তারেক আতংক, জনতার তারেক এবং তারেক রহমানের কথা

তারেক আতংক, জনতার তারেক এবং তারেক রহমানের কথা

প্রারম্ভিক ভাবনা:
তারেক রহমান- কেবল একজন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানই নন, একই সাথে তিনি বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে সবচাইতে জনপ্রিয় এক রাষ্ট্রপতি আমি মেজর জিয়া বলছি`র জেড ফোর্স নামক মুক্তিযুদ্ধের সেই অসম সাহসী ব্রিগেডের নায়ক মরহুম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বড় ছেলে, তেমনি এদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দুই দুই বারের নির্বাচিত, ৯০এর গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আপোষহীন নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছেলে।

এই ত্রিমাত্রিক ও ঐতিহাসিক ঐতিহ্যগত পরিচয়ের পাশাপাশি ব্যক্তি তারেক ক্রেজ সকল পরিচয় ছাড়িয়ে জনপ্রিয়তার পারদে গোটা বাংলাদেশে ইতিপূর্বে বহু চড়াই-উতরাইয়ের পরেও বর্তমান সময়ের তরুণ প্রজন্মের হ্রদয়ে ঝড় তুলা, আগামীর বাংলাদেশের স্বপ্ন জাগানো যে নামটি বাংলাদেশের সবুঝ প্রান্ত ছাড়িয়ে বিশ্ব পরিমণ্ডলে জননায়কের নিয়ামকে পরিনীতি পেয়ে পরিপূর্ণতা লাভ করেছে, সেটা হলো তারেক রহমান। সেটা আপনি আমি স্বীকার করি আর না করি, পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতির ও উপমহাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ও তারেক রহমান এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে মিশে আছে।

তারেকের সবচাইতে বড় যে গুণটি, যা কায়েমি স্বার্থ-বাদীদের হ্রদয়ে কাঁপন এবং সুবিধাবাদী রাজনৈতিক নেতাদের ( সেটা দলের ভিতর, বাইর, কিংবা বিরোধীদলের ভিতর হউক, সমানভাবে)মেরুদণ্ডে ও প্রাণের মধ্যে তীরের ন্যায় আঘাত করেছে, আর তাহলো- এদেশের তৃণমূলের একজন অতি সাধারণ রাজনীতিক কর্মী, রাজনৈতিক নেতাও সুদূর বগুড়া কিংবা রাজশাহী, টাঙ্গাইল, নাটোর, সিলেট,খুলনার প্রত্যন্ত অঞ্চলে থেকেও ঢাকার রাজনীতিবিদদের সাথে সমানতালে পাল্লা দিয়ে জাতীয় সংসদ থেকে শুরু করে দলীয় শীর্ষ পদ-পদবী, মন্ত্রী, স্পীকার সব ক্ষেত্রেই অংশগ্রহণ, নির্বাচন, ও যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ এবং ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। তারেক রহমানের তৃণমূলের এই নেতৃত্ব ও শীর্ষ নেতৃত্ব দাবীদারের অবারিত সুযোগ প্রদানের ফলে দলের ভিতর এমনকি দলের বাইরে বিরোধীদলের কায়েমি স্বার্থবাদী, গুণে ধরা, সেকেলে, পুরনো, পচা, দুর্গন্ধযুক্ত বস্তা-পচা মরালাশের রাজনীতির ধারক-বাহক-উত্তরাধিকারীদের আঁতে ঘা লেগেছে। আর এই দুই মিলিত শক্তি তারেক জিয়ার উত্থানে ও তরুণ হ্রদয়ে ঝড় ও ক্রেজ তৈরির বিপরীতে একাট্রা হয়ে তারেক আতংক তৈরির সকল ক্রিয়া-কান্ড অতি সঙ্গোপনে, অতি বিচক্ষণতার সাথে আস্তে আস্তে এমনভাবে চালু করেছে, যা আজকে এই পর্যায়ে এসেছে, যেখান থেকে একজন স্বাধীনচেতা, সোজা, সরল-মনা, বাংলাদেশের উন্নয়নে নিবেদিত প্রাণ একজন তারেক রহমানকে ঘিরে বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়তে চাচ্ছেনা। বাংলাদেশের মা, মাটি, মানুষ ছেড়ে বিদেশ-বিভূঁইয়ে বড় কষ্ট আর সাদাসিধে জীবন-যাপনে অভ্যস্ত বাংলাদেশের এই তরুণ নেতার একটি মাত্র বক্তব্যকে কেন্দ্র করে গোটা প্রশাসন ও সরকারি সকল যন্ত্র নড়ে চড়ে এমন ভাবে বসে, যেন এই মুহূর্তে তারেক রহমানকে ঘিলে খেয়ে ফেলতে পারলেই সব কেল্লা ফতেহ হয়ে যায়।

দ্বিতীয়ত: গতানুগতিক রাজনৈতিক নেতাদের মতো যদি শুধুমাত্র বাহবা ও হাততালি মার্কা প্রচলিত রাজনীতি করতেন, ৯৯ ভাগ রাজনীতিবিদদের মতো দুর্নীতির সাথে আপোষ করতেন, তাহলে কিন্তু তারেক রহমানকে ঘিরে এতো বিতর্ক যেমন হতোনা, কারো জন্য বা কোন দল বা গোষ্ঠীর জন্য তিনি হুমকি হতেন বলে অনেক বিশ্লেষক মনে করেননা।

তৃতীয়ত: বিগত জোট সরকারের সময়ের যে ভবন নিয়ে এতো আলোচনা, এতো বিতর্ক, তর্কের খাতিরে যদি মেনেই নেই, তারপরেও প্রশ্ন থেকে যায়, সেই ভবনেতো বাংলাদেশের সেরা টেকনোক্রেট, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, কূটনীতিক, সেরা গবেষক বিশাল কর্মযজ্ঞে ব্যস্ত ছিলেন।তারাতো সরকার পরিবর্তনের পর পরই দিব্বি রাজনীতি ও রাজনৈতিক অঙ্গনে সক্রিয় রয়ে গেছেন। অথচ ঐ ভবন কেন্দ্রিক তাদের নেতার অগোচরে, তাদের নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে ( যা বাংলাদেশের কালচার !), কতিপয় অপাংক্তেয়দের অপরিণামদর্শী ব্যবহ্রত ক্রিয়ার ফলে তারুণ্যের দৃপ্ততায় মহীয়ান, আগামীর স্বপ্নের বাংলাদেশের রূপকার তারেক রহমানকে দেশ ছাড়তে হলো- এটা কি একজন সম্ভাবনাময় ও সাড়া জাগানো তরুণ রাজনীতিবিদের প্রতি অন্যায় নয় ? কারণ গোটা সমাজ, সংসার, সংস্কৃতি, একেবারে রাষ্ট্রের উপর তলা থেকে নীচ পর্যন্ত যেখানে পচে-গলে গেছে, দুর্নীতির মহোৎসবে নৃত্যরত, সেই রাষ্ট্রের ভিতর থেকে একজন মাত্র তারেক রহমানকে অহেতুক (***) অপ-প্রচারের সাজা দিয়ে শায়েস্তা করার মধ্যে কোন প্রকৃত সৎ-সাহসী মনোভাব কাজ করে কিনা পাঠক মাত্রই তা নিরপেক্ষতার কষ্টিপাথরে বিচার করবেন।

কেমন করে বদলানো যায় বাংলাদেশ:

তারেক রহমান বলেন, শুধু মাত্র শিক্ষা ক্ষেত্রে পরিকল্পিত উন্নয়ন, শুধুমাত্র আইটি খাতের উন্নয়ন অথবা শুধুমাত্র কৃষি ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তি ও নিবিড় উন্নয়ন পরিকল্পনার মাধ্যমে কিংবাতো বাংলাদেশের এই বিশাল মানব সম্পদকে বোঝা না ভেবে পরিকল্পিত উন্নয়নের মাধ্যমে, অথবা স্বাস্থ্য বা বিদ্যুৎ খাতের পরিকল্পিত উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বদলে দেয়া যায়।

স্বাধীনতার ৪২ বছর পর একজন তরুণ জাতীয়তাবাদী নেতার দ্বারা সমস্যাসংকুল বাংলাদেশের চেহারা পাল্টে দেয়ার জন্য প্রকৃত পয়েন্ট আইডেন্টিফাই করে উন্নয়নের দুর্লভ চিত্র তুলে ধরে নয়া জাগরণ সৃষ্টিকারী একজন তারেক রহমান তাই সহজেই হয়ে পড়েন ভিতর ও বাইরের টার্গেট, যার খেসারত আজো তাকে বয়ে বেড়াতে হচ্ছে।

তারেক রহমান নামে প্রোপাগান্ডার মহোৎসব:

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে শুরু হয়েছে আবারো টানা হেঁচড়া। কিছুদিন আগ পর্যন্ত ছিলো, খোদ সরকারের মন্ত্রী বাহাদুর আর প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে আওয়ামীলীগের সর্বস্তরের নেতা-নেত্রীদের দ্বারা।আর এখন শুরু হয়েছে, প্রগতিশীল ও জনপ্রিয় সংবাদ পত্রের দাবীদার প্রথম আলোর বরাত দিয়ে, যাতে এই দৌড়ে আরো আছেন আওয়ামীলীগ ঘরানার অতি বয়োজ্যেষ্ঠ প্রবীণ কলামিস্টও। এখানে একটা বিষয় বেশ লক্ষণীয়, প্রথম আলো ইদানীং ধারাবাহিকভাবে বিএনপি ও তারেক জিয়া সম্পর্কে অতি সুকৌশলে কোন এক অদৃশ্য সূতার টানে সংবাদ প্রকাশের নামে তারেক রহমান নিয়ে বিভ্রান্তি ও এক আতংক ছড়ানোর সোল এজেন্টের কাজ শুরু করে দিয়েছে।যদিও প্রথম আলোর এহেন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে ইতিপূর্বে দেশের জনগণ বেশ সচেতন এই কারণে যে এই পত্রিকাটি অনেকটা ইচ্ছে করেই নিজের স্বার্থ ও সুযোগ-সুবিধার স্বার্থে অনেক ক্ষেত্রেই নানা বিভ্রান্তিকর সংবাদ এমন কৌশলে ছড়িয়ে দেয়, যা পড়ে পাঠক প্রথমেই ভিমড়ি খেয়ে পড়েন। প্রথম আলো সম্পর্কে ধারাবাহিক প্রতিবেদন ইতিপূর্বে জনপ্রিয় অনলাইন দৈনিক বাংলা নিউজ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে এই পত্রিকার মুখোশ উন্মোচন করে দিয়েছে।তাই সেদিকে যাওয়াটা সমীচীন মনে করছিনা।

একজন তারেক রহমান:

দীর্ঘ প্রবাস জীবনে বিএনপির এই সিনিয়র চেয়ারম্যান যখন কিছুদিন আগে বাংলাদেশ নিয়ে তার স্বপ্নের ভিশনের কথা একটু আধটু বলেন, তখনি ক্ষমতাসীন সরকারের মনে কাঁপন ধরে যায়। সরকার ঝাঁপিয়ে পড়ে কি করে তারেক কে ঘায়েল করা যায়। শুধু কি তাই, বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের তারেকময় কে কি করে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে তারেক আতংক তৈরি করে সমাজ ও রাষ্ট্রে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে এক অস্বাভাবিক জোয়ার তৈরি করে তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন অনিরাপদ এবং রুখে দেয়া যায়, সেই চেষ্টা আমরা দেশের জনগণ অবলোকন করেছি।

সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন:
(পত্রিকা ও মিডিয়ায় প্রকাশিত)

আমার বিয়েতে খালেদা জিয়া এসেছিলেন, কারণ আমরা উনাকে সপরিবারে দাওয়াত করেছিলাম। তারেক রহমানও আমাদের বাসায় এসেছিলেন, উনার বিয়েতে দাওয়াত করেছিলেন। উল্লেখ্য ঐ সময় সজীব ওয়াজেদের জয়ের পিতা, বাংলাদেশের খ্যাতিমান পরমাণু বিজ্ঞানী ডঃ ওয়াজেদ মিয়া জীবিত ছিলেন। আমরা ধরেই নিচ্ছি ডঃ ওয়াজেদ মিয়ার জীবিতাবস্থায় এই দুই তরুণের মধ্যে এক ধরনের সুন্দর সহমর্মিতা ছিলো, বা দুই পরিবারের মধ্যে, যা রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনে অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।

অথচ আজকের ক্ষমতাসীন দল ও তাদের মন্ত্রীরা বড় অশালীন, নোংরা, অশ্লীল ভাষায় জাতীয়তাবাদী দলের এই তরুণ নেতা ও দলনেত্রীকে নিয়ে তির্যক ও অরুচিকর, অস্বাস্থ্য সম্মত মন্তব্য করেন, যা রীতিমতো লেখার অযোগ্য।

ডঃ ওয়াজেদ মিয়ার অনুপস্থিতিতে দুই পরিবারের মধ্যে যে নোংরা অস্বাস্থ্যকর মন্তব্য বা কু-সংস্কৃতি চর্চা অব্যাহত রয়েছে বা উৎসাহ যোগানো হচ্ছে অতি সন্তর্পণে, তাতে ওয়াজেদ মিয়ার আত্মাও কষ্ট পাচ্ছে, সন্দেহ নেই। ওয়াজেদ মিয়ার স্মৃতির প্রতি সামান্যতম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা যাদের রয়েছে, তারা শীগ্রই সেই কু-সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসবেন বলেই আশা করি।

বিএনপি এবং তারেক রহমানঃ

বিএনপির মাঠ পর্যায়ের ৯৯.৯৯% কর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী, অগণিত নেতা-কর্মী একবাক্যে তারেক রহমানের নেতৃত্বে প্রতি অত্যন্ত আস্থাশীল এবং যত্নবান। তারা অধীর আগ্রহে তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও দলীয় নেতৃত্ব গ্রহণের জন্য অপেক্ষমাণ। অতি সম্প্রতি তৃণমূল পর্যায়ের রাজনৈতিক জরিপ এবং নিরপেক্ষ এক সংস্থার মাঠ পর্যায়ের জরিপের মাধ্যমে এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মধ্যে সকলেই, স্থায়ী কমিটির সকল নেতাই তারেক রহমানের নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল-সেটা একাধিকবার প্রমাণিত। গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সিদ্ধান্ত গ্রহণে মত-পার্থক্য থাকতে পারে-সেটাই স্বাভাবিক।তার অর্থ এই নয় যে, তারেক রহমানের অনুপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ও স্থায়ী কমিটির নেতৃত্ব তারেক রহমানের প্রতি বিমুখ বা বিরোধী। বয়োবৃদ্ধ কিংবা সরকারি টোপে পড়ে বিএনপির ভিতরের কেউ কেউ বেশী তরুণ নেতৃত্ব সামনে এগিয়ে এলে বিএনপি দলীয়ভাবে অসম্ভব শক্তিশালীদল হয়ে সরকারের ভিত নড়িয়ে দিবে- সরকারী ষড়যন্ত্রে পড়ে ও নানান লোভ আর সরকারী নির্যাতনের ভয়ে পড়ে কোন একজন হয়তো তারেক রহমানের সামান্য সমালোচনা করে কিছু একটা উপমা টানতে চেয়েছেন, আর তাকে কেন্দ্র করে তারেক রহমানকে নিয়ে বিএনপির সংকট- এমন উপসংহার টানা দায়িত্বশীল পত্রিকার যথার্থ কাজ নয়-এটা সাধারণ জনগণও বুঝেন। একই ফাঁদে বা একই সরকারি নীল-নক্সায় আওয়ামী বুদ্ধিজীবী যখন তারেক রহমানকে নিয়ে বিএনপির সংকট দেখেন, তখন আমরা অবাক হইনা। কারণ তিনির ঐ দেখা আর বিশ্লেষণতো তার নেত্রীর লন্ডনের হিলটন হোটেলে বসে তারেক আতংক তৈরির সেই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের বহিঃপ্রকাশ বৈ আর কিছুই নয়।

বিএনপির কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত সকলেই একবাক্যে তারেক রহমানের তৃণমূল রাজনীতির নয়া দর্শনের ব্যাপক প্রশংসাই শুধু করেন নাই, সেই দর্শনকে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে জাতীয়তাবাদী লক্ষ- কোটি ভক্ত, তরুণ, নেতা-কর্মী ভ্যানগার্ডের মতো অপেক্ষমাণ।

গ্রাম, থানা, ইউনিয়ন, পৌরসভা, জেলা, উপ-জেলা থেকে শুরু করে একেবারে কেন্দ্র পর্যন্ত ব্যাপক ভিত্তিক জনগণের কাছে তারেক রহমানের অনুপস্থিতেও তার রাজনৈতিক দর্শন, কর্মযজ্ঞ, কর্মপরিকল্পনা, আগামীর বাংলাদেশের স্বপ্ন ব্যাপক এক সাড়া ফেলেছে। এটা আপনি, আমি, সকলেই এখন জ্ঞাত। দেশ-বিদেশের সকল প্রথিত যশা সাংবাদিক, গবেষক, যুক্তরাজ্যের উর্ধ্বতন সরকারী নীতি নির্ধারনী সংস্থা, ক্যামব্রিজ, অক্সফোর্ডের মতো বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের নামকরা রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী আর মানব-উন্নয়নের গবেষক সহ সকলের দৃষ্টি ও প্রশংসা পেয়েছে। বিশ্বখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থা এমআই ফাইভ, স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড আর নামকরা খ্যাতনামা সরকারি সহযোগী সংস্থা এখন তারেক রহমানকে নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছেন।

প্রফেসর ডঃ এমাজ উদ্দিন আহমেদ:

সবকিছু ছাড়িয়ে তারেক রহমান সম্পর্কে সবচাইতে সুন্দর ও বস্তুনিষ্ঠ, খাটি চুম্বক এক বক্তব্য দিয়েছেন খ্যাতনামা রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর ডঃ এমাজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, তারেক রহমানের জন্য কোন প্রচারের বা গুণগানের দরকার নেই। তিনি তার রাজনৈতিক দর্শনের কারণেই তার উঁচু পদে তিনি অধিষ্ঠিত হবেন।

তারেক রহমান যা বলেন:

** আমাদের তরুণেরা বিশ্বের বৃহত্তম প্রযুক্তি ক্ষেত্র গুগল, এমএসএন, স্যামস্যূং, নকিয়া, টি-মোবাইল, ওটু, ইত্যাদি ক্ষেত্রে সমান পারদর্শী রাখতে সক্ষম। এখন দরকার শুধু আমাদের এই শিক্ষিত তরুণদের জন্য নির্দিষ্ট ক্ষেত্র তৈরি করে দেয়ার পাশাপাশি সঠিক নীতিমালার মাধ্যমে তাদের জন্য পৃথিবীর এই নব নব আবিষ্কারের দরজা উন্মুক্ত করে দেয়া।

** বাংলাদেশের লক্ষ্য হবে সুনির্দিষ্ট এবং দ্রুতগামী পারমাণবিক ট্রেনের মতো, যার গতি হবে অসম্ভব আকাশছূয়ী, লক্ষ্যে অবিচল, আস্থা ও বিশ্বাসে সুদৃঢ়। মাতৃভূমির কল্যাণে নিবেদিত। অতীত ও পশ্চাৎমুখী নয়, নয় একে অন্যের সাথে ঝগড়া-ফ্যাসাদ, বরং আগামীর রাজনীতি ও বাংলাদেশ হবে যুগান্তকারী জনকল্যাণের লক্ষ্যে নিবেদিত এবং ভবিষ্যতমুখী ও সকলের কাছে দায়বদ্ধতায় অঙ্গীকারাবদ্ধ।

** কৃষি ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে ১.২৫ বিলিয়ন টুলস ব্যবহ্রত হয়। আমরা যদি কৃষি ক্ষেত্রে দক্ষ ও নতুন নতুন প্রযুক্তির সমন্বয়ে, একই সাথে আধুনিক উন্নত কৃষি-চাষ ও নিবিড় কৃষি পদ্ধতি ব্যবহার করি, তবে কেবলমাত্র ১% ও যদি এই খাতে উন্নতি লাভ করা যায় তাহলেও বাংলাদেশ ২.৫ বিলিয়ন আয় বৃদ্ধি করে উন্নতি করা সম্ভব। এক্ষেত্রে দরকার সুনিপুণ নীতিমালা, দক্ষ প্রফেশনাল, সুবিন্যস্ত বাজার ব্যবস্থা, কৃষি উপকরণের সহজলভ্যের নিশ্চয়তা।

** বিদেশে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলে পাঁচ বছরের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা টার্গেট নিয়ে ১৪ বিলিয়ন থেকে ২০ বিলিয়নে উন্নীত করা সম্ভব বলে তিনি দাবী করেন।

** প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিক ও যুগোপযোগী ও বিশ্বের প্রযুক্তিগত ও ব্যবহারিক ও বাস্তব জীবনের শিক্ষার সাথে সমন্বয় করে জাতীয় শিক্ষানীতি মালা প্রণয়ন করে আমাদের ছেলে মেয়েদের সেই সব আধুনিক ও বাস্তব জীবনের কারিগরি ও ব্যবহারিক শিক্ষার সাথে ইংরেজি, ফ্র্যাঞ্চ, জার্মানি, রাশান প্রভৃতি ভাষায় শিক্ষিত ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।

** আগামীর রাজনীতি হবে সকলের অংশগ্রহণমূলক(পার্টিসিপেটরী ডেমোক্রেসি ), কারো প্রতি অন্যায়, অবিচার ও হিংসা নয়, সকল ক্ষেত্রে দক্ষ ও প্রফেশনালদের কি করে জাতীয় উন্নয়নে অংশ গ্রহণের মাধ্যমে জবাবদিহি মূলক প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে তুলে যায়, বাংলাদেশের রাজনীতি তাই হবে।

** তারেক রহমান আমাকে বলেছেন, ট্যুরিজম সেক্টরের দিকে আমরা যদি গুরুত্ব দেই এবং সুনির্দিষ্ট ও পরিকল্পিত আধুনিক নীতিমালার মাধ্যমে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করে যুগোপযোগী করে গড়ে তুলি, তবে সেলিম জানেন কি এই সেক্টরের মাধ্যমেই বাংলাদেশকে আমরা বদলে দিতে পারি।

** আধুনিক ফাইবার অপটিক উন্নয়ন ও সংযোগ স্থাপন ও বৃদ্ধি-কল্পে আমরা এর স্বল্পমূল্য নিশ্চিত করে সকলের জন্য সহজ লভ্য আধুনিক যোগাযোগ স্থাপন ও তথ্য আদান-প্রদান সহজ করে দিতে পারি।

তারেক রহমান চাননা, জাতীয়তাবাদী রাজনীতি ও আদর্শে বিশ্বাসী কেউই আর যেন বিএনপির রাজনীতি থেকে ছিটকে না পড়েন। তিনি সকলকে নিয়ে ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে আগামী সরকারের তার স্বপ্নের দ্রুতগামী, লক্ষ্যে স্থির, সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সংস্কারপন্থী, জাতীয়তাবাদী, দেশপ্রেমিক সকল দল মত ও শক্তিকে সাথে নিয়ে আধুনিক, উন্নত ও যুগের সাথে তাল মিলাতে সক্ষম নতুন ধারার সরকারে শরিক করে কাজ করতে চান।

তারেক রহমান মনে করেন, ব্যক্তিগত জেদাজেদি ও ভুল বুঝাবুঝির মতো ক্ষুদ্র স্বার্থকে জাতীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে রেখে আগামীর দ্রুতগামী বাংলাদেশের সরকারের লক্ষ্যে কাজ করাটাই এখনকার মুখ্য উদ্দেশ্য।

তারেক রহমান অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে বলেন, বাংলাদেশ অত্যন্ত সম্ভাবনাময় এক দেশ। এখানে রয়েছেন বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলে দেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিবেদিত প্রাণ একদল তরুণ, দেশপ্রেমিক, তাদের সাথে আছেন অতি দক্ষ, অভিজ্ঞ প্রফেশনাল ব্যক্তিত্ব ও পেশাজীবীবৃন্দ, আছেন অভিজ্ঞ একদল নিবেদিত প্রাণ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ- সকলের অভিজ্ঞতাকে সুনিবিড় এক সেতু বন্ধনে নিয়ে এসে সকলের অংশ গ্রহণের মাধ্যমে আগামীর বাংলাদেশের নতুন ধারার এক সরকারের মাধ্যমেই কেবল মাত্র বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও উন্নয়ন দুটোই নির্ভর করছে। আর আমি সে লক্ষ্যেই কাজ করছি ইনশাআল্লাহ।

ভারত-মার্কিনীদের ভূমিকা ও জুজুর ভয়:

জোটের রাজনীতি ও পারিপার্শ্বিক রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার খপ্পরে পড়ে ও বিগত রাজনৈতিক দ্বন্ধ-সংঘাতের সুবাধে ও তারেক রহমানের আজকের অনুপস্থিতিতে চলতি হাওয়ায় তাল মিলাতে গিয়ে প্রথম আলো গতানুগতিক ধারায়, তারেক রহমানকে নিয়ে ভারত-মার্কিনীদের বিরূপের খাতায় নাম ও তথাকথিত জঙ্গি সহযোগী হিসেবে চিত্রিত করার হীন চেষ্টা দেখে অবাক হয়েছি, এমনকি তারেক রহমান নিজেও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন, প্রথম আলোর এমন রিপোর্টে। আওয়ামীলীগ তার দলীয় রাজনীতি এবং বিভিন্ন ফ্রন্ট ওপেন করে খেলতে গিয়ে বেকায়দায় পড়ে বিএনপি ও তারেককে আটকানোর জন্য ও আলেম-উলামাদের ঘাড়ে অহেতুক দুষ চাপিয়ে, তথাকথিত তালেবান ও পাকিস্তানের জঙ্গি জুজুর ভয় মার্কিনী ও ভারতীয়দের নজরে এনে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের উন্মত্ত এক প্রতিযোগিতায় লিপ্ত, দেশ বিদেশের রাজনীতি ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক সহ সচেতন সকলেই অবগত। আওয়ামীলীগ তা করতে গিয়ে ধূর্ততার সাথে তাই তারেক আতংক তৈরি কিংবা কথিত জঙ্গি কানেকশন জোরেশোরে বলবেই- কেননা একজন সম্ভাবনাময় ও সাড়া জাগানো তারুণ্যে উজ্জীবিত নেতাকে আটকানোর জন্য যা যা করার ন্যাক্কারজনকভাবে নিজেদের ভরাডুবি রুখতে তাই করবে ও করছে, তাই বলে প্রথম আলো কেন করবে? তাহলেকি বরাবরের মতো স্রোতের সাথে তাল মেলানো প্রথম আলো ধরেই নিয়েছে হাসিনা সরকার যেন তেন ভাবেই আগামী দুই বৎসর পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে। সুতরাং হাসিনার সরকারের মতোই তারেক বিরোধী প্রচার-প্রোপাগান্ডার এজেন্সি প্রথম আলোও এগিয়ে নিয়ে চলছে, যা তদের মজ্জাগত স্বভাব। বড় কষ্টের সাথে বলতে হয়, শক্তের ভক্ত, নরমের যম, তার নাম প্রথম আলো- বাজারে ও দেশের সকল অঞ্চলে এ প্রবাদ এখন বেশ জনপ্রিয়।

আর আমেরিকা, ভারত এখন একই কাতারের সঙ্গীতের দুই তার মাত্র। যারা কখনোই নিজেদের স্বার্থের বাইরে অন্য কিছু চিন্তা করেনা। বাণিজ্য, সমঝোতা আর ভাগ-বাটোয়ারা বনিবনা যেখানেই হয় তাদের স্বার্থে, মার্কিনী আর ভারত মূলত সেখানেই তাদের পক্ষে ওকালতি করে।এটা বিশ্বের তাবত নামকরা সাংবাদিকরা বলে থাকেন- জাতীয়তাবাদী এই তরুণ নেতা কারো স্বার্থের পথের কাঠা আর সমঝোতার অংশীদার না হওয়াতেই তাদের বিরাগভাজন হয়েছিলেন।

তারেক রহমান মিডিয়া সেলঃ ইউকে-ইউরোপ ও ট্রান্স-আটলান্টিক:

যোগাযোগ করলে তারেক রহমান মিডিয়া সেলের মুখপাত্র বলেন, তারেক রহমান একজন তরুণ এবং জনপ্রিয় নেতৃত্ব। তিনি আগামীর বাংলাদেশের ভিশনারী এক নেতা। পুরনো, সেকেলে, কায়েমি স্বার্থবাদী গোষ্ঠী এবং মুখচেনা বর্ণচোরারাই তারেক রহমানকে নিয়ে আতংক ও গুজবের ফানুস ছড়ানোর নিরন্তর চেষ্টা করে যাচ্ছে, প্রথম আলো ও আওয়ামীলীগের বুদ্ধিজীবী কর্তৃক নিবন্ধ তারই বহিঃপ্রকাশ। এসব প্রচার-প্রোপাগান্ডা করে তারেক রহমানের ইমেজ ও নেতৃত্বকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করা যাবেনা, যেমন করে পারেনি ১/১১ অসাংবিধানিক সরকার ও তাদের সহযোগীরা। বিগত পাঁচটি বছর দেশের মাটি থেকে তাকে দূরে রেখেও জনগণের মন থেকে মুছে ফেলা সম্ভব হচ্ছেনা। ১/১১ পরবর্তী ষড়যন্ত্র ও সরকারী সকল নীল-নক্সার মধ্যেও বিএনপি ও তারেক রহমান আরো শক্তিশালী এবং আগের চেয়ে একে অন্যের সাথে আরো বেশী অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত।

মুখপাত্র আরো যোগ করেন, সেদিন বেশী দূরে নয়, জনতার তারেক হয়ে দেশ ও বিএনপির নেতৃত্ব গ্রহণের জন্য তারেক রহমান জয়ের মালা পড়ে বাংলাদেশের শত শহীদের সবুঝ চত্বরে মাথা উঁচু করে বীরের বেশে দেশনেতা হয়ে প্রত্যাবর্তন করবেন, বিএনপির লাখো নেতা-কর্মীর সাথে সারা বাংলাদেশের তৃণমূলের অগণিত জনগণ সেদিনের অপেক্ষায় অধীর আগ্রহে অপেক্ষমাণ ।

(আগামী পর্বে তারেক রহমান মিডিয়া সেল ও জনতার তারেক রহমান ও নতুন ধারার সরকারের রূপরেখা নিয়ে আরো সাক্ষাতকার ভিত্তিক বিশেষ প্রতিবেদন থাকবে)।

2 Comments

  1. Anonymous

    যদি কখনো দেশ নায়ক তারেক রহমানের সাথে সরাসরি কথা বালার সুযোগ হয় তাহলে আমি সেই দিন জানাবো আমি তাঁর কতটা ভক্ত এবং কেন…..

  2. মহিউদ্দিন আহমেদ

    যদি কখনো দেশ নায়ক তারেক রহমানের সাথে সরাসরি কথা বালার সুযোগ হয় তাহলে আমি সেই দিন জানাবো আমি তাঁর কতটা ভক্ত এবং কেন…..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *