সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ:
তুরস্কের ব্রিটিশ ডিপ্লোম্যাটিক মিশনের বেশ কয়েকটি তারবার্তা বা কেবল লিকড হওয়ার প্রেক্ষিতে ব্রিটিশ ফরেন এন্ড কমনওয়েলথ অফিস এবং তার্কিশ ব্রিটিশ মিশনে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। প্রকাশিত তারবার্তায় বলা হয়েছে, ব্রিটেন গোপনে সেনজেন এরিয়ার আওতায় তুরস্কের প্রায় ১.৫ মিলিয়ন পাসপোর্টধারীদের ভিসা দিতে সম্মত বা সমঝোতা হয়েছে। প্রভাবশালী ব্রিটিশ দৈনিক সানডে টাইমস এমন ৫টি তারবার্তা নিজেরা দেখেছে- এমন সত্যতার আলোকে রিপোর্ট প্রকাশের পর পরই হোম অফিস ও ফরেন অফিস নড়ে চড়ে উঠে।লিক হওয়া তারবার্তায় বলা হয়েছে, সিনিয়র কেবিনেট মিনিস্টার ১ মিলিয়ন তার্কিশ নাগরিকদের ভিসা প্রদানে সম্মত হয়েছেন এবং সেটা আগামী ২৩ তারিখের রেফারেন্ডামের আগ পর্যন্ত তোষকের নীচে বা মুখ বন্ধ করে রাখতে চান বলে সানডে টাইমস অবগত হয়েছে। টার্কিশ ব্রিটিশ মিশনের ডেপুটি হেড জ্যানেট ডগলাস কর্তৃপক্ষের কাছে নোট লিখেছেন, “Should [EU] visa liberalisation be granted, এই প্রশ্ন রেখে তিনি ব্রিটেনের নিজস্ব লাইনের ভিসা প্রদান পদ্ধতি ডেভেলপ করে মেমো-নোটে লিখেছেন “significant and symbolic gesture to Turkey”.
সানডে টাইমস ব্রিটিশ ডিপ্লোম্যাটিক মিশনের এই কেবল লিকড করে রিপোর্ট প্রকাশের পর পরই হোম সেক্রেটারি থেরেসা মে এবং ফরেন সেক্রেটারি ফিলিপ হ্যামন্ড জানিয়েছেন, এই রিপোর্ট সম্পূর্ণ অসত্য এবং কাল্পনিক। তারা আরো বলেছেন, ইনফেক্ট বর্ডার রেস্ট্রিকশন এখনো একই অবস্থানে আছে।
হোম সেক্রেটারি ও ফরেন সেক্রেটারি এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছেন তার্কিশ নাগরিকদের জন্যে ভিসা পদ্ধতি একই রকম রয়েছে, সেনজেন বা যে পদ্ধতিই আয়োজন করা হউক না কেন।
লিক হওয়া অপর ডকুম্যান্টে সানডে টাইমস অবগত হয়েছে, তুরস্কের সাথে জুন মাস শেষের আগে ইউরোপীয়ান কমিশন টেনশন বৃদ্ধি না করে বরং ভিসা পদ্ধতির সিচুয়েশনকে আন্ডার কন্ট্রোলে রাখার পক্ষপাতি।হাই লেভেলের ব্রিটিশ ডিপ্লোম্যাটিক মিশনের ডেপুটি হেড ডগলাস কর্তৃক মেমো, নোট আর লিকড হওয়া তারবার্তা সরাসরি নাকচ না করে সেক্রেটারিবৃন্দ বলেছেন, লিকড করা মেমোর একাংশ উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভাবে প্রকাশ করে তার্কির ব্যাপারে ব্রিটিশ ভিসা নীতির ভুল ব্যাখ্যা উপস্থাপন করা হয়েছে।
এদিকে বিবিসিতে অ্যান্ড্রো মার শোতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, তার্কির সংযোজন কোন ইস্যু নয়।কিন্তু তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, ব্রেক্সিট হলে ব্রিটেনের এনএইচএস ভেঙ্গে পড়বে, পেনসন সিস্টেম হুমকীর মুখে পড়বে, ট্যাক্স সিস্টেম ঝুকিপূর্ণ হয়ে যাবে।
আর সর্বশেষ ওআরবির জনমত জরিপে আজকে দেখা গেছে, ৫৫% ব্রেক্সিট ক্যাম্পেইনরদের পক্ষে, পক্ষান্তরে ৪৫% রিমেইন ইন ক্যাম্পেইনের পক্ষে মতামত দিয়েছেন।