সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ-
ব্রিটেনের গণভোটের রেজাল্ট ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হওয়ার ব্যাপারে সুস্পষ্ট মতামত দিলেও ব্রেক্সিট নিয়ে বিতর্ক থামেনি, বরং ব্রেক্সিট ইস্যু এখন ব্রিটিশ রাজনীতি, অর্থনীতি ও সার্বিক অবস্থায় বিরাট এক প্রভাব ফেলে চলেছে প্রতিনিয়ত। যদিও বর্তমান প্রাইম মিনিস্টার টেরেজা মে বলেছেন ব্রেক্সিট মিনস ব্রেক্সিট, কিন্তু তারপরেও ব্রেক্সিট নিয়ে বিতর্ক বেড়েই চলেছে।
মাস্ট্রিক্ট ও লিসবন ট্রিটি ড্রাফট যিনি করেছিলেন, বিগত ২৩ বছর ধরে যিনি লিগ্যাল সার্ভিস অব দ্য মিনিস্টার্স কাউন্সিলের ডিরেক্টর জেনারেল হিসেবে কাজ করছেন, সেই আইনজীবী জিন ক্লড পাইরিস স্কাই নিউজের সাথে বলেছেন, আর্টিকল ফিফটি ট্রিগার মানেই নয় যে, ব্রিটেন ট্রিগার করার পরে সেটা আর চেইব্জ করতে পারবেনা, বরং আর্টিকল ৫০ ট্রিগার করার পরে ব্রিটেন চাইলে সেটা আবার ফিরিয়ে বা প্রত্যাহার করে নিতে পারবে।
আইনজীবী জিন ক্লড বলেছেন, আর্টিকল ৫০ ইউরোপীয় আইনে ঢুকানোর পরে কেউই ভাবেনি এটা ব্যবহার করতে হবে অথবা এখন পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়নি। এটা প্রয়োগের কোন নির্দেশনাও আইনে নেই।
জিন ক্লড এই ট্রিটির প্রণেতা হিসেবে এ বিষয়ের উপর তার মতামতও দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আর্টিকল ৫০র ব্যাপারে কোন আইনি বা লিগ্যাল প্রভিশন নেই।
তবে তিনি বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ বিশ্বের অপারাপর ৬০/৭০টি দেশের সাথে ব্রিটেনের যথাক্রমে সিঙ্গেল মার্কেট ও ট্রেড এগ্রিম্যান্ট রয়েছে। ট্রেড এগ্রিম্যান্ট বিশাল এবং পৃষ্ঠাও কয়েকহাজার। ব্রেক্সিটের পরে ব্রিটেনকে হ্যাভি মূল্য দিতে হবে- সেটা হয়তো ৩০ বছর পর্যন্ত বা আগামী ১৫ বছর অর্থনীতিতে গভীর বেদনা বা ক্ষতি মূল্য দিতে হবে।
এদিকে কমন্স সভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে টেরেজা মে অধিকাংশ প্রশ্নের জবাব না দিয়ে শুধু বলেছেন আর্টিকল ৫০ ট্রিগার করার জন্য তার বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে, যা তিনি করবেন।
তবে আর যাই হউক, ব্রেক্সিট অথবা তার জন্য আর্টিকল ৫০ ট্রিগারের পরেও নাটকীয় কোন কিছু যে ঘটে যেতে পারে-সেটা জিন ক্লডের অভিমতে সহজে বুঝা গেলেও বিতর্ক কিন্তু থামবেনা
বিস্তারিত আসছে আগামীকাল…
Pingback: Begum24.com | আর্টিকল ৫০ ট্রিগারের ব্যাপারে আইনি কোন প্রভিশন নেই