শিশুকে বুকের দুধ বেশী দিলে অটিজম থেকে রক্ষা করবে- নয়া রিসার্চের ফল প্রকাশ
সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ- লন্ডন থেকে: শিশুকে মা যখন বুকের দুধ বেশী পরিমাণে দিবেন, বুকের দুধ দিয়ে পরিচর্যা করবেন- তা শুধু মা ও শিশুর ভিতর আস্থা ও নিরাপত্তার সৃষ্টি করেনা, বরং অটিজম এবং ক্যানসার সহ নানাবিধ রোগ থেকে বাচিয়ে রাখে। শিশুর ব্যবহারিক উৎকর্ষতা বৃদ্ধি, তার মধ্যে সঠিক শারিরীক ব্যবহার গঠণে সহায়তা করে- এমন কথাই ফুটে উঠেছে আজ প্রকাশিত এক নয়া স্টাডিতে। এই স্টাডি প্রকাশিত হয়েছে প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্স জার্নালে।
শিশুর মধ্যে বিহেভিয়ার ডিস-অর্ডার যাতে গ্রো না করে – সেজন্যে মায়ের বুকের দুধ পানের মধ্য দিয়ে শিশুর ভিতরে মায়ের ক্যামিকেল প্রবেশ করে, যা এই অটিজমরোধে সহায়ক হয়। রিসার্চাররা সাত মাস বয়সী এবং আরো কিছু কম বয়সী ৯৮ শিশু এবং অন্যান্য শিশুদের ছবি, রাগ, ফেসের আকার, চোখের চাহনি ইত্যাদি গভীর পর্যালোচনা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এই ফাইন্ডিংস পেয়েছেন।
তারা দেখেছেন, যে সব শিশু মাতৃদুগ্ধ পান করেছেন এবং মায়ের বুকের দুধের সাথে লেপটে থেকেছেন, তাদের চাহনি, রাগ, চেহারার পরিবর্তন, ভয় ভীতি যারা কম মার্তৃস্তন্য পান করেছেন কম- তাদের চেয়ে কম।কম মাতৃস্তন্য পান কারীরা কম্যুনিকেট করেন কম, কম এটেনশান। কম মাতৃস্তন্য পান করেছেন তাদের চোখের মধ্যে রাগ, ভয় ভীতি- বেশী।উভয়ের শারিরিক ব্যবহারিক গঠণ শৈলি ও বৈশিষ্ট্যের মধ্যে ফারাক ও ব্যবধান তুলনামূলক বেশী।
রিসার্চাররা জেনেছেন, মায়ের বুকের দুধের মধ্যে রিচ অক্সিটোসিন- যা মা ও সন্তানের মধ্যে বিশ্বাসের বন্ধন অটুট রাখতে সহায়তা করে।তাছাড়াও মায়ের বুকের দুধ পানের ফলে ক্লোজলি স্কিন টু স্কিন কন্টাক্ট সন্তানকে করে তুলে প্রচন্ড আত্মবিশ্বাসী- যা বিহেভিয়ার গঠণে বিশাল সহায়ক হয়, পাশাপাশি ভয় ও অবিশ্বাস বিদুরিত করে শুরুতেই।
জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাংক ইন্সটিটিউটের পিএইচডি স্টুডেন্ট ক্যাথারিন ক্রোল বলেন, এই যে সেনসিটিভ ইস্যুর কন্টাক্ট এবং ইমোশন ও অন্যান্য সব কিছুই শিশুর দৈহিক, মানসিক এবং শারিরীক বিকাশ গঠনের সাথে সম্পৃক্ত, যেখান থেকে আমরা ধারণা করতে পারি সোশ্যাল একশন সহ সকল একশন ও ইন্টার-একশন সম্পর্কিত।
সেজন্যে আমরা গবেষণায় যা পেয়েছি, তা থেকে বলতে পারি জেনেটিক্যালি অটিজমের রিস্ক কম হবে যদি শিশুকে মায়ের বুকের দুধ পান করানো হয় নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। বুকের দুধ পানে শিশুর আইকিউ বৃদ্ধি ও সহ অন্যান্য ইনফেকশন জনিত রোগ বালাই থেকেও রক্ষা করে, এমনকি ক্যানসার থেকেও।
15th Sept 2015, London.