পূর্ব লন্ডনে হাসানুল হক ইনুর উপর সেদিনের আক্রমণ এবং কিছু কথা-

পূর্ব লন্ডনে হাসানুল হক ইনুর উপর সেদিনের আক্রমণ এবং কিছু কথা-

হাসানুল হক ইনু- ছিলেন একসময় জাসদের গোপন সামরিক সংগঠন গণবাহিনীর দ্বিতীয় কমান্ডার। আর ঐ সময় অবিভক্ত জাসদের নেতৃত্বে ছিলেন মেজর (অব:)এম এ জলিল এবং আ স ম আবদুর রব। নেপথ্যের নায়কের ভূমিকায় ছিলেন সিরাজুল আলম খান দাদা আর কর্নেল(অব:)আবু তাহের বীর উত্তম। বলা বাহুল্য জাসদের গণবাহিনী মূলত আওয়ামীলীগের রক্ষীবাহিনীর ত্রাস আর শ্বেত-সন্ত্রাসের বিপরীতে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার একমাত্র ভরসার স্থল হিসেবেই বিবেচিত ছিলো। আর আজকের মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু রব-জলিলের নির্দেশে দ্বিতীয় কমান্ডার হিসেবে আওয়ামীলীগের আর তার নেতা বঙ্গবন্ধুর সরকারের তথা একদলীয় বাকশাল সরকারের ডুগডুগি বাজানোর জন্য সদাব্যস্ত ও রাজপথ কাঁপিয়ে তুলেছিলো।জাসদ নামক ঐ সময়কালীন একমাত্র শক্তিশালী বিরোধীদলের একচ্ছত্র রাজপথের ক্ষমতার অংশীদার হয়েও সময়ের প্রয়োজনে ও আদর্শিক সংঘাত আর কতিপয় ভুল রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের কারণেই হউক, কিংবা অনভিজ্ঞতার আলোকে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিক অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে গঠিত বিশাল ক্যারিশম্যাটিক এই রাজনৈতিক দল সিরাজুল আলম খান দাদার নিরাকরণে নিরাকরণ তত্বের সঠিক বাস্তবায়নের দায়ভার নিয়ে বা এড়াতে এক সময় ক্ষয় হয়ে ক্ষয়ীমান হয়ে বহুধা ব্র্যাকেট সর্বস্ব দল হওয়ার সুবাধে আজকের হাসানুল হক ইনু জাসদের সামরিক বাহিনীর দ্বিতীয় সারির কমান্ডার(কৃষি সম্পাদক)হয়েও ভাগ্যের জোরে জাসদ ইনুর প্রধান হয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধীদলীয় রাজনীতির এবং অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির বড় এক তকমা গায়ে লাগিয়ে মুখে বিপ্লবী স্টাইলে, রব-জলিলের জায়গা দখলের এক হাস্যকর, আবার কখনো কখনো সার্থক বিরোধী নেতার ভুমিকা রেখে চলেছিলেন।

বিরোধীদলীয় নেতা এবং প্রগতিশীল রাজনীতির ধারকের স্বঘোষিত প্রচারক হওয়া সত্বেও রাজনীতির মাঠে জনপ্রিয়তার পারদে ভোটের রাজনীতিতে তিনি বরাবরই পিছিয়ে ছিলেন। বাংলাদেশ নামক এই রাষ্ট্রটি স্বাধীন হওয়ার পর থেকে হাসানুল হক ইনু কখনো নির্বাচনে জয়ী হয়ে পার্লামেন্টের ঐ সুরম্য ও নাতিশীতোঞ্চ মণ্ডিত ঐ সুরম্য ভবনের সম্মানিত সাংসদ হওয়া থেকে বঞ্চিত ছিলেন।কেননা, এলাকায় জাসদ এবং দলীয় প্রতীক মশাল নিয়ে বরাবরই জামানত হারানোর বিরল এক গৌরবের অধিকারি হাসানুল হক ইনু। শেখ হাসিনার মহাজোট নৌকা মার্কা প্রতীক হাসানুল হক ইনুর সেই আশা, সেই স্বপ্নের দোয়ার যেন আলাদীনের জাদুর চেরাগের ন্যায় খুলে দেয়।নৌকা প্রতীক নিয়ে জীবনে প্রথমবারের মতো এমপি হয়েও হাসানুল হক ইনুর সেই খায়েশ যেন পূর্ণভাবে পূরণ হচ্ছিলোনা।তাই তিনি হাসিনার সরকারের জাদরেল নেতাদের পিছনে ফেলে টেক্কা দিয়ে বিরোধীদলীয় নেত্রী এবং ১৮ দলের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি অযাচিত ও উন্মত্ত কায়দায় আক্রমণ করতে থাকেন। এতেও তিনি ক্ষান্ত হননি, ঘোষণা দিয়ে বসেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে মায়নাস করে দিবেন। এতেও যখন জনমনে ও বিএনপি ও খালেদা জিয়ার মধ্যে কোন প্রতিক্রিয়া হচ্ছিলোনা, তখন তিনি একেবারে খালেদা জিয়ার বাড়ি ঘেরাও করে রাজনীতি থেকে বিতারণের ঘোষণা দিয়ে বসেন। হাসানুল হক ইনুর এমন চমকপ্রদ বক্তব্যে চায়ের টেবিলে ঝড় তুললেও জনগণ বুঝে নেয়, ইনু হয়তো ঘেউ ঘেউ করার মুদ্রা দুষে পেয়ে বসেছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এটাও একধরনের রোগ হিসেবে সনাক্ত।

তবে হাসানুল হক ইনুর সবচাইতে যে ভালো গুণ তাহলো, অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির পক্ষে তিনি সোচ্চার। বলা যায়, অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির কারণে এখনো জনমনে তিনি কিছুটা আস্তায় রয়েছেন, নতুবা অনেক আগেই হাসানুল হক ইনুর রাজনৈতিক দেউলিয়াপনার কারণে ইতিহাসের অংশ হয়ে যাওয়ার কথা। আর মূলত এই একটি মাত্র জনপ্রিয়তার ব্যারোমিটারের মাত্রার ব্যবহারে হাসানুল হক ইনু নিজেকে মুক্তিযুদ্ধের ও অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির সোল এজেন্ট হিসেবে ভাবতে শুরু করে দিয়েছেন। বিশেষ করে মন্ত্রী হওয়ার পর থেকে হাসানুল হক ইনুর বক্তব্য, বিবৃতিতে আরো একধাপ উগ্রতার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে তার বয়সী অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির প্রবক্তাদের আরো সহনশীল, মার্জিত ও উন্নত রুচির রাজনীতির চর্চা করা এ জাতির জন্য খুবই উপকারী ছিলো।সন্দেহ নেই হাসানুল হক ইনু একজন মুক্তিযোদ্ধা। তাই বলে মুক্তিযুদ্ধের তকমা লাগিয়ে উগ্র রাজনৈতিক বক্তব্য-বিবৃতি দিয়ে রাজনীতির অঙ্গনে ৭২-৭৩-৭৪ এর মতো আওয়ামীলীগের ডুগডুগি(সেদিন ছিলো বিরোধীদলে থেকে, আজকে আওয়ামীলীগের ভিতরে থেকে)বাজানোর এই নোংরা খেলা না করলেই কি নয় ? হাসানুল হক ইনুর অহেতুক অরাজনৈতিক উগ্র বক্তব্য কার পক্ষ হয়ে তিনি কাজ করছেন, মহাজোটের ভিতরের অনেক নেতারই এই প্রশ্ন। প্রধানমন্ত্রীর আস্তা ভাজনের সুবাধে হাসানুল হক ইনু মূলত আওয়ামীলীগের বারোটা বাজানোর খেলায় ব্যস্ত। মহাজোট সরকারের প্রথম এমপি হয়ে তিনি যখন লন্ডনে এসেছিলেন, জাসদের দলীয় সভায় এই হাসানুল হক ইনু সেদিন স্বয়ং নিজ মুখে দলীয় নেতা-কর্মীদের কাছে আওয়ামীলীগকে কি করে তিনি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিবেন, এমন পরিকল্পনার কথাই বলেছিলেন। আজকের লন্ডন আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতা, সেদিন জাসদের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে সেই বৈঠকে উপস্থিত থেকে নিজ দলনেতাকে এমন বক্তব্য প্রদানের কারণ জানতে চাইলে সেদিন উনাকে ঐ বৈঠক থেকে বের করে দিয়েছিলেন। শুধু লন্ডনের ঐ বৈঠকের বক্তব্য নয়, হাসানুল হক ইনুকে কাছে থেকে যারা দেখেছেন, তারা জানেন, তিনি এনভেলাপের রাজনীতি করেন। এনভেলাপ যদি ঠিকমতো তার হাতে পৌঁছে যায়, ইনু তখন অন্য রকমের রাজনৈতিক বক্তব্য দেন। এরশাদের শাসন আমলে, হাসানুল হক ইনু এরশাদের কাছ থেকে রাতের বেলা এনভেলাপ নিয়ে দিনের বেলা রব-এরশাদ-জাফর-মিজান চৌধুরীর বিরুদ্ধে একহাত নিতেন। ১৫ দলীয় জোট ইনুর এই এনভেলাপের রাজনীতি যখন টের পায়, তখন অনেক দেরী হয়ে যায়। ফলশ্রুতিতে ঐ সময়ের ১৫ দলীয় জোটে হাসিনা ইনুকে বিশ্বাস করতেননা, এরশাদের সাথে আপোষের আগে।

একজন মুক্তিযোদ্ধা, একজন মন্ত্রী, একজন দেশের এম্বাসাডার হিসেবে যখন দেশের বাইরে যান, তখন তিনি দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। দেশের একজন সম্মানিত ব্যক্তি, নেতা, মন্ত্রী তাই বিদেশের মাটিতে স্বদেশীদের দ্বারা যদি প্রহ্রত হন, কিল-ঘুষি, থাপ্পড় খান, তখন গোটা বাংলাদেশ লজ্জিত হয়, অপমানিত হয়। একজন মন্ত্রী, একজন এম্বাসাডার তখন আর কেবলমাত্র ব্যক্তি হয়ে থাকেননা, তিনি হয়ে যান বিদেশের মাটিতে দেশের প্রতিনিধি, গোটা দেশের ভাবমূর্তি তখন তার কর্মকান্ডের উপর নির্ভর করে। সেকারণে, একজন মন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে যে বা যারা অপদস্থ ও আঘাত এবং হামলা করেছেন, তারা সবাই ঘৃণিত ও নিন্দার কাজ করেছেন। দল-মত-নির্বিশেষে আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই, সাথে সাথে দূষীদের গ্রেপ্তারের আবেদন করি, তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার সবরকমের ব্যবস্থা করার দায়িত্ব সরকারের।

কিন্তু প্রশ্ন হলো, অনেক মন্ত্রী, এমপি এমনকি আওয়ামীলীগের অনেক অ-জনপ্রিয় মন্ত্রী, এমপি লন্ডনে নিয়মিত যাতায়াত করে থাকেন, টকশোতে অংশগ্রহণ করে থাকেন। কখনো কেউ অ-জনপ্রিয় হওয়া সত্যেও হাসানুল হক ইনুর মতো এরকম সরাসরি হামলার মুখোমুখি হয়েছেন বলে শুনা যায়নি। কিছুদিন আগে খোদ প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ও শোভাযাত্রায় লন্ডনে বিএনপি বিক্ষোভ করেছিলো, কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

পূর্ব-লন্ডন বর্তমানে আগের যেকোন সময়ের তুলনায় বিএনপি, জামায়াত, হেফাজতে ইসলামের বিরাট এক ঘাটি হিসেবে সারা ব্রিটেনে সমধিক পরিচিত।স্বাধীনতার পর থেকে পূর্বলন্ডন ছিলো আওয়ামীলীগ ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির এক বড় কেন্দ্র। বিগত পাঁচ বছরে সেই অবস্থার নাটকীয় পরিবর্তন হয়েছে। আওয়ামীলীগের সেই রমরমা অবস্থা পূর্ব-লন্ডনে এখন আর নেই। ব্রিকলেন, হোয়াইট চ্যাপেল, কমার্শিয়াল রোড, বেথনাল গ্রিন সহ পুরো এলাকায় এখন বিএনপি ও তার মিত্রদের দখলে। এমনকি বিএনপি, জামায়াত, হেফাজত ছাড়া পূর্ব-লন্ডন শুধু নয় গোটা লন্ডন শহরে আর কারো বসার মতো কোন জায়গাই নেই। যুদ্ধাপরাধী বিচারের দাবীতে র্যাডলী নিয়ে আলতাবআলী পার্কে জমায়েতের ঘোষণা দিলেই বিএনপি, জামায়াত, হেফাজত আলতাবআলী পার্ক যদি ঘিরে রাখে, আওয়ামীলীগ ও তাদের মিত্রদের সেখান থেকে সমঝোতা করা ছাড়া আর কোন গত্যন্তর থাকেনা। এহেন অবস্থা জেনে শুনেই, এমনকি লন্ডনে জাসদ নামক সংগঠনের সাংগঠনিক শক্তির অবস্থানের কথা জেনে শুনেও মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু আগের দিন জাসদের আলোচনা সভায় অত্যন্ত উগ্র-ভাষায় খালেদা জিয়া, জামায়াত, হেফাজত ও তাদের ধর্মীয় আধ্যাত্মিক নেতা আল্লামা শফীকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেছেন, যা পূর্ব-লন্ডনের রাজনীতিতে ঘিয়ের ন্যায় কাজ করে।

আওয়ামীলীগ, জাসদ, বাংলাদেশ হাইকমিশন পূর্বলন্ডনে বিরোধীদলের শক্তিশালী অবস্থানের কথা জেনেও মন্ত্রীকে অন্ধকারে রেখে রাতের বেলা এটিএনবাংলার টকশোতে বলা যায় একেলা ছেড়ে দেওয়াটা কতোটুকু যুক্তিসঙ্গত হয়েছে, সেটাও বিবেচনায় নেয়া উচিৎ । মন্ত্রী যখন হামলার শিকার হন, তখন এটিএনবাংলার বাইরে ৭-১০ জনের দুটি গ্রুপ অবস্থান করছিলো, যারা ধারনা করা হয়, ঐ হামলাকারী দুই যুবকের অক্সিলারি হিসেবে সেখানে উপস্থিত ছিলো। অদূরে দণ্ডায়মান জাসদের দুই নেতা, আর আওয়ামীলীগের এক নেতা এই সব অবস্থান দেখেও কেন না দেখার ভান করলেন, সেটাও খতিয়ে দেখা দরকার। আবার মন্ত্রী যখন আহত হন, বাংলাদেশ হাইকমিশনের লোক যখন উপস্থিত হয়ে যান, তখনো ঐ তিন নেতা কোথায় আত্মগোপন করেছিলেন, কেন করেছিলেন-সেসবও বিবেচনায় নেয়া উচিৎ ।একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, তিনি আগে থেকে গছিস শুনছিলেন, আলেম-উলামা এবং খালেদা জিয়াকে নিয়ে গালিগালাজের জন্য মন্ত্রীর উপর হামলা করা হবে সুকৌশলে, মন্ত্রীর নিজেদের লোকেরা তা জানে, এবং মনে প্রাণে চায়, অশ্লীল গালিগালাজের জন্য মন্ত্রীর শিক্ষা হউক-এই রকম কথা-বার্তা তিনি শুনেছিলেন তাদের আলাপচারিতায় আগে থেকেই। এর খানিকক্ষণ পরে যখন মন্ত্রী এটিএনের কার্যালয়ে আসেন, তখন ঐ তিন নেতা সহ আরো দুজনকে তিনি দূরত্বে সরে যেতে দেখেছেন। এরকম কানাঘুষা পূর্ব-লন্ডনের বাঙালি পাড়ায় এখন সরগরম।

আশার কথা, ব্রিটিশ সরকার মন্ত্রীর উপর এই হামলার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখছে বলে সংবাদ মাধ্যমে খবর বেরিয়েছে।

আমাদের দেশের জনপ্রতিনিধিরা ক্ষমতায় গিয়েই অর্বাচীনের মতো আচরণ করতে থাকেন, অসংলগ্ন কথা-বার্তা, অশ্লীল বক্তব্য দিয়ে রাজনীতির অঙ্গনে গরম হাওয়া তুলার ব্যর্থ চেষ্টা করে থাকেন। যার ফলে জনগণ থেকে আস্তে আস্তে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন, কখন যে নিজের পাগলামি আর নোংরা রাজনীতির খেলায় জনগণের রোষের শিকার হয়ে পড়েন, সেদিকে খেয়াল থাকেনা। অথচ নিজেদেরকে জনগণের মহান প্রতিনিধি দাবি করেন।একের পর এক বেপরোয়া ও উদ্যত আচরণ আর জন-বিরোধী কর্মকাণ্ডের ফলে নেতা-নেত্রীরা জনগণের কাছে আস্থাহীনতায় পরিণত হয়ে চলেছেন। তারপরেও ক্ষমতা আর শক্তির দাপটে ধরাকে সরা জ্ঞান মনে করছেন।কখনো কখনো জনপ্রতিনিধিরা জনগণের রোষের শিকার হচ্ছেন, হেনস্থা হচ্ছেন,কেউ কেউ জুতা, ডিম, টমেটো ছুড়ে মারার শিকার হচ্ছেন, তারপরেও নিজেদের ভুল শোধরানোর সুযোগ পেয়েও আরো বেপরোয়া ও উদ্যত হয়ে চলেছেন।প্রবাসেও এখন সেই রেওয়াজ চালু হতে চলেছে দেখে তাই শঙ্কিত হচ্ছি। আজ না হয়, হামলা হয়েছে, ডিম ছুড়ে মেরেছে, কাল যে কি হয়, কেউ জানেনা। তাই সময় থাকতে সাধু সাবধান। নিজেদের ভুল ত্রুটির জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চান, অনুশোচিত হন- হাসানুল হক ইনুর উপর আক্রমণ নেতা-নেত্রীদের সেই শিক্ষার কথাই জানান দেয়।এখনি না শোধরালে পরে পস্তাতে হবে। তারপরেও বলছি, হাসানুল হক ইনুর উপর এমন ন্যক্কারজনক আক্রমণের নিন্দা জানাই।

১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ .

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *