প্রস্টিটিউশন নিয়ে ইংল্যান্ডে শুরু হয়েছে বিতর্ক: “বাইয়িং সেক্স ক্রিমিনালাইজড বাট নট সেক্স সেলিং”

প্রস্টিটিউশন নিয়ে ইংল্যান্ডে শুরু হয়েছে বিতর্ক: “বাইয়িং সেক্স ক্রিমিনালাইজড বাট নট সেক্স সেলিং”

একের পর এক স্লেভারি ও লোমহর্ষক ঘটনা আবিষ্কারের পর ইংল্যান্ডের সরকার, এমপি, মহিলা গ্রুপ, ইউরোপীয় অফিসিয়াল আর ইউরোপীয় পার্লামেন্ট মেম্বার সকলেই এখন সোচ্চার।মডার্ন দাসপ্রথা আজকের এই ইংল্যান্ডে চলতে পারেনা। যদিও এটা আইনত নিষিদ্ধ, তারপরেও সম্প্রতি ত্রিশ বছর ধরে এই ভাবে দাসের মতো বন্দী রেখে নির্যাতন, যৌন নিপীড়ন আর লোমহর্ষক ঘটনা স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড যখন খোদ লন্ডন শহরের ভিতরেই আবিষ্কার করে তখন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ, বিরোধী লেবার দলীয় এমপি, মহিলাদের গ্রুপ, পিয়ার, ইউরোপীয় অফিসিয়াল সকলেই নড়ে চড়ে বসেন।

সম্প্রতি থেরেসা মে বিদ্যমান আইনকে আরো যুগোপযোগী করে টাফ আইনের উদ্যোগ নিলে এ নিয়ে শোর গুল শুরু হয় সর্বত্র। নানা জনের, নানা গ্রুপের ভিন্ন মতামত প্রকাশিত হতে থাকে।

 

এমনিতেই ইংল্যান্ডে সেক্স কোন ইলিগ্যাল ব্যবসা নয়, যেমন নয় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। আমস্টারডাম সেক্স বাণিজ্য আইনত সিদ্ধ এবং পুলিশ প্রটেকশন পেয়েই থাকে। সুইডেন সেক্স আইনত সিদ্ধ হলেও ১৯৯০ সালে এ নিয়ে বহু অঘঠণ ঘটে যাওয়ার পর সুইডেন ঐ সময়ে সেক্স ক্রেতাকে ক্রিমিনাল আইনের আওতায় নিয়ে এসে সুইডেনের যত্র তত্র সেক্স বাণিজ্যকে অনেকটাই এখন নিয়ন্ত্রিত ও আধুনিক উন্নত সেক্স কেন্দ্রিক ব্যবসায় নিয়ে আসতে পেরেছে। সম্প্রতি ফ্রান্স সুইডেনকে অনুসরণ করতে যাচ্ছে, যেখানে ঐ একই নীতি সেক্স যিনি বিক্রি করছে, তাকে নয়, যিনি ক্রয় করছে তাকে ক্রিমিনাল আইনের আওতায় নিয়ে আসার উদ্যোগ নিয়েছে।নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড ফ্রান্সকে অনুসরণ করতে যাচ্ছে।

জার্মানি, হল্যান্ড সহ ইউরোপের অন্যান্য অনেক দেশেই সেক্স এক ধরনের লিগ্যাল ব্যবসা।

ব্রিটেনের সাম্প্রতিক ঘটনা সমূহে লেবার ও কোয়ালিশন এমপি, মহিলাদের গ্রুপ, ইউরোপীয় অফিসিয়াল সকলেই চাচ্ছেন নরডিক মডেল(সুইডেনের মতো)ব্রিটেনে অনুসরণ করে আইন যুগোপযোগী করার জন্যে। তাদের মতে, না হলে ব্রিটেন খুব শীঘ্রই এই ভয়াবহ সেক্স বাণিজ্যের ও স্লেভারির ও হিউম্যান ট্র্যাফিকিং এর স্বর্গরাজ্য হিসেবে টুরিস্টদের আকর্ষণ করবে, যা ঝুঁকি পূর্ণ।এই সব এমপি এবং পীয়াররা বলছেন, সারা ইউরোপ থেকে যে মানব স্রোত এবং এই সেক্স ওয়ার্কারদের ও ব্যবসায়ীদের ইউরোপ জুড়ে শিফট করা শুরু হয়েছে, যার ঢেউ এসে লাগবে ব্রিটেনে। বিদ্যমান আইনের দুর্বলতার সুযোগে এবং যেহেতু সেক্স বৈধ ব্যবসা ব্রিটেনে- তাই এর ঝুঁকি পূর্ণ দিক রয়েই যাচ্ছে। তারা প্রায় সকলেই চাচ্ছেন সুইডেনের স্টাইলে সেক্স ক্রেতাকে ক্রিমিনাল এক্টের অধীনে নিয়ে এসে বিচারের ব্যবস্থা রাখা, সেক্স বিক্রেতা বা দেহপসারনীকে নয়।

এ ব্যাপারে লেবার দলীয় এম ই পি বলেন, এটা আমাদের কাছে প্রতীয়মান হচ্ছে এবং লার্জ নাম্বারের জনগণের কনসার্ণ যে, সেক্স ক্রেতা ক্রিমিনালাইজড কার্যক্রমের ফ্রেমওয়ার্কের মধ্যে না নিয়ে আসলে খুব শীঘ্রই ব্রিটেন এ সেক্টরের টার্গেটে পরিণত হবে, বিশেষ করে টুরিস্ট সেক্টর, যেখানে স্ক্যান্ডেনিভিয়ান দেশ সমূহে সেক্স ক্রেতাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে, সেক্স বিক্রেতাকে নয়, যেমন করে ফ্রান্সও ভাবছে, যদিও সে সব দেশ এবং নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডে এটা লিগালাইজড ব্যবসা, আর সেজন্যে ব্রিটেনের উচিৎ ই ইউ মডেল অনুসরণ করা, নতুবা ব্রিটেনের ট্যুরিজম সেক্টর টার্গেটে পরিণত হবে।

এব্যাপারে হোম অফিসের স্পোকস পার্সন হানিবল বলেন, হোম অফিসের ব্রিটেনের বর্তমান প্রস্টিটিউশন ল-রিভিউয়ের এই মুহূর্তে কোন প্ল্যান নেই, যদিও অধিকাংশ জনমত ই ইউ মডেল অনুসরণের পক্ষে। এব্যাপারে ইউরোপীয় মেম্বার মহিলা গ্রুপের পক্ষ থেকে নয়া পাবলিকেশন্স নতুন বছরেই প্রকাশিত হতে যাচ্ছে।

সম্প্রতি থেরেসা মে এ নিয়ে পার্লামেন্টে ট্রাফিকিং নিয়ে যে নতুন বিল উত্থাপন করেছেন । এ নিয়ে লেবার দলীয় এমপি গ্যাভিন শুকুর- যিনি অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ প্রস্টিটিউশনের চেয়ার, তিনি বলেন, থেরেসা মে উত্থাপিত এই বিল বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে এক বিরাট হোল হিসেবে চিহ্নিত। কেননা তার মতে থেরেসা মে তার ট্রাফিকিং বিল প্রস্টিটিউশনের মতো গ্রোয়িং কনসার্ণ আইডেন্টিফাই করতে ব্যর্থ হয়েছে অথবা পুরোপুরি এবিষয় এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। এমপি গ্যাভিনের মতে দেশের টু-থার্ড জনগণ যেখানে ট্রাফিকিং ইনসিডেন্ট সেক্স এক্সপ্লয়েটিংকে আইডেন্টিফাই করে রেফারেল করেছেন, সেখানে থেরেসা মে এবিষয়টি তার বিলে এড়িয়ে গিয়েছেন বলে তার মত।

এ ব্যাপারে সিকিউরিটি মিনিস্টার ব্রোকেনশায়ার বলেন, ইউকে গভর্ণম্যান্ট এ ব্যাপারে সকল মেজারম্যান্টের ব্যাপারে সচেতন এবং বিশেষ করে সেক্সুয়াল এক্সপ্লয়েটেশন, হিউম্যান ট্রাফিকিং, আধুনিক দাস ব্যবস্থা ইত্যাদি নিয়ে পুরো বিষয় ভাবা হচ্ছে। ট্র্যাফিকিং রোধেসিরিয়াস এন্ড অর্গেনাইজড ক্রাইম এবং ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি যৌথভাবে কাজ করছে।ইউরোপে আধুনিক দাস প্রথার বিরুদ্ধে বিল উত্থাপন ও পাস এক কঠিন সিগন্যাল পৌঁছে দিয়েছে, আমরা সকলেই এই আধুনিক স্লেভারি সিস্টেম একেবারে রহিত করে দিতে চাই।

ব্রিটিশ সরকার ২০১১ সালে ই ইউ এন্টি ট্রাফিকিং ডাইরেক্টিভ আগেই সাইন করেছে। এটা খুবই কঠিন যে আমরা কিভাবে ট্র্যাফিকিং ট্যাকল করছি, উইদাউট দ্য ডিমান্ড অফ ট্যাকলিং দ্য প্রস্টিটিউশন-ইকুয়ালিটি নাও এর আন্ড্রিয়া মাউওকসি উল্লেখ করেন।

এন্টি ট্র্যাফিকিং কো অর্ডিনেটর মায়েরা ভাসিলাওডো বলেন, কমিশন হিসেবে আমরা ট্র্যাফিকিংকে প্রস্টিটিউশন থেকে আলাদা করে দেখলেও নিশ্চিত এতে উভয়ের মধ্যে বিস্তর লিঙ্ক রয়েছে।

এসিসট্যান্ট চীফ কনস্টেবল ক্রিস আরমিট বলেন, আমি বুঝতে অক্ষম পুলিশ কেন এতে ইনভলভ হচ্ছে। কেননা নড়ডিক বা ইউরোপিয়ান মডেল ব্রিটেনে ইন্ট্রোডিউজ করে খুব একটা ফলদায়ক হবে বলে তিনি মনে করছেননা।কেননা তার মতে এটা খুবই অফলদায়ক হবে যদি ষ্ট্রীট সেক্সকে নিরাপদ, ডার্ক, এবং আনসেইফ জায়গা থেকে সেইফ জায়গায় না নেয়া হয়।বিশেষ করে সেক্স যখন একজন এডাল্ট এবং সেক্স ওয়ার্কারের মধ্যে বা দুজন এডাল্টের মধ্যে সংঘটিত হয়, তখন পুলিশের কি করার থাকতে পারে।

এ নিয়ে কনসাল্টেশন আরো চলবে বলে অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ জানিয়েছে।

কনসাল্টেশন প্রকাশিত গার্ডিয়ান ইউকে ও কমিশন ওয়েব সাইটে।ছবি গার্ডিয়ান

Salim932@googlemail.com
11 December 2013,APPG Consultation,London.

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *