
স্মৃতি বড় বেদনাময়ঃস্মৃতিতে অম্লান মিশুক মুনীর থেকে প্রফেসর নূর মোহাম্মদ মিঞা-
সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ / ইউ,কে থেকে-
নিজেকে বড় অসহায় মনে হচ্ছে,বড় ব্যাথিত,বড় মর্মাহত হ্রদয়ে কলম ধরতে হচ্ছে।এক রাশ কষ্ঠ বুকের ভিতর জগদ্দল পাথরের মতো একে একে বাসা বেধে বসেছে,বুকের সেই জগদ্দল পাথর প্রতিনিয়ত রক্ত জমাট বেধেই চলেছে,এ পাথর এতো ভারী হতে চলেছে যে,শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে বড় কষ্ঠ হচ্ছে,কোন ডাক্তারী পরীক্ষায়,কোন প্রকারের ঔষধ-পথ্যে সেই কষ্ঠ,সেই পাথর লাঘব হওয়ার মতো নয়।ঐ যে প্রবাদ আছেনা,সর্বাঙ্গে ব্যাথা ঔষধ দেব কোথায়।
আমাদের প্রতিনিয়ত সুখ,দুঃখ,হাসি-কান্না,আশা-ভরসার মাঝে প্রতিনিয়তই যিনি বা যারা আমাদেরকে সকল সময়ই একটু আশার আলো,একটু উদ্দীপনা,ভালোবাসার কথা সততই শুনাতেন কিংবা চলার পথে আলোর দিশারী হয়ে দিক-নির্দেশনা দিতেন,জীবন চলার পথের সঠিক পথ দেখাতেন-একে একে সেই সব জ্ঞানী-মহীয়সী, চলার পথের আলোর দিশারীরা জীবন চলার বাতি নিভিয়ে একে বারে পরপারে চলে যাচ্ছেন,যেখান থেকে আর কেউ ফিরে আসেনা,ভাবতেই অবেক লাগে,নিজেকে বড় একলা,বড় নিঃস্ব মনে হয়,জীবন চলার পথের সব সৃজনী শক্তি যেন আজ হারাতে বসেছি।প্রতিনিয়ত যারা আলোর পথ দেখাতেন, তারাই চলে গেছেন আজ অন্ধকারের মাটির ঘরের চিরস্থায়ী ঠিকানায়।আমাদেরকে আর আলোর পথ কে এসে দেখাবে?
কেন জানি মনে হয়,আমাদের, মানে বাঙ্গালীদের আনন্দ খুব বেশী দীর্ঘায়িত হয়না।প্রতিনিয়ত ঝড়-ঝঙ্ঘ্বা,খড়া-বন্যা,জলোচ্ছ্বাস এর জন্য মনোগত কোন কারণ কিনা, তা কেবল মনোবিজ্ঞানী এবং সমাজবিজ্ঞানীরাই বলতে পারবেন।প্রিয় কবি,সাংবাদিক,লেখক,যে নামেই ডাকিনা কেন,তাকে বরং ছোট করাই হয়,সদা হাস্যোজ্জল,সেই আমার প্রিয় বন্ধু,প্রিয় ভাই আরজু আহমেদ-যে আমাদেরকে সব সময় মাতিয়ে রাখতো,হঠাত করে সবার অগোচরে একে বারে বিনা নোটিশে,কোন প্রকারের রোগ বালাই ছাড়াই মৃত্যকে অল্প বয়সে আলিঙ্গন করে চলে যায়।ভাবতে বড় অবাক লাগে একদিন আগে,এমনকি মৃর্ত্যুর কিছু সময় আগেও যে আমাকে এসএমএস করে কুশল জিজ্ঞেস করে ইমেইল চেক করতে বলেছিল,ভাবতে বড় কষ্ঠ হয়,ঠিক তারও কিছু পরে আরো এক প্রথিতযশা প্রিয় কবি সাযযাদ কাদির ফেইস বুকে ষ্ঠ্যাটাস লিখে জানান দিলেন সহ কর্মী বন্ধু আরজু আহমেদ আর নেই।আরজু ছিলেন আমার একজন একনিষ্ঠ বন্ধু,স্বজন,একজন ভাই-যিনি প্রতিনিয়ত পরিচিত সবার খবরাখবর নিতে ভালোবাসতেন।কাজ করতেন পাক্ষিক আলোর মিছিলে,আরজু আহমেদের অনুপ্রেরণাতেই মূলত আলোর মিছিলে নিয়মিত লেখা শুরু।কখনো লেখালেখী বন্ধ করলে আরজুর সে কি মিষ্ঠি যন্ত্রণা,কি সেলিম ভাই,লেখা কৈ,লেখা পাঠান।আরজু আহমেদের জনপ্রিয় ছোট কাব্যগ্রন্থের নাম পয়গন্মরের কথা যখন প্রকাশ হয়, তখন দেখেছি একজন লেখকের কি যে দারূন উচ্ছাস,আর প্রকাশের জন্য সে যে কি কষ্ঠ,আজ স্মৃতির পাতায় সে কেবলই এক সুখ স্মৃতিময় নয়া দুঃখের দিনলিপি।আল্লাহপাক আমার প্রিয় আরজু ভাইকে জান্নাতবাসী করুন।
দুই।আরজু আহমেদের শোক ভুলতে না ভুলতেই আচমকা এটিএনবাংলার পর্দায় আরো এক আচমকায় এক শোকের সংবাদ,যে সংবাদ গোটা জাতিকে করেছিলো স্থম্ভিত,হতবিহবল,মূক,বধির।গোটা বাঙ্গালীজাতি হয়েছিলো শোকে বিহবল।জতি হিসেবে আমরা বড় লজ্জিত,অপমানিত হই,যখন দেখি জাতির শ্রেষ্ঠ দুই সন্তান মিশুক মুনীর এবং তারেক মাসুদ কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে ঘাতক বেপরোয়া গাড়ীর মুখোমুখী সংঘর্ষে সড়ক দুর্ঘটনায় শোচনীয়ভাবে নিহত হন।প্রথিত যশা সাংবাদিক,টেলিভিশন সংঘটক,অত্যন্ত অমায়িক বন্ধু্র মতোছিলেন মিশুক মুনীর।ব্যাক্তিগত ভাবে মিশুক মুনীর ভাই ছিলেন আমার সহপাঠী,বন্ধু আসীফ মুনীরের বড় ভাই,সেই হিসেবে বেশ কয়েকবার ব্যাক্তিগতভাবে সাক্ষাতের সুযোগ হয়েছিলো,অল্প সাক্ষাতে দেখেছি,মুনীর ভাই কত কাজ পাগল লোক ছিলেন, খুব নম্র স্বভাবের লোক ছিলেন,কথা বলতে একে বারে বক্তব্যের ভিতরে চলে যেতেন,মনে হত যেন আয়নায় নিজের ছবি আকছেন।আর তারেক মাসুদতো বাংলাদেশের স্বল্পদৈর্ঘের চলচ্চিত্র নির্মাণের এক দিকপাল,স্বল্প সময়ে দিয়েছেন বাংলাদেশকে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক পুরুস্কার,নিজের ব্যাক্তিগত জীবনকে তথা আরাম-আয়েসকে তুচ্ছ জ্ঞান মনে করে সর্বদা ব্যাপৃত থাকতেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি আর চলচ্চিত্রকে কিভাবে আরো উন্নত ও আরো পরিশীলিত করে বিশ্বসভায় নিয়ে যাওয়া যায়,অথচ এরকম নিঃশ্বার্থ জনদরদী দেশের দুই শ্রেষ্ঠ সন্তানকে বেপরোয়া সড়ক দুঃর্ঘটনায় বড় মর্মান্তিকভাবে প্রাণদিতে হলো,ভাবতে বড় অবাক লাগে,হ্রদয়ে রক্তক্ষরণ হয়।জানিনা মিশুক মুনীর এবং তারেক মাসুদের আত্ত্বা দেশ ও জাতির কর্ণধারদের কাছ থেকে সুবিচার পাবেনকিনা?কারণ আমাদের রাষ্ঠ্রযন্ত্র আর এর বিচার ব্যাবস্থার করুন অবস্থার কথা আমাদেরকে এ ক্ষেত্রে খুব একটা আশাবাদী করেনা।মিশুক মুনীর এবং তারেক মাসুদের বিদেহী আত্ত্বার মাগফেরাত কামনা করে আসীফ মুনীর এবং ক্যাথরীন মাসুদ সহ শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আমদের নিরন্তর সমবেদনার সাথে এই আশা দৃঢ়তার সাথে দিতে পারি, আর যাই হউক অজশ্র বাঙ্গালীর অযুত ভালোবাসা প্রতিনিয়ত আপনাদের চলার পথের পাথেয়।
তিন।ইলিয়াস কাঞ্চন যখন নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন শুরু করেন,তখন অনেকের সাথে আমি নিজেও সামিল ছিলাম,ইলিয়াস কাঞ্চন যখন নায়ক হিসেবে জনপ্রিয়তার একেবারে তুঙ্গে অবস্থান করছিলেন,তখন এক ভায়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় পতিত হন,যেখানে তার বাচা-মরার প্রশ্ন জড়িত ছিলো।যতটুকু মনে পড়ে সেদিন রাষ্ঠ্রের সর্বোচ্চ পদে আসীন ছিলেন আজকের মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ।তখন প্রভাবশালী রাজনৈতিক এক নেতার ব্যাক্তিগত সহকারী হিসেবে সেদিনকার রাতের চলচ্চিত্র শিল্পের সাথে জড়িত সকল নেতৃবৃন্দ গভীর রাতের সেই সংকটময় সময়ে ইলিয়াস কাঞ্চনকে সিঙ্গাপুরে উন্নত চিকিতসার জন্য পাঠানোর বিশেষ ব্যাবস্থার সাথে জড়িত থাকার সৌভাগ্য হয়েছিলো।ইলিয়াস কাঞ্চন সেই থেকে অনেক কষ্ঠে বলা যায় এককভাবে (পত্নী জাহানারার অকাল প্রয়াণের পর)নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন কে আজকের পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন,সে জন্য আমাদের সুশীল সমাজ সহ রাষ্ঠ্রযন্ত্রের উচিত হলো এই আন্দোলনকে প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
চার।মিশুক মুনীর এবং তারেক মাশুদের অকাল র্মত্যৃর ঘা হ্রদয়-মন থেকে মুছতে না মুছতেই ঝড়ের বেগে আরো এক শোকের সংবাদ বিদ্যুতবেগে বেসে আসলো,অকষ্মা এক সংবাদ যেন ঝড়ের বেগে ধেয়ে আসলো,যে সংবাদের জন্য মোটেই প্রস্থুত ছিলামনা,নিজের পৃথিবীটাই কেমন যেন উলোট-পালোট হয়ে গেলো।সব কিছু যেন কেমন ছন্দহীন হয়ে গেলো,জীবনের মানেই যেন নতুন করে পাল্টে যেতে লাগলো।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (এরশাদের জংলীশাসনের বদৌলতে দশটি বছর)অধ্যয়নকালীন দশটি ব্যসর ছাড়াও চাকুরী এবং ব্যাক্তিগত জীবনে একজন অত্যন্ত দয়াময়,বিনয়ী,আদর্শ শিক্ষকের পাশাপাশি একজন নির্মোহ পিতার মতো যিনি সারাক্ষণ ছায়ার মতো ঢাল হিসেবে আচ্ছন্ন করে রেখেছিলেন, সেই প্রিয় শিক্ষক,প্রিয় অভিভাবক প্রফেসর নূর মোহাম্মদ মিঞা আর আমাদের মাঝে নেই।বয়ঃসন্ধিকালে ৮৯ বছর বয়সে গত ১৮ ডিসেম্বর ২০১১ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।প্রফেসর মিঞা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান,বাংলাদেশের স্বাধীনতা উত্তর টালমাটাল রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সময় মরহুম প্রফেসর মোহাম্মদ মিঞা রাষ্ঠ্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে আলাদা করে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিভাগের জন্মদান করেন,তার নিরলস এবং অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলস্বরূপ পরবর্তিতে চার বছর মেয়াদী অনার্স কোর্স চালু হয়।সে কারণে আজকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান ডঃ এ,কে,ফিরোজ আহমেদ যথার্থই প্রফেসর মিঞাকে পাবলিক এডমিনিষ্ঠ্রশনের গুরু হিসেবে এক শোক বার্তায় উল্লেখ করেছেন।অজকের অষ্ঠ্রেলিয়ায় বসবাসরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং এই বিভাগের বিগত পচিশ ব্যসর পূর্তি উতসবের দক্ষ সংঘটক ডঃ হাবিব জাফর উল্লাহ মরহুম প্রফেসর মিঞাকে তার চলার পথের নির্দেশক হিসেবে উল্লেখ করে বলেন,মরহুম প্রফেসর মিঞাই তাকে ইউএসএইড এর চাকূরী থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা জীবনে নিয়ে আসেন।আমার আজও মনে পড়ে স্যার আমাদেরকে অসম্ভব স্নেহ করতেন,যেমন করতেন আমাদের আরো এক মহান শিক্ষক পিতৃতুল্য,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের আরোএক নক্ষত্র,বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রফেসর ডঃ আসাদ উজ জামান স্যার।সকল শিক্ষকই স্নেহকরতেন সকল ছাত্র/ছাত্রীদের সমানভাবেই,কিন্ত সব স্নেহ-সব মমতা ছাড়িয়ে যেত মরহুম আসাদ স্যার এবং মরহুম নূর মোহাম্মদ স্যার এর মায়া,মমতা,ছাত্র/ছাত্রীদের দেখভাল করার প্রতি।প্রতিটি ছাত্র/ছাত্রীদের কাছে এই দুই শিক্ষক ছিলেন পিতৃতুল্য,কখনো একজন বড় ভাই,কখনো একজন যথার্থ অভিভাবক।নিঃসন্দেহ জীবিত সকলেই একবাক্যে আমার এই মতের সাথে একমত পোষণ করবেন।স্যার এতো আন্তরিক,এতো দায়িত্বপূর্ণ ছিলেন,পাস করার পর কোথায়,কিভাবে চাকুরী করবো,কি ভাবে ক্যারিয়ার গড়বো,পরিবার ও মা-বাবার প্রতি কি ভাবে দায়-দায়িত্ব পালন করবো,সব ব্যাপারেই পরামর্শ দিয়েই ক্ষান্ত হতেননা,নিয়মিত খোজ-খবর ও নিতেন।পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ছাত্র রাজনীতির জন্য স্যার আমাকে বিশেষ পছন্দ করতেন,তবে সব সময় বলতেন পড়াশুনা আগে,তারপর নিজ পরিবার,এর পরে নিজেকে গড়ে নিয়ে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করার কথা বলতেন।প্রবাসে আসার পরেও আসাদ স্যার এবং নূর মোহাম্মদ স্যার সব সময় খোজ খবর নিতেন,আমার বাবার মৃত্যুর পরে আমি যখন একেবারে দিশেহারা হিয়ে যাই,তখন এই দুই স্যারই আমাকে পরম স্নেহে,পরম মমতায়,একে বারে পিতার স্নেহে আমাকে কছে টেনেনিয়েছিলেন,রাজনৈতিক ঢামাঢোল এবং ব্যাক্তিগত টানাপোড়নের কারণে আমি তখন কোন আপনজনকেই কাছে পাইনাই,বন্ধু-বান্ধব তখন অনেক দূরে সরে গিয়েছিলো,অথচ আমি দেখেছি আমার এই দুই শিক্ষক অত্যন্ত যত্ন সহকারে আমাকে আগলে রেখে জীবনের চড়াই-ঊতড়াই,ঘাত-প্রতিঘাতের এই ছন্দময় জীবনের সঠিক দিকে পরিচালিতকরেছিলেন,আমার সারাটা জীবন আমি আমার পরম পূজনীয় দুই শিক্ষকের কাছে চির ঋণী হয়ে আছি।প্রফেসর নূর মোহাম্মদ মিঞার বয়োবৃদ্দ্বকালে এই চলে যাওয়াটা স্বাভাবিক,কারণ এই নশ্বর পৃথিবীতে কেউই আমরা চিরস্থায়ী নই,একদিন না একদিন আমাদেরকে এই মায়ার পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে।এটাই স্বাভাবিক,এটাই জীবনের গতি,একজন চলে যাবেন,আরেকজন আসবেন শুন্যস্থান পূরণ করতে।জীবন থেমে থাকেনা,জীবনের ধর্মই চলতে থাকা।প্রিয় শিক্ষক প্রফেসর নূর মোহাম্মদ মিঞা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন,রেখে গেছেন অনেক অসাধারণ কীর্তি,অনেক মহা মুল্যবান স্মৃতি,অসংখ্য অগণিত ছাত্র/ছাত্রী,দেশ বিদেশে অনেক গুনগ্রাহী,আমাদের স্যার আমাদের মাঝে বেচে থাকবেন চিরদিন,যতদিন রবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগ ততদিন অমর অক্ষয় হয়ে থাকবেন সকল ছাত্র/ছাত্রীদের মাঝে,গুনগ্রাহীদের মাঝে।স্যার এর পরিবার-পরিজন,ছেলে-মেয়েদের প্রতি রইলো আমাদের বিনম্র সমবেদনা আর অযুত অকৃত্রিম ভালোবাসা, আর স্যার এর প্রতি রইলো সকলের পক্ষ থেকে তথা লোকপ্রশাসন পরিবারের পক্ষ থেকে অজশ্র শ্রদ্ধ্বাঞ্জলী,অমিথ ভালোবাসা,আল্লাহ আপনাকে জান্নাতবাসী করুন,আমীন।
লেখক ব্রিটেন প্রবাসী,প্রফেসর নূর মোহাম্মদ মিঞার প্রাক্তন ছাত্র।
21st December 2011.