সেলিম আহমেদ
Saturday, 23 November 2013 – 11:30pm
সর্বশেষ সম্পাদকীয় আপডেট (রাত ১১:০০ টা):
বাংলাদেশ সময় রাত ৯:১৮ মিনিটে প্রকাশিত হয় লন্ডন থেকে পাঠানো সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদের পোস্ট করা নীচের ব্লগটি। লেখাটি প্রকাশ করার কিছুক্ষণ পর আমাদের সাথে যোগাযোগ করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিপুটি প্রেস সেক্রেটারী জনাব আশরাফুল আলম খোকন। জনাব খোকন প্রিয়.কম-কে জানিয়েছেন যে, জনাব সজীব ওয়াজেদ জয়ের সাথে জনাব তারেক জিয়ার কোনও রকম মিটিং অনুষ্ঠিত হয়নি।
তবে আমাদের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, জনাব সজীব ওয়াজেদ ওই সময়ে লন্ডন গিয়েছিলেন, এবং সেন্ট্রাল লন্ডনের হিল্টন পার্ক লেন হোটেলে ছিলেন। বর্তমানে তিনি আমেরিকায় অবস্থান করছেন।
এই ডকুমেন্টটি আমরা লাইভ ডকুমেন্ট হিসেবে বিবেচনা করছি। পাঠকদের বুঝার সুবিধার্থে নীচে মূল লেখাটি হুবহু রাখা হলো। এবং নতুন কোনও তথ্য পাওয়া গেলে তা এখানে যোগ করা হবে। – সম্পাদক।
বাংলাদেশে সময় রাত ৯:১৮ মিনিটে প্রকাশিত ব্লগ:
অত্যন্ত বিশ্বস্ত এবং হাই ডিপ্লোমেটিক প্রোফাইল আমাকে নিশ্চিত করেছেন, গত ১৬ নভেম্বর শনিবার মধ্যরাতের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র ও ইন্টারন্যাশনাল ডেভলাপম্যান্ট উপদেষ্টা আইটি বিশেষজ্ঞ সজীব ওয়াজেদ জয় লন্ডনে চিকিৎসাধীন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে রাজনৈতিক সৌজন্য সাক্ষাতের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতির সংকট নিরসনে সংলাপ করেছেন।
হাই-প্রোফাইলের এই ডিপ্লোমেটিক সূত্র আমাকে জানিয়েছেন, ১৬ নভেম্বর ২০১৩ শনিবার সজীব ওয়াজেদ জয় লন্ডনে এসে সেন্ট্রাল লন্ডনের হিল্টন ইন পার্ক লেন হোটেলে সরাসরি উঠেন। সজীব তার এই লন্ডন সফর অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে রাখেন; এমনকি প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হয়েও তিনি লন্ডনস্থ হাই কমিশনের প্রটোকল শাখাকেও কিছুই অবহিত করেননি। এমনকি বাংলাদেশ হাই কমিশনের প্রেস ও দূতাবাসের কাউকেই অবহিত করেননি।
সজীব ওয়াজেদ জয়-এর খালাতো বোন লেবার দলীয় কাউন্সিলর টিউলিপ সিদ্দিকীকেও সজীব তার লন্ডন সফর গোপন রাখেন। ব্রিটিশ সরকারের এই সাবেক হাই-প্রোফাইলের ডিপ্লোম্যাটিক অফিসার, এক সময়ের বঙ্গবন্ধুর সরকারের অতি ঘনিষ্ঠ এই ব্যক্তি ছাড়া দ্বিতীয় কোন ব্যক্তি সজীব ওয়াজেদের লন্ডন আগমন ও নির্গমনের কোন সংবাদ অবহিত হতে পারেননি।
অপরদিকে তারেক রহমানও সজীব ওয়াজেদের সাথে তাদের দুই তরুণের সংলাপের সূচনার এই হাই প্রোফাইল রাজনৈতিক বৈঠকের ব্যাপারে বিএনপি এবং উনার নিজের নিজস্ব সার্কেলের সকলের কাছে গোপন রাখেন। যার ফলে সারাক্ষণ তারেক রহমানের সঙ্গী এবং দেহরক্ষীরাও থাকেন অন্ধকারে।
বাংলাদেশের আগামী দিনের স্বার্থে এই দুই তরুণ তাদের বৈঠকে একমত হয়েই সংলাপের সূচনা করেছেন।
এ বৈঠকের এবং প্রভাবশালী ব্রিটিশ কূটনৈতিকের তথ্যের সত্যাসত্য যাচাইয়ের জন্য যোগাযোগ করি এমন একজনের সঙ্গে, যিনি ব্রিটিশ মিডিয়া ও বাংলা মিডিয়া এবং কূটনৈতিক লেবেলে খুব ইনফ্লুয়েন্স রাখেন, লন্ডনের এক বাংলা সাপ্তাহিকের সাবেক সম্পাদক এ ব্যাপারে আমাকে সংক্ষেপে শুধু একথাটাই বলেছেন, বাংলাদেশের আপামর জনগণের স্বার্থে আগামী দিনের বাংলাদেশের এই দুই তরুণ যদি একসাথে মিলিত হয়ে থাকেন, অতি সঙ্গোপনে। সেটা হবে আমাদের দেশের জন্য অত্যন্ত এক ইতিবাচক পদক্ষেপ। দুজনেই শিক্ষিত এবং রাজনৈতিক পরিমণ্ডল থেকে এসেছেন এবং একই সাথে দুই বৃহৎ দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন। এ দুজনের সিদ্ধান্তের ও কর্মকান্ডের উপর আগামী দিনের বাংলাদেশ নির্ভর করছে। তবে তিনি বৈঠকের ব্যাপারে আর কিছু বলতে চাননি, মুখ একেবারে বন্ধ করে দেন কিন্তু অস্বীকার করেননি আমার কাছে।
আওয়ামী লীগের অত্যন্ত উঁচু লেবেলের আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ এই বৈঠকের ব্যাপারে কিছু না বললেও অস্বীকার করেননি।
বিএনপির হাই কমান্ডের সাথে প্রতিক্রিয়া জানার জন্য যোগাযোগ করলে তারা যেন আকাশ থেকে পড়েন -এমন ভাব করেন।
সেন্ট্রাল লন্ডনের হিল্টন পার্ক লেন হোটেলের রেজিস্ট্রি খাতায় ১৬ নভেম্বর ২০১৩ সজীব ওয়াজেদ জয় “ইন” এবং ১৭ নভেম্বর ২০১৩ রবিবার “আউট” হয়ে যাওয়ার তথ্য সংরক্ষিত আছে। বিশেষ কূটনৈতিক মাধ্যমে হোটেল কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। যদিও গত তিন দিন ধরে তারা এ তথ্য জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
বিদেশী যে ওয়েট্রেস এই দুই নেতাকে কফি ও স্যান্ডউইচ পরিবেশন করেছেন, গত ৫ দিন ধরে তার পেছনে ঘুরাঘুরি করে অভয় দেয়ার পরেও কোন তথ্য জানাতে অস্বীকার করেন। অবশেষে নাম এবং ছবি প্রকাশ করা হবে না, এই তথ্যের নিশ্চয়তা বিধানের পর সজীব ওয়াজেদ জয় ও তারেক রহমানের ছবি দেখে বিদেশিনী ৩৭ উর্ধ্ব ওয়েট্রেস নিশ্চিত করেছেন, দুজনকে একান্তে কিছুক্ষণ কথা বলতে দেখেছেন।
লন্ডনের এমিরেটস এয়ারলাইন্স নিশ্চিত করেছেন, ফ্লাইট নম্বর ইকে-০…৩৫ এ সজীব ওয়াজেদ জয় হিথ্রো আগমন করেন গত শনিবার এবং রোববার লন্ডন ত্যাগ করেন, ব্যক্তিগত স্টাফ সাথে নিয়ে। অন্য কাউকেই এসময় লন্ডনে বিদায়ের সময় দেখা যায়নি।
বাংলাদেশ দূতাবাস সজীব ওয়াজেদ জয় এর লন্ডন আগমন ও নির্গমনের কোন তথ্য তাদের কাছে নেই বলে জানালেন।
– সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ সেন্ট্রাল লন্ডন থেকে
সম্পাদকীয় নোট:
ব্লগটির লেখক উপরোক্ত তথ্যসমূহ নিশ্চিত করেছেন। যদি এমন একটি মিটিং হয়েই থাকে, তাহলে সেটা জাতির জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে বলেই আমাদের বিশ্বাস। এবং এই ধরনের মিটিং তো হতেই পারে। এটাই তো স্বাভাবিক রাজনীতি হওয়ার কথা ছিল। বাংলাদেশের রাজনীতির আকাশে সেই বায়ু প্রবাহিত হোক, এটাই মানুষ দেখতে চায়।
আমাদের লন্ডনপ্রবাসী কিংবা অন্যত্র অন্য কোনও পাঠকের কাছে এই বিষয়ে আরো কোনও তথ্য থাকলে তা মতামত হিসেবে জানালে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হবে।
read 6334 1.k like