প্রথম খবরঃ ব্রিটেনের কারী এওয়ার্ডে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন স্টাফ সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশ থেকে দক্ষ শেফ নেয়ার পথ খুলে দেয়া হবেঃ-
২৫ নভেম্বর ২০১৩ লন্ডনের বাটারসী পার্ক রেস্টুরেন্টের সুসজ্জিত ও পাঁচ তারকা খ্যাত বাটার্সী হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো ব্রিটেনের কারী অস্কার খ্যাত নবম কারী এওয়ার্ড অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুন। প্রায় ১,৮০০ আমন্ত্রিত অতিথি সহ ব্রিটিশ পার্লামেন্ট মেম্বার, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব, মিডিয়া ও মেইনষ্ট্রীম মিডিয়ার অনেক সেলেব্রিটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
কারী এওয়ার্ডের অনুষ্ঠানে ডেভিড ক্যামেরুন বলেন, ব্রিটিশ সোসাইটিতে কারী ইন্ডাস্ট্রি এক অভাবনীয় ভূমিকা রাখার সাথে সাথে আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে একই সাথে কর্মসংস্থানেও ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলেছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কারী এওয়ার্ডকে কারী অস্কার হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এই শিল্পের সমস্যা সমাধানে তার কোয়ালিশন সরকার সচেষ্ট এবং কারী ইন্ডাস্ট্রির ক্রমবর্ধমান ডিমান্ডের প্রেক্ষিতে আধুনিক ও প্রশিক্ষিত শেফ বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান থেকে ব্রিটেনে নিয়ে আসার পথ উন্মুক্তের চিন্তা ভাবনা করছেন।
অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা এনাম আলী এমবিই অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই বছর অনুষ্ঠান এক নব দিগন্তের সূচনা করতে যাচ্ছে।যা এ শিল্পকে আরো উন্নত, আধুনিক ও নয়া ফিউশন সৃষ্টিতে এই এওয়ার্ড ভূমিকা রাখবে বলে তার বিশ্বাস।
এ বছর মোট বারোটি ক্যাটাগরিতে পুরুস্কার প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য ২০০৫ সাল থেকে এনাম আলী ও জ্যাকো আলীর তত্বাবধানে এই এওয়ার্ড অনুষ্ঠান চালু হয়ে আসছে, যা সারা ব্রিটেনের কারী ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যাপক সাড়া ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে।
ব্রিটেনে প্রায় ১০ হাজারেরও উপরে ইন্ডিয়ান-বাংলাদেশী রেস্টুরেন্ট ব্যবসা রয়েছে।যেখানে প্রায় ৮০ হাজারের মতো কর্মী এ সেক্টরে কর্মরত। যা বছরে ব্রিটিশ অর্থনীতিতে এই খাতের অবদান ৩.৬ বিলিয়নের উপরে বলে রাজস্ব সূত্রে জানা গেছে।
অনুষ্ঠানের সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে এই শিল্পে দক্ষ শেফ ও কর্মীর অভাব রয়েছে, যাতে এ শিল্পের উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীবৃন্দ দক্ষ কর্মী সংকটে নানান সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। অনুষ্ঠানের ফাকে ফাকে তাই বক্তা ও ইন্ডাস্ট্রির মালিক ও ব্যবসায়ীদের তরফ থেকে পার্লামেন্ট মেম্বার, প্রধানমন্ত্রীর পিআর ও সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন। যেমন করে উদ্যোক্তা এনাম আলী এমবিই তার বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুনের এ ব্যাপারে সদয় দৃষ্টি দেয়ার আহবান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীও জবাবে এব্যাপারে তার সহযোগিতার আশ্বাস অনুষ্ঠানে প্রদান করেছেন।
দ্বিতীয় খবরঃ রাজনৈতিক সহিংসতা মোকাবেলা ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় ইসি সেনাবাহিনী মাঠে নামাচ্ছেঃ-
দেশের বিরাজমান সংঘাত, হত্যা, তাণ্ডব এর ফলে জান মালের নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে নির্বাচন কমিশন ২/১ দিনের মধ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। এ উদ্দেশ্যে কমিশন আজ বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসছে। কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যে তারা সরকারের কাছে সেনাবাহিনী চেয়ে আলোচনা করার পর এখন প্রসেসিং পর্যায়ে রয়েছে।
আজকের বৈঠকে আপ টু ডেট ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট পর্যালোচনা করে খুব সম্ভবত: বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই সেনাবাহিনী বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ও ঝুঁকি পূর্ণ এলাকাগুলোতে টহল জোরদার করবে। সেনাবাহিনী ম্যাজিস্ট্রেটের আন্ডারে থেকে সিভিল প্রশাসনকে সহায়তা দিবে।জান মালের নিরাপত্তা দিবে।
সরকারের নীতি নির্ধারণের ধারণা, সেনাবাহিনী মাঠে নামলে বিরোধীদলের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপে ভাটা পড়বে। জানাগেছে, গোয়েন্দা রিপোর্টে প্রাপ্ত তথ্যে ডিলে ঢালা দেয়ার কারণে কয়েকটি জেলা ও উপজেলায় জামায়াত নৃশংসতা ও তাণ্ডব চালিয়ে বিএনপির উপর দায় চাপিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে, যা সংলাপের পথকে কঠিন করে তুলেছে।
Salim932@googlemail.com
26th November 2013.London.