সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদঃ লন্ডন মেয়র নির্বাচনের এখনো অনেক সময় বাকী। তবে প্রভাবশালী দুই দলের দুই প্রতিদ্বন্ধি সমসাময়িক ও বার্নিং ইস্যুগুলো নিয়ে একে অন্যকে ঘায়েল করার চেষ্টা অব্যাহত আছে। এই মুহুর্তে ব্রিটেনের সাধারণ ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মধ্যে সব চাইতে যে বিষয় বেশী প্রাধান্য পাচ্ছে সেটা হচ্ছে জর্জ ওসবর্নের ট্যাক্স ক্রেডিট রিফর্ম। বলা হচ্ছে প্রতিটি মধ্যবিত্ত পরিবার যারা ট্যাক্স ক্রেডিটের উপর নির্ভরশীল তারা ১,০০০ হাজার পাউন্ড করে হারাবেন। সরাসরি লন্ডনের ৫০০ মিলিয়ন গরীব পরিবার ও শিশুরা এফেক্টেড হবেন বলে পার্লামেন্টের লাইব্রেরি থেকে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, যাতে খোদ লন্ডন মেয়র বরিস জনসন ওসবর্নকে এ বিষয়টি পূণর্বিবেচনার আহবান জানিয়েছেন। সবকটা অ্যাঙ্গেলের রিপোর্টে বলা হচ্ছে কনজারভেটিভ ব্যাক বেঞ্চাররা ট্যাক্স ক্রেডিট রিফর্ম নিয়ে রিভোল্ট করতে পারেন যেকোন সময়।
এমতাবস্থায়, গতকাল কমন্স সভায় লেবার দলের উত্থাপিত মোশন যখন পারাজিত হয়ে যায়, এর পরে লন্ডনের মেয়র নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী জ্যাক গোল্ড স্মীথ লেবার এমপি ফ্র্যাংক ফিল্ড দ্বারা উত্থাপিত ট্যাক্স ক্রেডিট পরিকল্পনা সংস্কারের ব্যাপারে নিম্ন আয়ের পরিবারকে সুরক্ষার জন্য যে প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছে, সেটা নিয়ে দ্বিতীয় বিতর্কের আহবান জানিয়ে বলেছেন, নিম্ন আয়ের মানুষদের অতিরিক্ত ব্যয় ছাড়াই রক্ষা করা যায়- সেজন্য এই সেপটিসিজম নিয়ে আবার বিতর্কের আহবান জানান। পক্ষান্তরে লেবার প্রার্থী সাদিক খান বলছেন, জ্যাক গোল্ড স্মীথ এর এই আহবান অনেক দেরী হয়ে গিয়েছে, কেননা এর আগ পর্যন্ত জ্যাক এ বিষয় নিয়ে কোন কথা বলেননি, যেহেতু এটা লন্ডনারদের জীবন মরণ বার্নিং ইস্যু।
গতকালের কমন্সের লেবারের মোশনে কোন টোরি এমপি ভোট দেননি। কেবলমাত্র হেইডি অ্যালেন এবং জনি মার্সারের মতো নতুন এমপিরা তীব্র ভাবে কান্না জড়িত কন্ঠে সমালোচনা করেছেন।
কনজারভেটিভের প্রার্থী জ্যাক গোল্ড স্মীথসহ টোরি পার্টির চার এমপি লেবারের ফ্র্যাংক ফিল্ডের উত্থাপিত মোশন নিয়ে দ্বিতীয় বিতর্ক ২৯ অক্টোবর এর আহবান জানিয়ে বলেন এর ফলে অতিরিক্ত ব্যয় ছাড়াই প্রস্তাবিত এই সংস্কার পরিকল্পনার দ্বারা অন্যভাবেও এই পরিস্থিতি থেকে উত্তোরন তথা ট্যাক্স ক্রেডিট রিফর্মের সমস্যা থেকে সহজে বেরিয়ে আসা যাবে।
জ্যাক গোল্ড স্মীথ ফ্র্যাংক ফিল্ডের প্রস্তাবিত সংস্কার দ্বারা অন্যভাবে সহজেই নিম্ন আয়ের পরিবারদের সুরক্ষা করা যাবে বলে মনে করছেন। সেজন্য দ্বিতীয় বিতর্কের আহবান জানিয়েছেন।
অন্যদিকে সাদিক খান বলেছেন, জ্যাক ২০১০ সালে উত্থাপিত এই রিফর্ম যা এপ্রিল থেকে টোরিরা করতে যাচ্ছে, এর ফলে মিলিয়ন মিলিয়ন লন্ডনের পরিবার সহ দেশব্যাপী নিম্ন আয়ের পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হবেন, যাদের আয় ১,৩০০ পাউন্ড পর্যন্ত হারাবেন বলে রিপোর্টে বলা হচ্ছে- এ ব্যাপারে জ্যাক স্মীথ কোন বক্তব্য রাখেননি লন্ডনারদের ওয়ার্কিং পরিবারদের সহায়তায়। এখন রিফর্ম হতে যাচ্ছে- এই অবস্থায় জ্যাকের বক্তব্য অনেক দেরীও করে ফেলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন।
এদিকে জানাগেছে ক্রস বেঞ্চের পিয়ার ব্যারোনেস মিয়ার এই রিফর্মকে লর্ড সভায় আটকে দেয়ার প্ল্যান বাতিল করে দিয়েছেন, যখন কমন্স সভার স্পিকার এই উদ্যোগকে সাংবিধানিক সংকটের কথা মনে করিয়ে দেন, তারপরই সেই উদ্যোগ তিনি বাতিল করে দেন।
(চলবে)
প্রিয় পাঠক লন্ডনের মেয়র নির্বাচনের আগ পর্যন্ত জ্যাক গোল্ড স্মীথ ও সাদিক খানের নির্বাচনী বক্তব্য, ইস্যু, বিতর্ক ও জরিপ এবং সাক্ষাতকার নিয়ে ধারাবাহিকভাবে রিপোর্ট প্রকাশিত হবে নারী ম্যাগাজিনে। নারী ম্যাগাজিনের সঙ্গেই থাকুন । আজ প্রকাশিত হলো দ্বিতীয় পর্ব-
salim932@googlemail.com
23rd October 2015, London