস অপহরণ।আমরা চাই ইলিয়াসের সুস্থ্য স্বাভাবিক ফিরে আসা,না হলে জাতিকে অনেক কলঙ্ক বয়ে বেড়াতে হবে।এক্ষেত্রে সাবেক বিচারপতি হাবিবুর রহমান আক্ষেপ করে বলেছেন, রাজনীতি নিয়ে কথা বলে বিপদে পড়তে চাইনা।এই যখন অবস্থা,তখন না জানি কাল কিংবা পরশু আরো কতো আতংক জাতির কপালে লেখা রয়েছে? (চলবে)।
21 April 2012
United Kingdom.
PUBLISHED Banglabarta.amadersylhet.com