সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদঃ এখন সারা পৃথিবীতে শুরু হয়েছে, মুসলমান কিংবা ইসলাম এর নাম শুনলে এক ধরনের বাতিক তৈরি হয়েছে, সব কিছুতেই ইসলাম ও মুসলমানদেরকে দায়ী করার। পৃথিবীতে যতো ধরনের টুলস আছে, সব ধরনের টুলসই এখন মুসলিম ও ইসলাম এই শব্দটির সাথে এমনভাবে জুড়ে দেয়া হচ্ছে, যাতে সবার কাছে জ্ঞাতে অজ্ঞাতে মুসলমান ও ইসলামকে ঘৃণা এবং সন্দেহ করা হয়। সেজন্যে একতরফা অন্যদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। কেউ কেউ আছেন সেই সব ফেনোম্যানা সৃস্টিতে দায়ী। যাই হউক, সে সব অনেক তর্ক বিতর্ক হতে পারে। আছে অনেক যুক্তি তর্ক, এবং নানা মুনীর নানা বিশ্লেষণ।
কিন্তু এতো…এতো প্রচারণা ও ফেনোম্যানার বিপরীতে একজন ব্রিটিশ সৈনিক যিনি ইরাক যুদ্ধে নিজের পা হারিয়েছেন, তিনি হলেন ইয়র্কশায়ার রেজিম্যান্টের সৈনিক- নাম ক্রিস হার্বার্ট, সে বলেছে, কেন সে মুসলমানদের ঘৃণা করেনা। ইরাকের বাসরাতে মর্টার শেলের আঘাতে তার বাম পা হারান।এ সময় তিনি মৃত্যু যন্ত্রণায় ছট ফট করছিলেন। তখন তাকে সার্জারি এবং জীবন বাচান একজন মুসলিম ডাক্তার। শুধু তাই নয়, মুসলিম ডাক্তার তাকে এবং তার বাবাকে একটি পাবে ডেকে সাহস ও রিহেবিলিটেশনের সাহায্য করেছিলেন। ক্রিস হার্বার্ট কে যিনি নার্সিং সেবা দিয়েছিলেন, তিনি একজন মুসলিম নার্স। তাকে রিহেবিলিটেশন যিনি সাহায্য করেছিলেন তিনি মুসলিম কাউন্সেলর।
এই অবস্থায় ভালো হওয়ার পরে মুসলমানদের বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য বা তার ভাষায় মুসলিম বিরোধী প্রপাগান্ডা করার জন্য কেউ একদল গ্রুপ যোগাযোগ করে। ক্রিস হার্বার্ট তাদের প্রস্তাবে রাজী হননি। কারণ উপরোক্ত জীবন বাচানোর সকল ঘটনাবলী তার কাছে প্রধান হিসেবে দেখা দেয়। তিনি আরো বলেছেন, তিনি যখন বাসরায় আক্রান্ত হন, ঐ সময় তার সাথে গাড়ীতে একজন মুসলিম সৈনিক ছিলেন, যিনি আঘাত প্রাপ্তও হয়েছিলেন। তিনি তখন মুসলিম বিরোধীদের দোষ দেননি।