প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বিদায় ঘন্টা বলা যায় বেজেই গেছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কেবিনেট থেকে ৪৬ এমপি পদত্যাগ করেছেন। রাতে বরিস জনসন প্রভাবশালী মন্ত্রী মাইকেল গোভকে কেবিনেট থেকে সাক করেছেন। সব মিলিয়ে বরিস জনসনের জন্য বুধবার দিন এবং রাত এক বড় বিপর্যয়ের রাত পার করছেন। রাজনৈতিক পন্ডিতেরা বলছেন, আরও পদত্যাগ আসছে, বরিসের পক্ষে টিকে থাকা অসম্ভব। কিন্তু বরিস জনসন বলছেন, তিনি পানি থেকে ভেসে উঠবেন-লড়াই চালিয়ে যাবেন।
টালমাটাল এক অবস্থায়, রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের সবচাইতে দুঃসময়ে একা কীভাবেই বা তিনি কেবিনেটের এতো ক্যু মোকাবেলা করে টিকবেন-সেটাই এখন দেখার বিষয়।
কারণ আরও কেবিনেট মন্ত্রী পদত্যাগ করলে তাকে বিদায় নেয়া ছাড়া আর কোন গত্যন্তর নেই।
পাওয়ারফুল কমিটি ১৯২২ এক্সিকিউটিভ কমিটির ১৮ সদস্যকেও প্রভাবিত করার বা নতুন করে লেখার ক্ষমতা অর্জনের পথে বিদ্রোহী এমপি মন্ত্রীরা। যদি তাই হয় তাহলে ফের অনাস্থা ভোটের মুখোমুখীও হতে পারেন জনসন।
গুঞ্জন আর্লি ইলেকশনের কথাও বাতাসে উড়ছে।
আবার বিবিসি, আইটিভি, স্কাই সহ প্রভাবশালী মিডিয়ায় কনজারভেটিভ লিডারশিপ দৌড়ের কারও কারও নাম উল্লেখ করে রিপোর্টও প্রকাশিত হচ্ছে।
এমনি অবস্থা বরিস জনসন তার বাইওয়ান্ট ডিটারমিনেশন ম্যাজিক কতোটুকু টিকবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।