হজ্বের লটারি সিস্টেমে ইউকের এজেন্সিগুলোতে ধ্বস

হজ্বের লটারি সিস্টেমে ইউকের এজেন্সিগুলোতে ধ্বস

সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ। সৌদিআরব হজ্বে এজেন্সিগুলোর প্রতারণা বিরুদ্ধে নতুন অভিযান শুরু করে সম্প্রতি। তারই শুরুতে আচমকা এবছর হজ্বের আবেদনের জন্য ইউরোপ, আমেরিকা, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়ার জন্য নতুন সিস্টেমে সরাসরি আবেদন ও লটারি সিস্টেম চালু করে। যার ফলে আগে থেকে হজ্বের বুকিং নেয়া এজেন্সিগুলো হজ্ব মওসুমের এই ব্যবসায় মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। ব্রিটেনের অনেক মুসলমান যারা এজেন্সিতে আগে ভাগেই বুকিং দিয়ে রেখেছিলেন, তাদের যাত্রাও অনিশ্চিত।

সৌদি আরবের হজ্ব মিনিস্ট্রি বলছে, এজেন্সিগুলোতে বুকিং দেয়া জমা অর্থ ফেরতের জন্য উপদেশ দিয়েছে। বাধ্য হয়ে অনেকেই বুকিং বাতিল করে টাকা ফেরত নিচ্ছেন। এদিকে আচমকা লটারি সিস্টেমের ফলে এজেন্সিগুলো ব্যবসা হারিয়ে বিপাকে পরেছে। কারণ তারা ইতোমধ্যে সৌদি আরবে নানা সেবার জন্য হোটেল বুকিং সহ ডিপোজিট রেখেছিলেন, সেই সব ঝামেলা মিটাতে হিমসিম খাচ্ছেন-এমন অভিযোগ অনেকেরই।

এদিকে সরাসরি অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন জমা দিয়েও লটারি সিস্টেমে অনেকেই যাওয়ার সুযোগ পাওয়া নিয়েও অনিশ্চয়তায় রয়েছেন।
ব্রাডফোর্ড সহ গ্রেটার লন্ডনের অনেক হজ্ব এজেন্সি জানিয়েছেন বর্তমান সিস্টেমে তারা মোটা অংকের টাকা ক্ষতির সম্মিখীন, যা অনেক এজেন্সির পক্ষে রিকভারি সম্ভব নাও হতে পারে।

আটল রেজিস্টার্ড এজেন্সিগুলো জমাকৃত টাকা রিফান্ডের নিশ্চয়তা থাকলেও অন্যদের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তাও কাজ করছে অনেকের।আবার সরাসরি বুকিং দেয়ার পরে সিস্টেম এররের কারনে কারও কারও বুকিং সিস্টেমের পোর্টালে এরর দেখাচ্ছে এমন অভিযোগও করছেন কেউ কেউ।

উল্লেখ্য প্রতিবছর ব্রিটেন থেকে ২৫,০০০ এর মতো হজ্ব যাত্রী সৌদি আরব হজ্ব করতে যান। এবারের চালুকৃত ই-সার্ভিস ব্যবস্থা আগামীতেও চালু থাকবে কিনা এখন পর্যন্ত কোন নির্দেশনা সৌদি আরব থেকে প্রকাশ করা হয়নি।