বিশ্বস্ত সূত্রে, যা অতি সেনসিটিভ এবং সরকারের একেবারে উঁচু মহলে উঠা-বসা, বলা যায়, প্রধানমন্ত্রীর মিনি কেবিনেটের ভিতর থেকে প্রাপ্ত, কূটনৈতিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন, কলম্বো থেকে ফিরে দেশের দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে, ভারতীয় কূটনীতিক পঙ্কজ শরণের উপদেশ এবং দেশের রাজনীতির গুটির চাল খালেদা জিয়ার হাতের নিয়ন্ত্রণের বাইরে রাখার জন্য, শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ এডভোকেটকেই সর্বদলীয় সরকারের প্রধান হতে অনুরোধ করবেন।
ভারতের উঁচু মহল থেকে শেখ হাসিনাকে এই সিগন্যাল পৌঁছে দেয়া হয়েছে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে। মার্কিনীরা দেশের জনমত কিছুতেই হাসিনার অনুকূলে নয়- এমন মনোভাব জোরের সাথে ভারতীয়দের সাথে শেয়ার করছে, যাতে সকল দলের অংশ গ্রহণে নিরপেক্ষ ক্রেডিবল ইলেকশন করা যায়।
বাজারে যে সংবাদ বেরিয়েছে, ডঃ আনিস-উজ-জামানের ব্যাপারে, সূত্র সেই সংবাদ একেবারে উড়িয়ে দিয়েছেন এই বলে যে, রাজনৈতিক কঠিন বাস্তবতায়, সাহিত্যিক ডঃ আনিসুজ্জামান একজন সফট ও দুর্বল মনের মানুষ। শেখ হাসিনা শাহাব উদ্দিনের অভিজ্ঞতায় দ্বিতীয়বারের মতো একই ভুল করবেননা।
বাংলাদেশ কেন্দ্রিক আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক খেলার প্রেক্ষিতে, প্রধানমন্ত্রী টাল-মাটাল অবস্থার প্রেক্ষিতে আরো দু থেকে তিনটি অপশন মাথায় রেখে এগুচ্ছেন বলে জানা গেছে। পরিস্থিতির ভয়াবহতায়, সেনাবাহিনীর সহায়তায়, ১/১১র মতো অবস্থার পুনরাবৃত্তি না করার শর্ত-সাপেক্ষে নির্ধারিত কিংবা একটু দীর্ঘ সময়ের জন্য সেনাবাহিনীর ভূমিকা বাড়িয়ে আগামী নির্বাচন সম্পন্ন করা, যাতে দেশ ও জনগণ আন্তর্জাতিক কূটনীতির বা জাতিসংঘের চ্যাপ্টার এইট বাংলাদেশে বাস্তবায়নের পথ রুদ্ধ করা যায়- এমন এক চিন্তাও নীতি নির্ধারকদের মধ্যে এখন সক্রিয়।
দ্বিতীয় আবশ্যিক যে চিন্তা নীতি নির্ধারকদের কাছে সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে, তাহলো অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য দেশে জরুরী আইন জারি করে জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডব ও চোরাগুপ্তা হামলা মোকাবেলা করে জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদী আন্তর্জাতিক যুদ্ধের সমান অংশীদার হয়ে সর্বাত্মক এক রাজনৈতিক গেইম দিয়ে চলমান সহিংসতা নিয়ন্ত্রণ করে আন্তর্জাতিক কূটনীতির পুরো ফায়দা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসে, একই সাথে বিরোধীদলের আন্দোলন সাময়িকভাবে দমন করে পর্দার আড়ালে নির্বাচনের সমঝোতার পরিবেশ সৃষ্টি করা। নীতি নির্ধারকদের কাছে এখন আশু এই ব্যবস্থা অধিক গ্রহণ যোগ্য বলে বিবেচিত হচ্ছে। কেননা, মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনও সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে চলেছে, সরকারের কাছে এই সংবাদও আছে। সচিবালয় সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মন্ত্রী ও সরকারী নেতাদের এড়িয়ে চলার অবস্থার প্রেক্ষিতে সরকার এখন বেকায়দায়। এই অবস্থায়, খালেদা জিয়া একদফা আন্দোলনের ডাক দিয়ে আন্না হাজারীর মতো মরণ-কামড় দিয়ে বসলে পরিস্থিতি যে নাগালের বাইরে চলে যাবে, আওয়ামীলীগ ভালোকরেই সেটা বুঝে গেছে।
জানা গেছে, আব্দুল হামিদকে প্রধান করে শেষ রক্ষা না হলেও সরকার বিকল্প দুই পথের যেকোন এক পথ বেছে নিবে।
আর জামায়াতে ইসলামী আজকে যে সহিংস অবস্থানে থেকে সরকারের জন্য ভীতির কারণ হয়ে আছে, দূতাবাস সমূহে জামায়াত আজকে যেখানে জামাই আদরে আছে, সরকারের বিকল্প পথের যেকোন এক পথ দলটির জন্য আরো ভয়াবহ অবস্থা অপেক্ষা করছে বলে এই সূত্র মন্তব্য করেছেন।
১৬ নভেম্বর ২০১৩ ।