দেশবাসীর সাথে সারা বিশ্বের বাংলা ভাষাবাসী জনগণ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন ডেট লাইন ২৪ অক্টোবরের দিকে। সংবাদ পত্রের পাতায় নিয়মিত কলাম লিখে চলেছেন রাজনৈতিক বোদ্ধা আর বিশ্লেষকরা। নানান মুনীর নানা মত। কারো কারো ভাষ্যে, সরকারের ভিতরকার নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে ফর্মুলা, বিকল্প ফর্মুলা আর সরকারের তিন বিকল্পের কথা বলা হচ্ছে। টেলিভিশনের টকশো গুলোতে শেষ রাতে অনেক দর্শক অধীর আগ্রহ নিয়ে শুনছেন, বিশ্লেষক আর বিরোধী নেতাদের বক্তব্য। আমজনতা অনেক উৎকণ্ঠা আর উদ্বেগ নিয়ে দিন রাত অপেক্ষা করছেন, ২৪ তারিখ কি হতে যাচ্ছে।
আওয়ামীলীগ কি ক্ষমতা ছাড়ছে, নাকি বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দল দেশকে অচল করে দিয়ে রাজপথ দখলে নিবে? বাংলাদেশের আমজনতার সাথে নিউইয়র্ক, লন্ডন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, মিউনিখ, ব্রাসেলস, মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসী বাংলাদেশীরাও রীতিমতো উদ্বিগ্ন অবস্থায় দিনাতিপাত করছেন। অনলাইন বিভিন্ন দৈনিক, বেসরকারি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলগুলোর অভিমত অনুষ্ঠানগুলোতে মোটামুটি এই রকম ধারণাই প্রকাশিত হচ্ছে।
রাজনৈতিক বোদ্ধারা ভাবছেন, সরকার অবশ্যই শেষ পর্যন্ত সমঝোতার পথে হাঁটবে কিংবা নাইমুল ইসলাম খানের মতো বাংলাদেশের সবচাইতে আশাবাদী খ্যাতিমান সাংবাদিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক যেমন বলেন, তিনি অবশ্যই কোন না কোন উপায়ে এক ধরনের সমাধানের পথ দেখেন বা হবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন নির্ধিধায়, অপরদিকে ডঃ পিয়াস করীম, ডঃ আসিফ নজরুলদের মতো বিশ্লেষকেরা একধরনের সরকারের নেগেটিভ কর্মকাণ্ডের আলোকে যেমন করে আশু বিপদের ঘণ্টা ধ্বনি বাজিয়ে চলেছেন, ঠিক তার বিপরীতে ডঃ আকবর আলী, ডঃ ফেরদৌস, কিংবা ডঃ মজুমদার বা ডঃ হারুন-অর-রশিদ কিংবা ডঃ তালুকদার মণিরুজ্জামানের মতো নির্ভিচারী একেবারে বাস্তব, টু দ্য পয়েন্ট বিশ্লেষকেরা যেমন সংকট এবং সংকটের সংকেত দেখান, আমাদের রাজনীতি ও রাজনৈতিক চাল-চলন কিন্তু সকল সময়, সকল ক্ষেত্র রাজনীতির বিশ্লেষণ ধর্মী ছক, সম্ভাবনা, মিথ আর টু দ্য পয়েন্ট ধরে এগোয়না কিংবা বাস্তবের কষ্টিপাথরের নিরিখে রাজনৈতিক গেইমের ছক আবর্তিত হয়না। যদি হতো তাহলে সংকট ঘনীভূত হতোনা। রাজনীনৈতিক নেতা, নেত্রী আর বিশ্লেষকেরা জাতিকে নিয়ে এতো উৎকণ্ঠিত হতেননা বা হওয়ার সুযোগ দিতেননা। রাজনীতির পাশা খেলায় দাবার চালের গুটি যখন যেখানে যে অবস্থায় থাকে, তখন সেখানে সেই অবস্থায় যে বা যারা ভালো চালের খেলা জাতিকে উপহার দিতে পারেন, মূলত তিনি বা তারাই সাকসেসফুল হন অথবা আজকের ক্ষমতার গুটি বা নিয়ন্ত্রক তিনিই হন।
রাজনীতির দাবার চালে বিরোধী নেত্রী খালেদা জিয়া অসংখ্য চাল হেলায় কিংবা অবহেলায় অথবা দলীয় ব্যর্থতার কারণে হারিয়ে ফেলেছেন। নাহলে আওয়ামীলীগ নামক এই দুষ্টগ্রহের (শব্দটি ধার নেয়া একজন ক্ষমতাবান মন্ত্রীর কাছ থেকে) সরকার এতো সহজে একের পর এক দুর্নীতি আর কুকাম করে সহজে পার পেয়ে যেতোনা। সরকারের মন্ত্রীরা ধরাকে সরাজ্ঞান করতে পারতোনা। আওয়ামীলীগ ভালো করেই জানে, বিগত তত্বাবধায়ক সরকারের প্রতিষ্ঠিত আইন ও অবস্থা নিয়ে যে আন্দোলন আওয়ামীলীগ ও বিএনপি করে ফায়দা নিজেদের ঘরে তোলার সুযোগ পেয়েছিলো, পরিবর্তিত রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক বাস্তবতায় আজকের বিএনপি সেই একইভাবে আন্দোলন করে ফায়দা তুলে নেয়ার মতো অবস্থা কোনভাবেই নেই, যদিও বিএনপির এই আন্দোলনের প্রতি দেশের ৯৫% লোকের সমর্থন রয়েছে। যে কারণে বিএনপি হাজারো সুযোগ হাতের কাছে পেয়েও কোনভাবেই আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে সেই সুযোগসমূহ কাজে লাগাতে অতীতে যেমন পারেনি, শেখ হাসিনার এবং হাসিনার মিনি কেবিনেটের(নিজস্ব সার্কেল)একই ধারণা বদ্ধমূল। যে কারণে হাসিনা জাতি সংঘ সহ সকল আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর প্রচণ্ড চাপ উপেক্ষা করে নিজের সিদ্ধান্তে অটল।
নিউইয়র্কে মনমোহন ও বান কি মুনের সাথে একান্ত বৈঠকের পর পরই হাসিনার একান্ত বিশ্বস্ত এবং নির্ভরযোগ্য কূটনীতিক, যার সাথে হাসিনা সকল রাজনৈতিক নীতি-নির্ধারনী বিষয় শেয়ার করে থাকেন, সেই সূত্র নিশ্চিত করেছেন, যত বিকল্প ও আন্দোলনের কথা বলা হউক না কেন, হাসিনা নিজের সিদ্ধান্ত ও চাল থেকে সরবেননা। মনমোহন সিং ও বান কি মুনকে হাসিনা যেকোনভাবেই হউক সিগন্যাল দিয়েছেন, হাসিনার অধীনেই বাংলাদেশ নিরাপদ, সেটা ভারত যেমন জানে, মার্কিনীরাও একমত, অন্তত সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ দমন, আর থ্রিডির আর্থিক সুবিধা প্রদানের নিমিত্তে।সেই উঁচুমানের কূটনীতিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন, হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচনকালিন ১১ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হচ্ছে।নির্বাচনের ঠিক আগমূহুর্তে হাসিনা সেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করে তার নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করবেন। হাসিনা জানেন, বিরোধী রাজনৈতিকদলগুলো তার এই প্রস্তাবে সাড়া দিবেনা, সেজন্য এই প্রস্তাব মাঠে কিংবা আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসা হচ্ছেনা।রাজনৈতিক অঙ্গনে নিজের আধিপত্য এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের চাঙ্গা রাখতে একের পর এক ফর্মুলা হাসিনা তার বিশ্বস্ত সূত্র দিয়ে মিডিয়ায় প্রকাশ করছেন, যা মূলত হাসিনার ভিশন ২০২০ নিশ্চিত করার প্রেক্ষিতে আগামী ২০২০ পর্যন্ত যেন-তেন ভাবে ক্ষমতায় তিনি থাকতে চান। আর সেটা করতে গিয়েই একের পর এক ফর্মুলা, বিকল্প ভাবনা দিয়ে তিনি রাজনীতির ময়দানে আলোড়ন তুলে চলেছেন, যা কখনো তিনি করবেননা বলে সূত্র নিশ্চিত করেছেন। নির্বাচনের ঠিক আগমুহূর্তে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদই হবেন সেই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ( হাসিনার পদত্যাগের পর থেকে)। আব্দুল হামিদের বিকল্প হিসেবে আবুল মাল আব্দুল মুহিত আছেন হাসিনার গুড বুকে। কেননা, আগামী নির্বাচনে মুহিতের বিকল্প হিসেবে সিলেটের-১ আসন থেকে ডঃ মোমেন কিংবা ছহুল হোসাইনের কথা ভাবা হচ্ছে। সেমতোই অনেকদূর আওয়ামীলীগ এগিয়ে গেছে।
আওয়ামীলীগ জানে, ২৪ অক্টোবর ক্ষমতা ছেড়ে দিলে আওয়ামীলীগের মন্ত্রী, সাংসদদের এলাকায় যাওয়াতো দূরের কথা, বাংলাদেশের কোথাও দাঁড়ানোর সুযোগ পাবেননা। বিরোধীদল ছাড়াও নিজের দলের তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের আক্রোশের শিকার হবেন। তাই সেই সব মন্ত্রী, সাংসদ একাট্রা হয়ে তাদের শেষ ভরসা হিসেবে জয় মামাকে নিয়ে হাসিনার মিশন বাস্তবায়নে মাঠে তৎপর। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় আর কোন না কোনভাবে এক দুজনের রায় কার্যকর করা- হাসিনার সেই ভিশন ২০২০র ছকেই এগুচ্ছে। জয় মামার অনুসারীরা মরিয়া, যুদ্ধাপরাধীর রায় কার্যকর করে ক্ষমতা ছেড়ে দিলে তারা বাচতে পারবেননা কিছুতেই। জেনে-শুনেতো আর তারা বিষপান করবেননা।
হাসিনার বিশ্বস্ত ঐ কূটনৈতিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন, বিরোধী জোট দেশে অশান্তি সৃষ্টি করলে, যেন তেন ভাবেই হাসিনা আগামী দুই বছর পর্যন্ত ক্ষমতা ধরে রেখেই পার করে দিবেন। আর দুই বছর সময় পেলে হাসিনা রাজনীতির দাবার গুটি নিজের নিয়ন্ত্রণে পুরোপুরি নিয়ে নিবেন, জয়মামার বলয়ের ও আপার ঐ সোনার মন্ত্রী আর সাংসদেরা আপাকে সেই পথে ভালোমতোই বুঝিয়েছেন। কেননা, উত্তর পাড়ার যে জুজুর ভয় এতোদিন ছিলো, মনমোহন, বান কি মুনের সাথে বৈঠকের পর সেটা একেবারেই তিরোহিত হয়ে গেছে। আর উত্তর পাড়ার বর্তমান ক্ষমতার ষ্ট্রাকচারও এক্ষেত্রে হাসিনার রাজনৈতিক চাল চালের জন্য বড় ধরনের সহায়ক-সেটা উত্তর পাড়ার অন্ধর মহলে যারা চলাফেরা করেন, তারা সকলেই অনেকটাই নিশ্চিত। উত্তর পাড়ার সাংগঠণিক বিন্যাসের কারণে এককভাবে সিদ্ধান্তের ক্ষমতা এখন আর অবশিষ্ট নেই-হাসিনার জন্যে সেটাও সাপে ভর হয়েছে।
হাসিনার প্রধান যে ভয় ছিলো ইউনুস এবং ইউনুস কেন্দ্রিক নয়া জোট- সেটাও এখন স্বপ্নের চোরাবালিতে হারিয়ে গেছে। অবশিষ্ট যা আছে, ডাঃ বি চৌধুরী-মান্না-কামাল-কাদের-রব এর নেতৃত্বাধীন বিকল্প জোট-সেটাও জনমতে কতোখানি রেখাপাত করবে তাতেও যেমন রয়েছে সন্দেহ, একইভাবে এই বিকল্প জোটের উত্থান হাসিনার ভয়ের বিপরীতে বরং ১৮ দলের বিরুদ্ধে অনেকটাই কাজে লাগানো সম্ভব বলেই নিউইয়র্কের ঐ কুটনৈতিক চা-চক্রে হাসিনার আশ্বস্থতা প্রকাশে ও বিকল্প জোটের কার্যক্রমে সে আশংকাই বাস্তবে রূপ লাভ করতে শুরু করেছে। বিএনপির ভেতরের শত্রু এবং সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে তৎপর ঐ অংশই সম্প্রতি বিএনপির প্রবাসী নেতার সাথে মার্কিন দূতাবাসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার বৈঠকের গল্প মিডিয়ায় সুচতুরতার সাথে মোক্ষম সময়ে প্রকাশ করে হাসিনার সরকারের ঐ এজেন্ডা বাস্তবায়নে আরো একধাপ যেমন এগিয়েছে, একই সাথে মার্কিনীদের কাছে হাসিনা এই বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন, বিশ্বস্ততা ও সমঝোতা দূতিয়ালিতে হাসিনার সরকারের বিকল্প বিএনপি হবেনা, ঠিক তেমনি বিএনপির ঐ প্রবাসী নেতার ইমেজ সংকট কূটনীতিক পাড়ায় চাতুর্যের সাথে তুলে ধরতে সফল হয়েছে। বিএনপি হাইকমান্ড সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নের ঐ অংশের চাতুর্যের কাছে মার খেয়ে অনেকটাই এখন মুষড়ে পড়েছে-অথচ না পারছে বলতে, না পারছে সইতে, সূত্রের দাবি । সূত্র নিশ্চিত করেছেন, বিকল্প জোট বাধা হয়ে দেখা দিলে এরশাদের নেতৃত্বাধীন নয়া ইসলামিক জোট মাঠে নামানো হবে।তাতে কোন সন্দেহ নাই। আর বিকল্প জোটের দুজন ছাড়া আর কারো নির্বাচনে জিতে আসারমতো অবস্থাও নেই, যদিনা হাসিনার ভেতরের সমর্থন না মেলে। সূত্র নিশ্চিত করেছেন, ভিশন ২০২০ বাস্তবায়নে বিরোধী জোট যত হার্ড লাইনে যাবে, সরকার ততো মাঠ ফাকা করে দিবেনা, সরকারও হার্ড লাইনে যাবে-হাসিনার নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের ( গঠিত হলে ) দুই বছর মেয়াদের পূর্ণতা লাভের জন্য। সূত্র অবশ্য নিশ্চিত করেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারে সব দলের আনুপাতিক হারের যে সরকার আসছে তাতে যারা থাকবেন, ইতিমধ্যে তাদের সম্মতি পাওয়া গেছে। সরকারের বহুমুখী চাপ আর কূটনীতিকদের দৌড়-ঝাপ আর তৃণমূলের নির্বাচনী চাপ সামলাতে গিয়ে বিএনপি হাসিনার ভাষায় নির্বাচনে আসবে, সেই নিশ্চয়তা ধরে নিয়েই হাসিনার সরকার এগুচ্ছে।
এখন দেখার বিষয়, ২৪ তারিখ কাউন্ট ডাউন অতিবাহিত হওয়ার পরে বিরোধী রাজনৈতিক জোট কেমন রাজনৈতিক কৌশলী খেলা খেলে। নির্বাচন এবং আন্দোলন- এই দ্বিমুখী নীতির সাথে হাসিনার সরকারের দমন-পীড়নের বিপরীতে কেমন করে আন্দোলন গড়ে তুলে-তার উপর নির্ভর করছে আগামীর রাজনীতির গতিপথ। জামায়াত মুখে ও কার্যে মরণ-কামড় দেয়ার কৌশল নিয়ে আগালেও সাঈদী, নিজামীকে রক্ষার কৌশল হিসেবে শেষ পর্যন্ত জামায়াত কোন খেলা খেলে, সেটার উপরও নির্ভর করছে বিরোধী জোটের আন্দোলনের তীব্রতা। কারণ হাসিনা জানেন, জামায়াতে ইসলামী ও তাদের মুরুব্বীরা তাদের এসেট সাঈদীকে রক্ষা করতে গিয়ে গোলাম আযম-মোজাহিদ-কাদের মোল্লাকে ছাড় দিয়ে হলেও যেকোন রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে আন্দোলন-নির্বাচন কৌশলীহতে পিছু হটবেনা। আর আন্দোলনে জামায়াতের ভাঙ্গন, খালেদা জিয়া, তারেক জিয়ার মামলার অগ্রগতি ও আদালতের রায়-আন্দোলনের গতিপথের পরিবর্তনে কতোটুকু ভুমিকা রাখে সেটাও এক বিরাট প্রশ্ন। খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার সাজা দিয়ে বিএনপিকে কতোটুকু কাবু করা যাবে বা এরশাদের নেতৃত্বাধীন ইসলামী জোট বা বিকল্পের বিকল্প জোট রাজনীতিতে কতোটুকু ভূমিকা রাখতে পারবে, সেটাও মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন। আবার তারেক জিয়ার প্রশ্নে বিএনপির নেতৃত্ব অবশ্যই যে ছাড় দিবে বা দিতে প্রস্তুত-হাসিনার সরকার সেটা জেনে শুনেই এগুচ্ছে। সূত্র নিশ্চিত করেছেন, জামায়াতের আন্তর্জাতিক মুরুব্বী আর বিদেশী নীতি-নির্ধারক(যারা এই মুহূর্তে জামায়াতের প্রাণশক্তি আর তারেক জিয়ার অনুগামীরা) হাসিনার সরকারকে অনেকটাই সেই ছাড়ের সুবাধে গ্রিণ সিগন্যাল দিয়েছেন, কূটনৈতিক এই সূত্র তাও নিশ্চিত করেছেন। এখন দেখা যাক, আমাদের জনগণ হাসিনার চালে কেমন করে খেলেন। কেননা বাঙালি বীরের জাতি, আন্দোলন করে বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে আসার মতো বিস্তর অভিজ্ঞতা এই বাঙালির ঝুলিতে রয়েছে। তাই সকল খেলার ফায়সালা হবে বাঙালির বীরত্বে- কোন কুশলী খেলোয়াড়ের গুটির চালে নয়-এটা অন্তত হলফ করে বলা যায়। আর তা দেখতে সেই পর্যন্ত অপেক্ষা ছাড়া আর কোন গত্যন্তর নেই।
১০ অক্টোবর ২০১৩ .