মার্ক কার্নি ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ড আর আমাদের ডঃ আতিউর,মুহিত আর বাংলাদেশ ব্যাংক

মার্ক কার্নি ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ড আর আমাদের ডঃ আতিউর,মুহিত আর বাংলাদেশ ব্যাংক

ব্যাংক অব ইংল্যান্ড ও এর গভর্ণর মার্ক কার্নিঃ

গত বছর বেশ ঘটা করেই সবাইকে অবাক করে দিয়ে ব্রিটিশদের বিপরীতে এই প্রথমবারের মতো একজন নন-ব্রিটিশ ব্যক্তিকে কানাডা থেকে হায়ার করে সফল কানাডিয়ান ব্যাংকার মার্ক কার্নিকে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্ণর করা হয়।এ নিয়ে ব্রিটিশ পত্র-পত্রিকা বেশ সোচ্চার ছিলো।

কোন কোন পত্রিকা এমনও তীর্যক মন্তব্য করে, ব্রিটেনের অর্থনীতিকে সামাল দেয়ার জন্য তথা রিসেশন থেকে সফলভাবে উত্তোরনের জন্যে কি একজনও ব্রিটিশ দক্ষ ব্যাংকার পাওয়া গেলোনা ? বলা যায় ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের দুইশত বছরের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মত একজন নন-ব্রিটিশকে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্ণর করা হয়। বিগত পাচ বছর ধরে ব্রিটেনের অর্থনীতি এক ভয়াবহ মন্দা মোকাবেলা করে চলেছে। ব্রিটিশ অর্থনীতিকে ইনজেক্ট করে ট্রেজারী ও চ্যান্সেলর নানান কৃচ্ছ্রতা ও সংকোচন মুদ্রানীতি ও সরকারি সংস্থা সমূহের ব্যয় কমানোর পাশাপাশি সরকারি ইনজেক্ট কমিয়ে ও কাট নীতি ব্যাপকভাবে অনুসরণ করে মন্দা কাটানোর এক ব্যাপক নীতি অনুসরণ করে বেশ সফলভাবে ব্রিটিশ কোয়ালিশন সরকার মোকাবেলা করে আস্তে আস্তে প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি করে অথচ ধীর গতিতে এগিয়ে চলেছে। ব্রিটেনের আর্থিক মন্দার ব্যাপক প্রভাব দেশটির ব্যবসা, বাণিজ্য, জনগণের জীবন মানের উপর প্রভাব ফেলে। নিম্ন আয়ের জনগনের আর্থিক দৈনন্দিন জীবনে নাভিশ্বাস উঠে। প্রতিদিন ঐ সময়ে ব্যাপক অংশ জব হারান, মধ্যবিত্তের বেনিফিট সংকটে পড়েন।

 

ঐ সময় বিশ্ব আর্থিক মন্দার দখল অত্যন্ত দক্ষতা ও কুশলতার সাথে মোকাবেলা করে কানাডার সরকার বেশ সুনামের সাথে এগিয়ে চলেছিলো মার্ক কার্নির মতো দক্ষ ব্যাংকারের সুনীতির কল্যাণে। ব্রিটিশ ট্রেজারি মার্ক কার্নির এই ট্র্যাক রেকর্ডকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের মন্দা কাঠিয়ে উঠার নিমিত্তেই মূলত ব্রিটিশদের বাইরে একজন এই সফল মার্ক কার্নিকে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্ণর নিয়োগ দেয়।

মার্ক কার্নি যখন ব্যাংক অব ইংল্যান্ডে যোগ দেন, তখন ব্রিটেনে ব্যাংক সমূহের ইন্টারেস্ট রেট ছিলো সর্বকালের রেকর্ড নিম্ন পর্যায়ের ০.৫% বেইস রেইট, যা এখনো অব্যাহত আছে। ধারনা করা হচ্ছে, ডেভিড ক্যামেরুনের প্রোপার্টি মার্কেটে বোষ্ট সহায়তা বা ডিপোজিট স্কীম সহায়তার আওতায় ইনজেক্ট করার ফলস্বরুপ প্রোপার্টি মার্কেট এখন অনেকটাই ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়। যার ফলে মার্ক কার্নি সাজেস্ট করেছেন ডেভিড ক্যামেরুনের এই সহায়তা আর সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার জরুরী নয়, কেননা দীর্ঘকালিন সহায়তা ব্যাংক সমূহের লোন প্রদানের ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত তিস্ক ফ্যাক্টর হিসেবে দেখা দিতে পারে, যা ব্যাংকিং চেইনে ব্যাপক নেগেটিভ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়ে আর্থিক তারল্যে নেতিবাচক অবস্থার সুবাধে মন্দার দিকে ধাবিত হবে। প্রোপার্টি মার্কেট অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে।

দুই, ঐ একই সময়ে ব্রিটেনের এমপ্লয়ম্যান্ট মার্কেট রেকর্ড পরিমাণ জবলেস পিপস ছাড়িয়ে গিয়েছিলো, যা ব্লেয়ারের সময়কালিন থেকে এই সংখ্যা আরো অধঃগতির দিকে যাচ্ছিলো। প্রতিদিন এই সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছিলো, অধিক সংখ্যক ইয়ং জব সিকার্স এলাউন্স ক্লেইম করছিলো।

এমনি এক অবস্থায় মার্ক কার্নি ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্ণরের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। দায়িত্ব নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে ব্যাংক বেইস রেইট তার পূর্বসূরীর অনুসৃত নীতি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে ঐ একই সময় তিনি বলেছিলেন, ব্রিটেনের আনেমপ্লয়ম্যান্টের শতকরা ৭% এ নামিয়ে আনার জন্যে এই ব্যাংক বেইস রেইট ২০১৬ এর আগে সম্ভাবনা নেই। এতে অন্যান্য রিস্ক ফ্যাক্টর উল্লেখ করে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্ণর তার প্রেডিকশনে উল্লেখ করেছিলেন জোর দিয়ে।

একই বক্তব্য তিনি দ্বিতীয়বারের প্রেস কনফারেন্সে চার মাস আগেও উল্লেখ করেছিলেন।

আজকে ১৮ ডিসেম্বর মাত্র চার মাস পরে এসেই দেখা যাচ্ছে আনেমপ্লয়ম্যান্ট ফিগার ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক ব্যুরোর ফিগার অনুযায়ী রেকর্ড পরিমাণ ফল করেছে যা এখনি ৭.৮% এসে দাড়িয়েছে, অর্থাৎ ২০১৪ সালের মধ্যেই এই সংখ্যা ৭% নেমে আসবে, ২০১৬ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবেনা। তার মানে হলো বেশী সংখ্যক লোক এখন জব মার্কেটে এবং প্রতিদিন মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে। ইয়ংদের বেশী করে জব মার্কেটে ডুকে পড়ার প্রেক্ষিতে এমন উন্নতি হচ্ছে। কোয়ালিশন সরকার এবং তার বিজনেস সেক্রেটারি ভিন্স ক্যাম্পবেলও সারাক্ষণ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। ভিন্স ক্যাম্পবেল ব্যবসায়ীদের ম্যাসেজ ভালো করে দিচ্ছেন যে তারা বিজনেস বান্ধব সরকার।

এমপ্লয়ম্যান্ট মিনিস্টার সব সময় নতুন নতুন কর্মসংস্থানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন, ট্রেজারীর সহায়তায়।

ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক বলছে অক্টোবর থেকে বিগত তিনমাসে আনেমপ্লয়ম্যাণ্ট এর সংখ্যা ২৫০,০০০ থেকে নেমে ১০০,০০০ কমে এসেছে অর্থাৎ এ সময়ের মধ্যে জবলেসের সংখ্যা কমে এসে ৭.৪% কমেছে।

ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক ডাটা বলছে, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের ২০১৬ সালের প্রেডিকশন ৭% কমে আসার সম্ভাবনা বাস্তবে ২০১৪ সালের প্রথম দিকে এসে দাঁড়াবে।

ইকোনোমিষ্ট ল্যারি এলিয়েট এবং গার্ডিয়ান ইকোনোমিক্স সহ ব্লগার এলিয়েট এখানেই এসেই মার্ক কার্নির কঠোর সমালোচনা করে বলছেন, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্ণর ভুল। তিনি দুবারের মতো ভুল প্রেডিকশন দিয়েছেন।

গার্ডিয়ান বলছে, মার্ক কার্নির প্রেডিকশন আনেমপ্লয়ম্যান্ট নিয়ে জোঁক ২০১৬ সালের আগেই আগামী বছরে ৭% রেকর্ড হিট করবে। মাত্র কিছুদিন আগেও মার্ক কার্নি এই আনেমপ্লয়ম্যান্ট নিয়ে গার্ডিয়ানের কোন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে বরং নতুন প্লাস্টিক ব্যাংক নোট আগামিতে বাজারে ছাড়ার বিষয় নিয়ে বিষদ আলোচনাও সমালোচনার মুখে পড়ে।

উল্লেখ্য ২০০৮ সালে ব্রিটেন আর্থিক মন্দার মধ্যে পড়ে, ২০১১ ও ২০১২ সালেও একই অবস্থা অব্যাহত থাকে। বর্তমানে ব্রিটেন ধীরে ধীরে সেই মন্দা কাঠিয়ে উঠছে।

একজন ডঃ আতিউর, একজন মুহিত আর বাংলাদেশ ব্যাংকঃ

ব্রিটেন, আমেরিকা হয়ে সারা বিশ্ব যখন ২০০৮ সাল থেকে মারাত্মক আর্থিক মন্দার মধ্যে পড়ে, তাদের অর্থনীতি ক্রমেই শ্রিংকের মধ্যে যাচ্ছিলো। ঐ সব দেশের জনগণ যখন একের পর জব মার্কেট হারাচ্ছিলেন, দিনের পর দিন একেক করে বড় বড় ব্যবসা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, কোম্পানী হাউস গুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছিলো, দেউলিয়া হচ্ছিলো, এডমিনিষ্ট্রেশনে যাচ্ছিলো- যা বিগত পাচ বছর আমেরিকা ও ব্রিটেনের জনগণ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছিলেন।অসংখ্য লোক পথে বসেছিলেন ঐ সময়।ব্রিটেন আমেরিকার আর্থিক মন্দার ধবসসারা বিশ্বে কমবেশী ঢেউ লেগেছিলো।

 

সারা বিশ্বের বিশেষ করে আমেরিকা ও ব্রিটেনের এমন কি হার্ভার্ড, অক্সফোর্ডের বড় বড় অর্থনীতিবিদেরাও বাংলাদেশের মতো গরীব অথচ সাহায্য নির্ভর ও দাতাদের এইড ও ঋণ নির্ভর আর্থনীতির প্রেক্ষিতে আমাদের আর্থিক খাতেও এসে ধাক্কা লাগবে বলে হুশিয়ার করে দিয়েছিলেন। এমনকি বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, আশিয়ান ডেভেলপম্যান্ট ব্যাংক, আর আমাদের সিরডাপও অত্যন্ত সতর্কতার সাথে বাংলাদেশ সরকারকে ও বাংলাদেশ ব্যাংককে বার বার হুশিয়ার করে দিয়েছিলো, আর্থিক মন্দার ঝুকি আমরাও মোকাবেলা করার প্রস্তুত থাকার জন্য।

আশার কথা, সারা বিশ্ব যখন আর্থিক মন্দা ও ঝুকির মধ্যে পড়ে হাবু ডুবু খাচ্ছিলো আর নানান পন্থা ও নীতি অনুসরণ করে, আর্থিক কৃছ্রতা অবলম্বন করে নিজেদের রক্ষা করছিলো, তখনো বাংলাদেশ নামক ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশ অত্যন্ত সফলতার সাথে বিশ্ব আর্থিক মন্দার মোকাবেলা করে নিজেদের আর্থিক অবস্থা ও রিজার্ভ এবং একই সাথে প্রবৃদ্ধির হার টার্গেটকৃত অবস্থানের কাছাকাছি নিয়ে এসেছে, যা অনেকের কাছে বেশ ঈর্ষনীয়।

বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ, যার সফলতার ট্র্যাক রেকর্ড শতভাগ, সেই ইংল্যান্ডের গভর্ণর মার্ক কার্নির আর্থিক প্রেডিকশন পর্যন্ত ভুল প্রমাণিত হয়ে যায়, যা এখন তিনি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন, ঠিক তার বিপরীতে আমাদের বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর ডঃ আতিউর রহমান এবং একই সাথে বিশ্ব ব্যাংকের এককালিন এডভাইজার ও ইউএনডিপির থার্ড ওয়ার্ল্ড কান্ট্রির সাবেক ঋণদান বিষয়ক কনসালট্যান্ট আজকের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত- দুজনেই বয়সের ভারে ন্যুব্জ অথচ অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে বলা যায় সম্পূর্ণ প্রতিকূল বিশ্ব আর্থিক পরিস্থিতিতে ( যখন দাতা দেশগুলোও নিজেদের ফান্ড ও প্রোগ্রামগুলো কর্তন করে চলছিলো) অত্যন্ত দক্ষতার সাথে আমাদের অর্থনীতি সামাল দিয়ে বিশ্ব রেকর্ড স্থাপনের নজির স্থাপন করেছেন। রাজনৈতিক মতপার্থক্য এবং অরাজনৈতিক বক্তব্যের আড়ালে এবং রাজনৈতিক প্রভাবের ফলে কিছু কিছু কেলেঙ্কারির দুর্বল ব্যবস্থাপনার অভাবহেতু, তথাপি আর্থিক খাত ম্যানেজম্যান্টের এই বিরল কৃতিত্বের জন্য এই দুই আর্থনীতিবিদকে যেকোন বিচারেই সাধুবাদ ও ধন্যবাদ দিতে হয়।

কেননা, সারা বিশ্বের ঝানু এবং পোড় খাওয়া ইকোনোমিষ্ট আর দক্ষ প্রফেশনালরা যেখানে আর্থিক মন্দার সময় হিমশিম খাচ্ছিলেন এবং আর্থনীতির খাতকে ভাগ্যের চাকার উপর ছেড়ে দিয়েছিলেন, তখন আমাদের এই দুই বুড়ো অর্থনীতিবিদ অত্যন্ত সফলতার সাথে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা শুধু রাখেননি, প্রবৃদ্ধির টার্গেটের লক্ষ্যমাত্রার কোটা ছুয়েছেন, ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় অযাচিত রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হেতু মহা দুর্যোগ থেকে রক্ষা করেছেন।

 

২০০৯ সালের শুরুতে আবুল মাল আব্দুল মুহিত অর্থনীতি নিয়ে যে উচ্চাভিলাষী পরিকল্পণার কথা জানান দিয়ে বলেছিলেন অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা করে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করবেন, ও জাতীয় রিজার্ভ রেকর্ড লক্ষ্যমাত্রা ছুয়ে যাবে, আজকে পাচ বছরের শেষ মাথায় এসে দেখা গেলো এর সব কটা সূচক অত্যন্ত দক্ষতার সাথে এই বুড়ো অর্থনীতিবিদ কিছু কিছু ক্ষেত্রে জনগণের বিরাগভাজন হয়েও স্থির ও উন্নীত করতে পেরেছেন। একই কথা গভর্ণর ডঃ আতিউর রহমানের বেলায়ও। বাংলাদেশ ব্যাংক তার মুদ্রানীতি কিছুটা কমবেশী কাট ছাট করে সফল বাস্তবায়ন করতে পেরেছে। বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরবর্তী রেকর্ড পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ করেছে। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রও বৃদ্ধি পেয়েছে।

দেশের রাজনীতির ডামাডোলের বাইরে, অন্যান্য রিস্ক ফ্যাক্টর ও কিছু আর্থিক অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খলা( শেয়ার বাজার সহ )বাদ দিলে মোটের উপর এই দুজন বেশ দক্ষতার সাথে আর্থিক খাত সামাল দিয়েছেন। তৃতীয় বিশ্বের দেশে দেশে আর্থিক খাত দক্ষতার সাথে সামাল দিয়ে স্থিতিশীল ও নিরাপদ রাখতে পারাটাই বিরাট এক ঝুকিপূর্ণ এবং এই কাজ দক্ষতার সাথে করতে গিয়ে দেশের অর্থমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্ণরকে দলের ভিতর, বাইরে ও বিরোধীদলের কাছে অত্যন্ত অজনপ্রিয় করে তুলে। এটাই নিয়ম। মুহিত ও আতিউরের অজনপ্রিয়তাই প্রমাণ করে তাদের দক্ষতা ও প্রফেশনাল ও আর্থিক প্রেডিকশনের ক্ষেত্রে তাদের স্বচ্ছতা ও সঠিকতা। বিশ্ব অর্থনীতির অবস্থার দিকে একবারের জন্যে হলেও বিশেষ করে বিগত পাচ বছরে ব্রিটেন আমেরিকার দূরাবস্থার চিত্রের দিকে তাকিয়ে হলেও বড় কৃপণতার সাথে একবারের জন্যে হলেও আমরা এই দুই বুড়ো আর্থনীতিবিদকে ধন্যবাদ দিতে পারি-যা তারা রিজার্ভ করেন।

24th December 2013.london

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *