গত রাতের নিস্তব্ধ এবং আনন্দ ঝলমল পরিবেশ ও রাতের কোলাহলকে মুহুর্তেই স্তব্ধ করে দিলো ৮জন সন্ত্রাসী। থিয়েটার হলে তখন নারী পুরুষ নাটক দেখছিলেন, ফুটবল ষ্টেডিয়ামে জার্মানির বিরুদ্ধে ফুটবল খেলা চলছিলো-৫০ হাজার দর্শক তখন গ্যালারিতে। পৃথিবীর ঐ প্রান্তে তখন রাতের নিস্তব্ধতা কিংবা গোলার্ধের এ প্রান্তে লন্ডনের মতো শহরে ব্যস্ততার ছড়াছড়ি। এমনি সময় ৮ সন্ত্রাসী ট্রিগার টিপলো- বন্ধুকের গুলি আর বোমার বিস্ফোরন ঘটালো- প্যারিসের মতো শহরের বিভিন্ন স্থানে।
সন্ত্রাসীদের ট্রিগারে গোটা প্যারিস তখন কেঁপে উঠে। থিয়েটার হলে তারা এলোপাথারি গুলি করেই ক্ষান্ত হয়নি। জিম্মি করলো ১০০ জন নিরীহ জনগনকে।
প্যারিস পুলিশ ও নিরাপত্তা রক্ষাকারীরাও তখন জিম্মি উদ্ধারে ও জনগনের জান মাল রক্ষায় তৎপর হয়ে উঠে।আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে তখন চলছে তুমুল গোলাগুলি। স্কাই, বিবিসি, সিএনএন, ফ্রান্স টুয়েন্টিফোর, আলজাজিরায় যারা চোখ রেখেছেন- তারা মুহুর্মুহু গুলি আর বিস্ফোরনের শব্দে আঁতকে উঠেছেন।
ইতোমধ্যেই সন্ত্রাসীদের জঘন্য কার্যকলাপে জরে পড়ে ১২৯টি তাজা প্রাণ। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
মানুষের মনে এখন শঙ্কা, ভয় আর উৎকণ্ঠা- গুটিকয়েক সন্ত্রাসীদের কাছে কি এই সভ্যতা মুখ থুবড়ে পড়বে ? সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অগণিত মানুষ ও মানবতা আজ ঐক্যবদ্ধ। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সোচ্চারের এখনি সময়। আমরা নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি আর সন্ত্রাসীদের প্রতি আমাদের ধীক্কার জানাই।
ব্রিটিশ প্রাইম মিনিস্টার ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, তোমাদের দুঃখের সময়ে, তোমাদের কষ্টের সময়ে, তোমাদের বিপদের সময়ে আমরাও তোমাদের সাথে একাত্ম। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম। ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম।
বাংলাদেশের প্রাইম মিনিস্টার শেখ হাসিনা ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে শোক বার্তায় বলেছেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে বাংলাদেশ এক হয়ে লড়বে।
হ্যা সারা বিশ্বের মানবতা আজ ফ্রান্সের সাথে এক হয়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এ লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধ। আমাদের সকলের সম্মিলিত দুর্জেয় ঐক্যবদ্ধতা পারে সন্ত্রাসীদের হটিয়ে দিয়ে মানবতা ও সভ্যতার জয়গান গাইতে ।
নারী/সম্পাদকীয়/সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সোচ্চার/নভেম্বর/২০১৫-সেলিমআহমেদ@কপিরাইট২০১৫