ব্রিটেনের কেয়ার সেক্টর সংকটেঃ ক্রেডিট রেটিং এজেন্সির হুশিয়ারি

ব্রিটেনের কেয়ার সেক্টর সংকটেঃ ক্রেডিট রেটিং এজেন্সির হুশিয়ারি

143
0

সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদঃ বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ছাড়াও ডিসবেলদের রেসপাইট হোম অথবা বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের দেখভাল ও বাসস্থান হিসেবে কেয়ার হোম বড় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। ব্রিটেনের বিরাজমান সংস্কৃতি এবং সেবা দান প্রক্রিয়ায় এই সেক্টরের রয়েছে অনেক অবদান। এমনও অনেক বয়োজ্যেষ্ট আছেন, কেয়ার হোম ছাড়া বিকল্প আবাসিক ও মেডিক্যাল নিড হিসেবে অন্য কোন বাসস্থান নেই। কেয়ার সেক্টরে কর্মরত আছেন হাজার হাজার স্বাস্থ্য কর্মী। তাদের সাথে জড়িত সোশ্যাল সার্ভিস, ডাক্তার, জিপি, কনসাল্ট্যান্ট সহ নার্স ও অন্যান্যরা। ব্রিটেনে যে কটা বড় বড় কেয়ার হোম রয়েছে তাদের মধ্যে ফোর সিজনস হেলথ কেয়ার হোম হলো অন্যতম বড় এক অর্গেনাইজেশন। এই ফোর সিজনের রয়েছে ৪৭০ টি হোম- যেখানে রয়েছে দেশব্যাপী ২০,০০০ বেড।

এই ফোর সিজন্স হোম অর্থাভাবে আগামী এক বছরের মধ্যে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এমন তথ্য জানিয়েছে ব্রিটেনের লিডিং এক ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি। ষ্ট্যান্ডার্ড এন্ড পুরস ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি গতকাল রোববার এক সতর্কবার্তা দিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, তাতে বলা হয়েছে ফোর সিজন্স হোম মারাত্মক অর্থিক সংকটের মধ্যে পরতে যাচ্ছে। আগামি এক বছরের মধ্যে এটা বন্ধ হয়ে যাবে যদিনা না এর আর্থিক অবস্থা পূণর্বিন্যাস বা ফান্ডের ব্যবস্থা না করা হয়।

এই সেক্টরের এক্সপার্টরা রোববার জানিয়েছেন, এই সেক্টর এতো অর্থিক সংকটের মধ্যে আছে, যা ষ্টীল সেক্টরের চাইতেও আরো খারাপ অবস্থা।

fourseasons1ফোর সিজন্স হোম মালিকানা হচ্ছে টেরা ফার্মার। বিগত ২০১২ সালে প্রাইভেট সেক্টরে ইক্যুইটি পেইড হলো ৮২৫ মিলিয়ন পাউন্ড, এপ্রিলে ন্যাশনাল লিভিং ওয়েজ চালু শুরুর প্রেক্ষিতে কোম্পানি লোকাল অথরিটির ফিস সহ স্টাফদের বেতন দিতে অপারগ ফান্ড সংকট হেতু- এক তথ্য বিবরনীতে জানা গেছে।

এদিকে ফোর সিজন্স হোম জানিয়েছে, আর্থিক অবস্থা মধ্যমেয়াদি সংকটকালিন সময়ে দূরাবস্থা হেতু রেসিডেন্টদের কেয়ার সার্ভিসে কোন অসুবিধা হবেনা। কিন্তু এই ডিসেম্বরে ফোর সিজনসকে ২৬ মিলিয়ন পাউন্ড ইন্টারেস্ট বিল পে করতে হবে।

ফোর সিজন্স হোম এর ভিন্ন ভিন্ন তিনটি ব্র্যান্ড রয়েছে- ফোর সিজন্স, ব্রাইটারকাইন্ড এবং হান্টারকম্ব।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *